জঙ্গি সন্দেহে কলকাতায় গ্রেপ্তার বাংলাদেশি যুবক
Published: 31st, October 2025 GMT
জঙ্গি সন্দেহে কলকাতা পুলিশের বিশেষ টাস্ক ফোর্সের (এসটিএফ) হাতে গ্রেপ্তার হয়েছে এক বাংলাদেশি নাগরিক। মুফতি আবদুল্লাহ আল মাসুদ নামে ওই বাংলাদেশি নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয় পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গয়েশপুর পুলিশ ফাঁড়ি এলাকা থেকে। এরপর তাকে ফাঁড়িতে নিয়ে এসে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ চলে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনাটি ঘটেছে।
ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পরেও ভারত থেকে নিজের দেশে ফিরে যাননি মাসুদ। তিনি অবৈধভাবে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার কাটাগঞ্জ এলাকায় বসবাস করতেন। সম্প্রতি তার বেশ কিছু কর্মকান্ডে সন্দেহ প্রকাশ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এর পরই মাসুদকে ইসলামী উগ্রপন্থী বলে দাবি করে পুলিশে অভিযোগ করা হয়। যেহেতু তার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, তাই পুলিশ তাকে একজন অবৈধ অভিবাসী হিসেবে বিবেচনা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভারতীয় আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি সামনে আসার পরই যথেষ্ট উত্তেজনা ছড়িয়েছে। যদিও এ ব্যাপারে কলকাতা পুলিশের পক্ষে কিছুই জানানো হয়নি।
অন্যদিকে, গত ২৪ ঘন্টায় ভারত বাংলাদেশের দিনাজপুর সীমান্ত ও ভোমরা ঘোজাডাঙা সীমান্তে এলাকায় অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন আরো ১১ জন বাংলাদেশি নাগরিক।
পুলিশ ও বিএসএফের যৌথ অভিযানে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর দিনাজপুর জেলার ইসলামপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক বাংলাদেশি নাগরিককে। আটককৃতে ওই ব্যক্তির নাম পঞ্চানন পাল। তিনি বাংলাদেশের ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গা থানার বাসিন্দা। ভারতে তিনি পরিচয় বদল করে রূপায়ণ পাল নামে বসবাস করছিলেন বলে অভিযোগ। তার কাছ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্ট ছাড়াও ভারতের আধার কার্ড, ভোটার কার্ড ও এমনকি ভারতীয় পাসপোর্ট পর্যন্ত উদ্ধার হয়েছে।
একইদিনে ভারত থেকে অবৈধ পথে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময়ে ঘোজাডাঙ্গা ভোমরা সীমান্তের কাছে সরুপনগর এলাকার তারালি সীমান্ত থেকে বিএসএফের ১৪৩নম্বর ব্যাটালিয়নের হাতে আটক হয়েছেন আরো বাংলাদেশি নাগরিক।
সীমান্তরক্ষী বাহিনী জানিয়েছে আটকের পর তাদের স্বরূপনগর থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। আটককৃতদের মধ্যে রয়েছে তিন শিশু, তিনজন পুরুষ ও চারজন নারী। এর সবাই বাংলাদেশের সাতক্ষীরা এবং খুলনার বাগেরহাটের বাসিন্দা।
সুচরিতা/শাহেদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
চৌদ্দগ্রাম সীমান্ত দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাল বিএসএফ
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের সীমান্ত এলাকা দিয়ে ১৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আমানগন্ডা সীমান্তবর্তী এলাকায় পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ। হস্তান্তর করা ১৯ বাংলাদেশির মধ্যে ৯ জন নারী, ৯ জন পুরুষ ও ১টি শিশু রয়েছে।
কুমিল্লা বিজিবি জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুরে ১৯ জনকে সীমান্ত পিলার নম্বর ২১০৪–সংলগ্ন এলাকা দিয়ে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে বিএসএফ ও বিজিবির উপস্থিতিতে হস্তান্তরপ্রক্রিয়া শেষ হয়। ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের দক্ষিণ ভবানীপুর নিউনিদিয়া বিএসএফ ক্যাম্পের কমান্ডার দীপংকর সাহার নেতৃত্বে বিএসএফের একটি দল এবং বিজিবির চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা বিওপির কমান্ডার মো. মোস্তফার নেতৃত্বে একটি দল পতাকা বৈঠকে অংশ নেয়। এরপর প্রাথমিক কার্যক্রম শেষে সন্ধ্যায় ওই ব্যক্তিদের চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করে বিজিবি।
চৌদ্দগ্রাম উপজেলার আমানগন্ডা বিওপির কমান্ডার মো. মোস্তফা জানান, ফেরত পাঠানো বাংলাদেশিরা বিভিন্ন সময়ে অবৈধ পথে ভারতে গিয়ে দেশটির পুলিশ ও বিএসএফের হাতে আটক হয়। তাঁদের অনেকে ভারতের বিভিন্ন কারাগারে সাজাও ভোগ করেছেন। আটক ব্যক্তিদের তথ্য, নাম–ঠিকানা যাচাই শেষে তাঁদের চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিজিবির কুমিল্লা ব্যাটালিয়নের (১০ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মীর আলী এজাজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিএসএফের সঙ্গে এসব বিষয় নিয়ে আমাদের বেশ কয়েকবার কথা হয়েছে। তাঁদের বলা হয়েছে, কাউকে যেন অবৈধভাবে ঠেলে পাঠানো না হয়। আমরা তাঁদের বলেছি, তাঁদের কাছে কোনো অবৈধ বাংলাদেশি থাকলে যেন আমাদের জানানো হয়। সেই সিদ্ধান্তের আলোকে সম্প্রতি বিএসএফ এই ১৯ বাংলাদেশির নাম–পরিচয় আমাদের জানিয়েছে। আমরা বিভিন্ন মাধ্যমে যাচাই শেষে নিশ্চিত হয়েছি, তাঁরা সবাই বাংলাদেশের নাগরিক। সর্বশেষ আজ দুপুরে পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাঁদের হস্তান্তর করেছে বিএসএফ।’
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ হিলাল উদ্দীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বিজিবি ১৯ জনকে থানায় হস্তান্তর করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করছে বিজিবি। আটক ব্যক্তিদের বাড়ি বাগেরহাট, খুলনাসহ উত্তরাঞ্চলে। আগামীকাল শুক্রবার তাঁদের কুমিল্লার আদালতে পাঠানো হবে।
 হঠাৎ বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল তারিক কাজীর
হঠাৎ বসুন্ধরা কিংসের সঙ্গে চুক্তি বাতিল তারিক কাজীর