লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমান্তে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের গুলিতে শহিদুল ইসলাম (৪২) নামের এক বাংলাদেশি নাগরিক আহত হয়েছেন। গতকাল রোববার ভোরে উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়ন সীমান্তের ওপারে ভারতের কোচবিহারের ময়নাতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

আহত শহিদুল ইসলাম উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়নের কাশিরডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম জবেদ আলী।

এ বিষয়ে ৬১ (তিস্তা-২) বিজিবি ব্যাটালিয়নের শমসেরনগর বিজিবি ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার সুবেদার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আহত ব্যক্তি গরু পারাপারকারী (ডাঙ্গোয়াল)। এ ঘটনায় রোববার ওই সীমান্তে পতাকা বৈঠক করা হয়েছে। বৈঠকে মীররাপা বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার ও অন্যরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছি।’

আরও পড়ুনআবারও ল্যাম্পপোস্ট স্থাপনের চেষ্টা বিএসএফের, পতাকা বৈঠকে বিজিবির প্রতিবাদ০৯ জানুয়ারি ২০২৫

বিজিবি ও স্থানীয় লোকজন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার জগতবেড় ইউনিয়ন সীমান্তের ৮৫৯ প্রধান পিলার নম্বরের ৪ নম্বর উপপিলার এলাকা দিয়ে শহিদুল ইসলামসহ চার থেকে পাঁচজনের একটি চোরাকারবারির দল ভারতের কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা থানার ময়নাতলী গ্রামে গরু আনতে যায়। তাঁদের সহায়তা করে ভারতের গরু চোরাকারবারির দল। গরু নিয়ে ফেরার পথে ভারতের রানীনগর ১৬৯ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের বুড়াবুড়ি ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের লক্ষ্য করে কয়েকটি গুলি ছোড়ে। এতে শহিদুল ইসলামের পায়ে গুলি লাগে। সঙ্গে থাকা লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে রাতেই রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে তিনি গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

এ ব্যাপারে জগতবেড় ইউনিয়নের ইউপি সদস্য আবুবক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘লোকজনের মুখে ঘটনাটি শুনেছি। শহিদুল ভারত থেকে গরু আনতে গিয়ে বিএসএফের গুলিতে আহত হয়েছেন। তাঁর পায়ে গুলি লেগেছে। তিনি গোপনে রংপুরে চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক

জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে। 

ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। 

বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি। 

অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক। 

পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে। 

একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক। 

সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।

সুচরিতা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সিলেট সীমান্তে বাংলাদেশে ঢুকে খুঁটি উপড়ে ফেলে বিএসএফ, স্থানীয়দের প্রতিবাদ
  • পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনে কর্মকর্তা নিয়োগ, বেতন ৫১,০০০ টাকা
  • জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক