বাংলাদেশের ক্রিকেটে লেগ স্পিনার হওয়া মানেই বিশাল এক যুদ্ধর মধ‌্য দিয়ে ক‌্যারিয়ার গড়া। শুরুতে একটু নাক সিটকানো, এরপরও অবহেলা। এরপর সামান‌্য সুনজর পাওয়ার পরও সুযোগের অপেক্ষায় কেটে যায় অনেক প্রহর। সব অবজ্ঞা পেরিয়ে, কন্টকাকীর্ণ পথ পাড়ি দিয়ে যখন কেউ লাইমলাইটে চলে আসেন তার ওপর থাকে রাজ‌্যের চাপ। সেই চাপ সামলে নিতে পারেন খুব কম জনই।

রিশাদ হোসেন কাঁটা বিছানো সব পথ পেরিয়ে রঙিন পোশাকে নিজের উজ্জ্বল ক‌্যারিয়ারের ঝলক দেখিয়েছেন। শুরুতে টি-টোয়েন্টিতে নিজের জায়গা পাকাপাকি করেছেন। ওয়ানডেতে ছিলেন আসা-যাওয়ার মধ‌্যে। এখন সেখানেও নিজের অবস্থান তৈরি করে ফেলেছেন রিশাদ। ক্রিকেটের গর্ব টেস্ট ক্রিকেটে কী রিশাদ নিজের ঝলক দেখাতে পারবেন? সেটাই এখন বিরাট প্রশ্নের। রিশাদের মেন্টর হিসেবে কাজ করছেন কিংবদন্তি মুশতাক আহমেদ। পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করছেন। তার বিশ্বাস, রিশাদ লাল বলেও হয়ে উঠবেন মারাত্মক। তবে সাদা পোশাকে দলে নিজের জায়গাটা অর্জন করে নিতে হবে তার।

আরো পড়ুন:

‘দিল্লিতে কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার পিচ মিরপুরের থেকেও খারাপ ছিল’ 

টিভিতে আজকের খেলা 

সোমবার (২০ অক্টোবর) মুশতাক বলেছেন, ‘‘আমি শতভাগ আশা করি সে টেস্ট খেলবে। সে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য খুব ভালো হতে পারে, কিন্তু ভালো ওভার বোলিং করে তাকে সেই স্থান অর্জন করতে হবে।’’

উপমহাদেশের উইকেটে ভালো করার একটি নির্দিষ্ট প্রক্রিয়া, ছক থাকে। উইকেট থেকেও সাহায‌্য পেয়ে থাকেন স্পিনাররা। গুগলির সঙ্গে লেগ স্পিনারদের রিস্ট ও ফিঙ্গার স্পিন সাফল‌তার হার বাড়িয়ে দেয়। রিশাদ বর্তমানে তার রিস্ট ও গুগলিতে বেশ সাফল‌্য পাচ্ছেন।

মুশতাকের বিশ্বাস, ইংল‌্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মতো দলে রিশাদের মতো ক্রিকেটার আছেন যারা শেষ দিকে ব‌্যাটিংয়ের গভীরতাও বাড়ান এবং তারা ভালো বোলিংও করেন, ‘‘শেষ চার উইকেট, বিশেষ করে অস্ট্রেলিয়া এবং ইংল্যান্ডের মতো দলের বিপক্ষে যারা গভীরভাবে ব্যাট করতে পারে, একজন লেগ-স্পিনার যিনি রিশাদের উচ্চতা এবং বাউন্সের সাথে ভালো বোলিং করতে পারেন। রিশাদ খুবই মারাত্মক হতে পারেন।’’

কিছুদিন আগে আবুধাবিত রিশাদ, রশিদ খান ও মুশতাকত আহমেদকে একসঙ্গে কথা বলতে দেখা যায়। মুশতাক নিজেদের মধ‌্যে কী আলাপ হয়েছিল তা সামনে আনলেন, ‘‘খুব ভালো (আলোচনা হয়েছে)। আমি চেয়েছিলাম তরুণ স্পিনার (রিশাদ) যেন তার (রশিদ) সাথে কথা বলে। তারা তাদের মতামত আদান-প্রদান করেছে। রিশাদ রশিদের চেয়ে আলাদা বোলার, কিন্তু তাদের দু’জনের মধ্যে ভাবনার আদান-প্রদান হয়েছে। তরুণ খেলোয়াড়দের জন্য রশিদ, আদিলের মতো সিনিয়র খেলোয়াড়দের সাথে কথা বলা গুরুত্বপূর্ণ। এটা একটা ভালো লক্ষণ যে লোকেরা এখন আন্তর্জাতিকভাবে তাকে মূল্যায়ন করতে শুরু করেছে।’’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ম শত ক উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

নতুন গবেষণা বলছে, কালো প্লাস্টিকের পাত্র কেন বেশি বিপজ্জনক

মার্কিন গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কালো প্লাস্টিকে একধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা আগুন ধরার ঝুঁকি কমানোর জন্য প্লাস্টিকে মেশানো হয়।

কালো প্লাস্টিকে ডেকা-বিডিই, টিবিবিপিএ এবং আরডিপির মতো রাসায়নিক থাকে। এসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির জন্য অনুমোদিত। কিন্তু আমরা গবেষণায় দেখেছি, রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার) প্রক্রিয়ায় এসব প্লাস্টিক খেলনা, খাবার প্যাকেজিং ও রান্নার সরঞ্জামের মতো পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে । ফলে বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো এসব পণ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।মেগান লিউ , ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর গবেষক দলের প্রধান

রাসায়নিকগুলো আমাদের শরীরে ও খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ছে। স্বল্প মাত্রায়ও এসব রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর ফলে ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, স্নায়বিক ক্ষতি, প্রজনন ও বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।

আরও পড়ুনদূষণ যখন ঘরের ভেতর২৮ এপ্রিল ২০২২

ডেকা-বিডিই একটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এই গবেষণায় গবেষকেরা কিছু নমুনায় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১ হাজার ২০০ গুণ ডেকা-বিডিই পেয়েছেন!

তাহলে কী করা উচিত

গবেষকেরা কালো প্লাস্টিক ঘর থকে সরিয়ে ফেলতে বলছেন। তাঁরা এটির পুনর্ব্যবহারকেও নিরুৎসাহিত করছেন। এর পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল বা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।

অভিভাবকদের শিশুর খেলনার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিকের খেলনার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাদানে তৈরি খেলনা খুঁজে নিতে বলেছেন গবেষকেরা।

বিষাক্ত এসব রাসায়নিকের সংস্পর্শ কমানোর জন্য আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যেমন নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা এবং জানালা খুলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। এতে ধুলা বা বাতাসে জমে থাকা রাসায়নিক দূর হয়। ঘন ঘন হাত ধোয়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে মেঝে মোছা ধুলার দূষণ থেকে বাঁচাবে।

সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট

আরও পড়ুনপ্লাস্টিক বোতলের পানি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?০৮ জুন ২০১২

সম্পর্কিত নিবন্ধ