মুড়ারবন্দে ৩ দিনব্যাপী ওরস শুরু
Published: 14th, January 2025 GMT
হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে ঐতিহ্যবাহী মুড়ারবন্দ ১২০ আউলিয়া দরবার শরীফে বার্ষিক ওরস শুরু হয়েছে। ১৪, ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি তিন দিনব্যাপী ৭০৪তম বার্ষিক পবিত্র ওরস উপলক্ষে দরবার শরীফে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কড়া নজরদারী রয়েছে দরবার শরীফের কর্তৃপক্ষ, র্যাব, থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসনের।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকালে দরগা কমিটি মোতাওয়াল্লী শাহ সূফী সৈয়দ সফিক আহমদ চিশতী সফি প্রথমে মাজার শরীফে গিলাপ ছড়ানোর মধ্য দিয়ে ওরসের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেন।
আগামী বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মাজার গোসল শেষে রাতে আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে ওরসের সমাপ্তি ঘটবে।
প্রসঙ্গত, সিলেটে চিরনিদ্রায় শায়িত হযরত শাহজালাল (রহঃ) এর সফর সঙ্গী প্রধান সেনাপতি তরফ বিজয়ী হযরত সৈয়দ শাহ নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ) মদিনা শরীফে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাগদাদ থেকে দিল্লীতে এসে সুলতান আলাউদ্দিন খিলজীর অধীনে ফৌজি বিভাগে যোগদান করেন।
দিল্লীর সম্রাট তার কামালিয়াতের পরিচয় পেয়ে শাহী সৈন্য বাহিনীর নেতৃত্ব গ্রহণ করে সিলেট অঞ্চল বিজয়ের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। পথিমধ্যে সিলেট অঞ্চলে হযরত শাহজালাল ইয়ামনী (রহঃ) সঙ্গে মোলাকাত হয় হযরত সৈয়দ শাহ নাসির উদ্দিন সিপাহসালার (রহঃ)। এ সময় মুসলমানদের উপর রাজা গৌরগবিন্দের অত্যাচারের সংবাদ পেয়ে শাহী সৈন্যদের সঙ্গে যোগদান করতে সম্মতি প্রকাশ করেন তিনি। ৭০৩ হিজরী ১৩০৩ খ্রিস্টাব্দে সিলেট অঞ্চলকে বিজয় করে হবিগঞ্জ জেলার লস্করপুর, দাউদনগর, সুলতানশী, চুনারুঘাট উপজেলার মুড়ারবন্দ নামক স্থানে তরফ রাজ্যের শাসনকর্তা হিসেবে নিযুক্ত হয়ে তিনি বসতি স্থাপন করেন।
ঢাকা/মামুন/ইমন
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।
গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।
সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।