শহীদ জিয়ার আদর্শে জনগন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল : মুকুল
Published: 21st, January 2025 GMT
বিএনপি প্রতিষ্ঠাতা ও শহীদ রাষ্ট্রপতি মেজর জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্ম বার্ষিকী উপলক্ষে বন্দরে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারী) বাদ জহুর কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি উদ্যাগে বন্দর উপজেলার দক্ষিন ঘারমোড়া এলাকায় এ দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
মিলাদ ও দোয়া মাহফিল পূর্বে আলোচনা সভায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি সাবেক সহ সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আতাউর রহমান মুকুল বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এমন একজন লোক ছিলেন এ বাংলাদেশের ক্লান্তিলগ্নে তিনি ছাড়া হাল ধরার মত কোন লোক ছিল না। শেখ মজিবুর রহমান ২৫ তারিখ পাকিস্তানে আত্মসমর্পণ করে।
ওনি নাকি ৭ মার্চ স্বাধীনতা ঘোষনা করেছেন। এখনে যারা মুরব্বিরা রয়েছেন আপনারা কি শুনেছেন শেখ মজিবুর রহমানকে স্বাধীনতা ঘোষনা দিতে। সে যুদ্ধের জন্য দেশবাসীকে আহবান জানিয়ে। যার পরিবার ও আওয়ামীলীগ থেকেও মুক্তিযুদ্ধের কোন ভূমিকা ছিলনা। তারা নাকি মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক।
তিনি আরো বলেন, শহীদ জিয়ার আর্দশে অনুপ্রানিত এদেশের সাধারন জনগন যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সভাপতি শহিদ মেম্বারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বন্দর উপজেলা বিএনপি যুগ্ম আহবায়ক আবুল কাশেম। আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপি নেতা আওলাদ হোসেন, ২০ নং ওয়ার্ড বিএনপি নেতা মেজবা উদ্দিন স্বপন,মোস্তাকুর রহমান মোস্তাক,
কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি সিনিয়র সহ সভাপতি মোঃ সাফিক, সহ সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব মেম্বার, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক জাকির হোসেন ও মোরশেদ আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপন মাহামুদ।
আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরো উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় বিএনপি নেতা মোঃ নুরুল ইসলাম, মোঃ মঞ্জুর হোসেন, মোঃ আল-আমিন, মোঃ শামিম, মোঃ সোহেল, মোঃ আওলাদসহ কলাগাছিয়া ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। মিলাদ ও দোয়া শেষে অসহায়দের মাঝে রান্না করা গরম খাবার বিতরণ করা হয়।
উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ কল গ ছ য় র রহম ন
এছাড়াও পড়ুন:
আড়াইহাজারে শীর্ষ মাদক কারবারি সন্ত্রাসী সোহেল সহযোগীসহ গ্রেপ্তার
আড়াইহাজার উপজেলার শীর্ষ মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল ও তার সহযোগী ফজলুল হক ওরফে ফজুকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১১।
শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে কুমিল্লা জেলার দাউদকান্দি থানার দাউদকান্দি ব্রিজের টোল-প্লাজা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত সোহেল মেম্বার ওরফে ফেন্সি সোহেল (৩৮) আড়াইহাজারের বালিয়াপাড়া এলাকার মোঃ মকবুল হোসেনের পুত্র। অপরদিকে ফজলুল হক ওরফে ফজু (৩০) একই এলাকার আউয়ালের পুত্র।
গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সূকৌশলে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ক্রয়-বিক্রয়সহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জড়িত ছিল মর্মে স্বীকার করে। গ্রেপ্তারকৃত আসামী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর বিরুদ্ধে নারয়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও মাদক, অপহরণ, চুরি, হত্যা চেষ্টাসহ ১৪-১৫টি মামলা রয়েছে।
এছাড়া গ্রেপ্তারকৃত আসামি ফজলুল হক ফজু এর বিরুদ্ধে নারায়ণগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী, অপহরণ, ছিনতাইসহ ৪-৫টি মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত আসামিদ্বয়কে পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রমের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
শুক্রবার বিকেলে র্যাব-১১ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের বালিয়াপাড়ার মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল বিগত ইউপি নির্বাচনে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে ইউপি সদস্য নির্বাচিত হয়। নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সে আরও বেপোরোয়া হয়ে উঠে।
পরবর্তীতে সে অবৈধ মাদক সেবন ও ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে জড়িয়ে পরে। পরবর্তিতে এক সময় সে এলাকায় শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিতি পায়। তখন থেকে সবাই ফেন্সি সোহেল হিসাবে ডাকে। দীর্ঘদিন ধরে মাদক বিক্রির সঙ্গে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে আসছে। তার পুরো পরিবার মাদকের সঙ্গে জড়িত। প্রকাশ্যে অস্ত্র নিয়ে মহড়া দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
ফজলুল হক ফজু এই শীর্ষ সন্ত্রাসী-মাদক ব্যবসায়ী সোহেল মেম্বার ফেন্সি সোহেল এর একান্ত সহযোগী। তাদের ভয়ে এলাকাবাসী ভীত-সন্ত্রস্ত। যারাই তাদের এই সন্ত্রাসী কার্যক্রম ও মাদক ব্যবসার বিরোধিতা করে তাদেরকেই সোহেল ও তার সহযোগীরা নির্মমভাবে নির্যাতন করে।