ইউজিসির দেওয়া সুযোগকে কাজে লাগিয়ে গবেষণার মান বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (হাবিপ্রবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. এনামউল্যা।

তিনি বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের জ্ঞান ও গবেষণায় দক্ষ করে গড়ে তোলার জন্য বাংলাদেশ সরকার বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) মাধ্যমে এ প্রকল্প শুরু করেছে। এর অন্যতম লক্ষ্য হলো, গবেষণা ক্ষেত্রকে আরও বিস্তৃত করে তা আন্তজার্তিক পর্যায়ে উন্নীত করা।”

তিনি আরো বলেন, “আমাদের নিজ নিজ জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে। এ সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে প্রত্যেকের গবেষণার মান বাড়াতে হবে। যার মাধ্যমে হাবিপ্রবিকে আমরা আন্তজার্তিক পর্যায়ে উপস্থাপন করতে পারব।”

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি)  বিকাল ৪ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়াম-২’তে হাবিপ্রবি ইন্সটিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল আয়োজিত প্রকল্প প্রস্তাবনা শীর্ষক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন।

আইকিউএসি’র পরিচালক কৃষিবিদ অধ্যাপক ড.

সাইফুল হুদার সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. শফিকুল ইসলাম সিকদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম. জাহাঙ্গীর কবির।

কি-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউজিসি পরিচালিত প্রকল্পের পরিচালক অধ্যাপক ড. আসাদুজ্জামান।

আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোমিনুর রহমানের সঞ্চালনায় কর্মশালায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় চেয়ারম্যানবৃন্দসহ অন্যান্য শিক্ষকরা অংশগ্রহণ করেন। 

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) পরিচালিত ‘হায়ার এডুকেশন অ্যাক্সিলারেশন অ্যান্ড ট্রান্সফরমেশন’ প্রকল্পটি দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার মানোন্নয়ন ও রূপান্তরে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্প বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্বব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে পরিচালিত হচ্ছে।

ঢাকা/সংগ্রাম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রকল প পর চ ল ইউজ স

এছাড়াও পড়ুন:

ছুটি না পেয়ে অসুস্থ শ্রমিকের মৃত্যু, মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ 

নারায়ণগঞ্জের বন্দরের মদনপুর এলাকায় লারিজ ফ্যাশনের পোশাক কারখানায় অসুস্থ হয়ে রিনা আক্তার (৩২) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন শ্রমিকরা। 

সোমবার (৩ নভেম্বর) সকালে তারা মদনপুরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেন। খবর পেয়ে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। 

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রমিকরা জানিয়েছেন, রিনা আক্তার অসুস্থ অবস্থায় কারখানায় কাজ করছিলেন। রোববার তিনি বেশি অসুস্থতা অনুভব করলে ছুটি চেয়ে আবেদন করেন। তবে, কর্তৃপক্ষ ওই শ্রমিকের আবেদনে সাড়া না দিয়ে কাজ করতে বাধ্য করেন। ওই নারী গুরুতর অসুস্থ হয়ে ফ্লোরে লুটিয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে সহকর্মীরা স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

অবরোধকারী শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য মালিকপক্ষ দায়ী। রিনা অসুস্থ হওয়া সত্ত্বেও তাকে ছুটি দেওয়া হয়নি। চিকিৎসার অভাবে মারা গেছেন তিনি। 

লারিজ ফ্যাশনের মালিকপক্ষ ও কর্মকর্তাদেরকে গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছেন শ্রমিকরা।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে লারিজ ফ্যাশন কোম্পানির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) শিমুল বলেছেন, আমাদের একজন শ্রমিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে তাকে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে মৃত্যু হয়। এতে আমাদের কোনো গাফিলতি নেই। আমরা আমাদের সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি।

কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাদের জিলানী বলেছেন, সহকর্মীর মৃত্যুর জন্য গার্মেন্টস মালিকপক্ষ দায়ী, এমন অভিযোগ করে শ্রমিকরা আন্দোলনে নেমেছেন। আমরা তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছি। ঘটনাস্থলে থানা পুলিশের সঙ্গে হাইওয়ে ও ইন্ডাস্ট্রিয়াল পুলিশও আছে। শ্রমিকরা রাস্তা থেকে সরে গেছেন। যানচলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

ঢাকা/অনিক/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ