জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে হামলা করেছে, সংবাদ সম্মেলনে দাবি বিএনপির
Published: 20th, October 2025 GMT
নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে ইসলামী ছাত্রশিবির ও যুবদলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় সংবাদ সম্মেলন করেছে বিএনপি। আজ সোমবার দুপুরে নোয়াখালী প্রেসক্লাবে নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি কামাল উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন বলেন, গত শনিবার বিকেলে জামায়াত-শিবিরের লোকজন নেয়াজপুর ইউনিয়নের কাশেম বাজার জামে মসজিদে কোরআন শিক্ষার একটি কর্মসূচি পালন করছিলেন। গত বছরের ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগ থেকে জামায়াতে যোগ দেওয়া মো.
বিএনপি নেতারা বলেন, গত শনিবার মসজিদে আয়োজিত ওই কর্মসূচিতে এলাকার শিশু-কিশোরদের ছাত্রশিবিরের ফরম পূরণ করা হচ্ছিল। স্থানীয় যুবদলের সভাপতিসহ কয়েকজন বাসিন্দা তাই মসজিদে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পরিচালনায় নিষেধ করেন। তখন জামায়াত-শিবিরের নেতাদের সঙ্গে তর্কাতর্কি ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
নেয়াজপুর ইউনিয়ন বিএনপির দুই নেতা কামাল ও জাকির বলেন, শনিবারের এই হাতাহাতির ঘটনা আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা চলছিল। এর মধ্যেই গতকাল রোববার বিকেলে একই মসজিদে আরেকটি কর্মসূচি দেয় জামায়াত-শিবির। সেখানে নোয়াখালীর বিভিন্ন উপজেলার পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী ফেনী থেকে দলীয় লোকজনকে জড়ো করা হয়। তাঁরা মসজিদের ভেতরে দলীয় স্লোগান দেওয়ায় প্রথমে কয়েকজন মুসল্লি আপত্তি জানান। এরপর বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কর্মীরা আপত্তি জানিয়েছেন। তবে জামায়াত-শিবিরের নেতা-কর্মীরা মুসল্লি ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছেন।
হামলায় বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন অভিযোগ করে ইউনিয়ন বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, জামায়াত-শিবির পরিকল্পিতভাবে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের ওপর ওই হামলা চালিয়েছে। বিএনপির কেউ তাঁদের ওপর হামলা করেনি। বরং এলাকার সাধারণ মানুষ যেভাবে জামায়াত-শিবিরের ওপর ক্ষিপ্ত হয়েছিল, বিএনপির লোকজন এগিয়ে না এলে প্রাণহানির ঘটনা ঘটতে পারত।
এ ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির দাবি করা হয় সংবাদ সম্মেলনে। এতে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান ফিরোজ, আইনজীবী আবদুর রহিম প্রমুখ।
জানতে চাইলে বিএনপির অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের নোয়াখালী উত্তর শাখার সেক্রেটারি মুজাহিদুল ইসলাম। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ছাত্রশিবিরের দারসে কোরআন কর্মসূচি ছিল পূর্বনির্ধারিত। বিএনপি ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা সেই কর্মসূচিতে অতর্কিত হামলা করেছেন। মসজিদের ভেতরে আশ্রয় নিয়েও বিএনপির হামলা থেকে ছাত্রশিবিরের নেতা-কর্মীরা রেহাই পাননি। সেখানে ভাঙচুরও চালিয়েছেন বিএনপি নেতা-কর্মীরা।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর ম দ র স গঠন র দ র ওপর য বদল র কর ম র সহয গ মসজ দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
নতুন গবেষণা বলছে, কালো প্লাস্টিকের পাত্র কেন বেশি বিপজ্জনক
মার্কিন গবেষণা ও পরামর্শক সংস্থা ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এক গবেষণায় উঠে এসেছে এমন তথ্য। কালো প্লাস্টিকে একধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে, যা আগুন ধরার ঝুঁকি কমানোর জন্য প্লাস্টিকে মেশানো হয়।
কালো প্লাস্টিকে ডেকা-বিডিই, টিবিবিপিএ এবং আরডিপির মতো রাসায়নিক থাকে। এসব বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতির জন্য অনুমোদিত। কিন্তু আমরা গবেষণায় দেখেছি, রিসাইকেল (পুনর্ব্যবহার) প্রক্রিয়ায় এসব প্লাস্টিক খেলনা, খাবার প্যাকেজিং ও রান্নার সরঞ্জামের মতো পণ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হচ্ছে । ফলে বিষাক্ত রাসায়নিকগুলো এসব পণ্যে ছড়িয়ে পড়ছে, যা মারাত্মক স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করছে।মেগান লিউ , ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর গবেষক দলের প্রধানরাসায়নিকগুলো আমাদের শরীরে ও খাদ্যশৃঙ্খলে ঢুকে পড়ছে। স্বল্প মাত্রায়ও এসব রাসায়নিক শরীরের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। গবেষণায় উঠে এসেছে, এর ফলে ক্যানসার, হরমোনজনিত সমস্যা, স্নায়বিক ক্ষতি, প্রজনন ও বিকাশজনিত সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আরও পড়ুনদূষণ যখন ঘরের ভেতর২৮ এপ্রিল ২০২২ডেকা-বিডিই একটি ক্যানসার সৃষ্টিকারী উপাদান। স্বাস্থ্যঝুঁকি বিবেচনায় এটি যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ‘টক্সিক-ফ্রি ফিউচার’-এর এই গবেষণায় গবেষকেরা কিছু নমুনায় অনুমোদিত মাত্রার চেয়ে ৫ থেকে ১ হাজার ২০০ গুণ ডেকা-বিডিই পেয়েছেন!
তাহলে কী করা উচিতগবেষকেরা কালো প্লাস্টিক ঘর থকে সরিয়ে ফেলতে বলছেন। তাঁরা এটির পুনর্ব্যবহারকেও নিরুৎসাহিত করছেন। এর পরিবর্তে স্টেইনলেস স্টিল বা কাঠের তৈরি জিনিসপত্র ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা।
অভিভাবকদের শিশুর খেলনার ব্যাপারেও সচেতন হতে হবে। প্লাস্টিকের খেলনার পরিবর্তে অন্য কোনো উপাদানে তৈরি খেলনা খুঁজে নিতে বলেছেন গবেষকেরা।
বিষাক্ত এসব রাসায়নিকের সংস্পর্শ কমানোর জন্য আরও কিছু পরামর্শ দিয়েছেন তাঁরা। যেমন নিয়মিত ঘর পরিষ্কার করা এবং জানালা খুলে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা রাখা। এতে ধুলা বা বাতাসে জমে থাকা রাসায়নিক দূর হয়। ঘন ঘন হাত ধোয়া ও ভেজা কাপড় দিয়ে মেঝে মোছা ধুলার দূষণ থেকে বাঁচাবে।
সূত্র: রিডার্স ডাইজেস্ট
আরও পড়ুনপ্লাস্টিক বোতলের পানি কি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর?০৮ জুন ২০১২