ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে বললেন ট্রাম্প
Published: 3rd, November 2025 GMT
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরকে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে আক্রমণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালে তিনি বহুবার এ ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন।
ইলহান ওমর মিনেসোটা থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘তাঁর ফিরে যাওয়া উচিত।’ তিনি এই পোস্টের সঙ্গে ইলহান ওমরের একটি সভায় দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও জুড়ে দেন। ওই অনুষ্ঠান কখন হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইলহানের বক্তব্যের ভিডিওটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ডানপন্থী ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে ঘুরছে।
ইলহান সোমালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। আট বছর বয়সে তিনি দেশের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে যান। কেনিয়ার একটি শরণার্থীশিবিরে চার বছর কাটানোর পর ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন।
লরা লুমারসহ ‘এমএজিএ’ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) সমর্থকেরা দ্রুত তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলগুলোতে ট্রাম্পের পোস্টটি ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যেতে বলেছেন, এমন নয়।
গত সেপ্টেম্বরে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আপনি জানেন, আমি সোমালিয়ার প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম? আমি তাঁকে বলেছিলাম, তিনি হয়তো তাঁকে (ইলহান ওমর) ফিরিয়ে নিতে চান। তিনি বলেছিলেন, “আমি তাঁকে চাই না।’”
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও বহুবার ইলহান ওমরকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি ২০২০ সালের প্রচারের শেষ মাসগুলোতে তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশ কীভাবে চালাব, তা শেখাচ্ছেন?’
ইলহানের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তবে চার মেয়াদের এই আইনপ্রণেতা গত শুক্রবার এক রেডিও উপস্থাপককে বলেন, তাঁর অভিবাসন মর্যাদা নিয়ে এমন কথায় তিনি মোটেই উদ্বিগ্ন নন।
দ্য ডিন ওবেইদাল্লাহ শো-তে ইলহান বলেন, ‘আমার কোনো চিন্তা নেই। আমি জানি না, তারা কীভাবে আমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে এবং আমাকে দেশ থেকে বের করে দেবে। তবে এটি কোনো ভীতিকর হুমকি কি না, তা–ও আমি জানি না।’
ইলহান বলেন, ‘আমি সেই ৮ বছরের শিশু নই, যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিল। আমি বড় হয়েছি, আমার সন্তানেরাও বড়। আমি চাইলে যেখানে খুশি গিয়ে থাকতে পারি। প্রতিদিন সকালে উঠে প্রতিটি আলোচনায় “আমরা ইলহানকে দেশ থেকে বের করে দেব”—এমন কথা বলাটা খুবই অদ্ভুত।’
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র বল ছ ল
এছাড়াও পড়ুন:
ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র ছেড়ে চলে যেতে বললেন ট্রাম্প
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমালি বংশোদ্ভূত মার্কিন ডেমোক্রেটিক দলীয় প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য ইলহান ওমরকে তাঁর জন্মস্থান নিয়ে আক্রমণ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প তাঁকে যুক্তরাষ্ট্রে ছেড়ে চলে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট পদে থাকাকালে তিনি বহুবার এ ধরনের আক্রমণাত্মক বক্তব্য দিয়েছেন।
ইলহান ওমর মিনেসোটা থেকে প্রতিনিধি পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
ট্রাম্প নিজের মালিকানাধীন ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘তাঁর ফিরে যাওয়া উচিত।’ তিনি এই পোস্টের সঙ্গে ইলহান ওমরের একটি সভায় দেওয়া বক্তব্যের ভিডিও জুড়ে দেন। ওই অনুষ্ঠান কখন হয়েছিল, তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ইলহানের বক্তব্যের ভিডিওটি কয়েক সপ্তাহ ধরে ডানপন্থী ব্যক্তিদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলোতে ঘুরছে।
ইলহান সোমালিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন। আট বছর বয়সে তিনি দেশের গৃহযুদ্ধ থেকে পালিয়ে যান। কেনিয়ার একটি শরণার্থীশিবিরে চার বছর কাটানোর পর ১৯৯৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে আসেন। তিনি ২০০০ সালে যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক হন।
লরা লুমারসহ ‘এমএজিএ’ (মেক আমেরিকা গ্রেট এগেইন) সমর্থকেরা দ্রুত তাঁদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চ্যানেলগুলোতে ট্রাম্পের পোস্টটি ছড়িয়ে দিয়েছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ডেমোক্র্যাট প্রতিনিধি ইলহান ওমরকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে চলে যেতে বলেছেন, এমন নয়।
গত সেপ্টেম্বরে ওভাল অফিসে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আপনি জানেন, আমি সোমালিয়ার প্রধানের সঙ্গে দেখা করেছিলাম? আমি তাঁকে বলেছিলাম, তিনি হয়তো তাঁকে (ইলহান ওমর) ফিরিয়ে নিতে চান। তিনি বলেছিলেন, “আমি তাঁকে চাই না।’”
ট্রাম্প তাঁর প্রথম মেয়াদেও বহুবার ইলহান ওমরকে আক্রমণ করেছিলেন। তিনি ২০২০ সালের প্রচারের শেষ মাসগুলোতে তাঁকে উদ্দেশ করে বলেছিলেন, ‘আমাদের দেশ কীভাবে চালাব, তা শেখাচ্ছেন?’
ইলহানের কার্যালয় তাৎক্ষণিকভাবে এ নিয়ে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেয়নি।
তবে চার মেয়াদের এই আইনপ্রণেতা গত শুক্রবার এক রেডিও উপস্থাপককে বলেন, তাঁর অভিবাসন মর্যাদা নিয়ে এমন কথায় তিনি মোটেই উদ্বিগ্ন নন।
দ্য ডিন ওবেইদাল্লাহ শো-তে ইলহান বলেন, ‘আমার কোনো চিন্তা নেই। আমি জানি না, তারা কীভাবে আমার নাগরিকত্ব কেড়ে নেবে এবং আমাকে দেশ থেকে বের করে দেবে। তবে এটি কোনো ভীতিকর হুমকি কি না, তা–ও আমি জানি না।’
ইলহান বলেন, ‘আমি সেই ৮ বছরের শিশু নই, যে যুদ্ধ থেকে পালিয়ে এসেছিল। আমি বড় হয়েছি, আমার সন্তানেরাও বড়। আমি চাইলে যেখানে খুশি গিয়ে থাকতে পারি। প্রতিদিন সকালে উঠে প্রতিটি আলোচনায় “আমরা ইলহানকে দেশ থেকে বের করে দেব”—এমন কথা বলাটা খুবই অদ্ভুত।’