ঋষভ শেঠির কন্নড় সিনেমা ‘কানতারা: চ্যাপটার ১’ বক্স অফিসে এখনো ঝড় তুলছে। মুক্তির দুই সপ্তাহ পরও ছবিটির দাপট কিছুটা কমলেও আয় দাঁড়িয়েছে বিশাল অঙ্কে। শিল্পবিশ্লেষক সংস্থা স্যাকনিল্কের তথ্য অনুযায়ী, মুক্তির ১৮তম দিনে গতকাল রোববার ছবিটি ভারতে আয় করেছে ১৭ কোটি রুপির বেশি। এর মধ্যেই ছুঁয়ে ফেলেছে ৫০০ কোটির মাইলফলক। খবর ইন্ডিয়া টুডের
‘কানতারা: চ্যাপটার ১’ আসলে জনপ্রিয় ‘কানতারা’ সিনেমার প্রিকুয়েল। আগের ছবিটির অনন্য সাফল্যের পর দর্শকদের প্রত্যাশা ছিল আকাশছোঁয়া, আর ঋষভ শেঠি যেন সেই প্রত্যাশারও ঊর্ধ্বে চলে গেছেন। ছবিটি ইতিহাস, মিথ ও লোকজ বিশ্বাসের মেলবন্ধনে গড়ে ওঠা এক শক্তিশালী পিরিয়ড অ্যাকশন ড্রামা, যেখানে ঋষভ আবারও তাঁর পরিচালনা ও অভিনয়-দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন।
মাত্র ১৮ দিনেই কন্নড় সিনেমাটি পৌঁছে গেছে সেই ৫০০ কোটি রুপি আয়ের অভিজাত তালিকায়, যেখানে আগে জায়গা পেয়েছিল ‘বাহুবলী ২’, ‘কেজিএফ ২’ ও ‘জেলার’।
আরও পড়ুনকোথায় গিয়ে থামবে ‘কানতারা’১৭ অক্টোবর ২০২৫‘কানতারা: চ্যাপটার ১’ সিনেমায় ঋষভ শেঠি.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক নত র
এছাড়াও পড়ুন:
সিলেট নগরে দখলমুক্ত সাত ফুটপাত
সিলেট নগরের গুরুত্বপূর্ণ সাতটি এলাকার ফুটপাত ও প্রধান সড়কের একাংশ হকারদের দখলে ছিল। প্রতিদিনই হাজারো হকার বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসতেন। এতে যানজট হতো, পথচারীরাও নির্বিঘ্নে চলাচল করতে পারতেন না। অবশেষে প্রশাসনের তৎপরতায় ভোগান্তির অবসান হয়েছে। জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সিটি করপোরেশনের তৎপরতায় ফুটপাতগুলো দখলমুক্ত করা হয়েছে।
স্থানীয় প্রশাসন জানিয়েছে, গত ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ হকার উচ্ছেদে অভিযান শুরু করে। সে সময় নগরের লালদিঘির পাড় এলাকায় হকারদের জন্য আগে থেকে নির্ধারিত স্থানটি আবার সংস্কারের পর ব্যবসার উপযোগী করে পুনর্বাসনের যাবতীয় উদ্যোগ নেওয়া হয়।
সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, হকার পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার যাবতীয় প্রস্তুতি এরই মধ্যে শেষ করেছে সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ। এরপর হকারদের ফুটপাত ছেড়ে ওই নির্দিষ্ট স্থানে চলে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। আহ্বানে সাড়া দিয়ে অনেকে সেখানে চলে গেছেন। যাঁরা যাননি, তাঁদের উচ্ছেদে গতকাল রোববার বেলা আড়াইটা থেকে অভিযান শুরু হয়। এ অবস্থায় কোনো হকারকেই ফুটপাতে বসতে দেওয়া হয়নি। আজ সোমবারও পুলিশের তৎপরতার কারণে কোনো হকার ফুটপাতে বসেননি।
সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (গণমাধ্যম) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জানান, নগরের কিনব্রিজ, সুরমা পয়েন্ট, তালতলা, বন্দরবাজার, জিন্দাবাজার, মহাজনপট্টি ও চৌহাট্টা এলাকায় সাতজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পুলিশের কয়েক শ সদস্য গতকাল রোববার অভিযানে নামেন। আজ সোমবারও পুলিশের তৎপরতা আছে। এখন থেকে যাঁরাই ফুটপাত দখল করবেন, তাঁদের বিরুদ্ধেই আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আজ দুপুরে সরেজমিন দেখা গেছে, গতকালের অভিযানসংশ্লিষ্ট স্থানগুলোয় হকার নেই। পথচারীরা ফুটপাত দিয়ে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করছেন। দোকানমালিকদেরও তাঁদের সামনের ফুটপাতের অংশ দখল করে পণ্য রাখতে বাধা দেয় পুলিশ। গতকালের মতো আজও যানজট ছিল সহনীয় পর্যায়ে। তবে পর্যায়ক্রমে অন্যান্য এলাকাও হকারমুক্ত করার দাবি জানান নগরের বাসিন্দারা।
গতকাল বিকেলে বন্দরবাজার এলাকার পথচারী মমতাজুর রহমান বলেন, এখন ফুটপাত ও সড়কের একাংশ হকারমুক্ত থাকায় ভোগান্তি ও যানজট কমেছে। তবে আগে কালেক্টরেট মসজিদের সামনের সড়কের আশপাশের যে অংশে হকারেরা বসতেন, এখন তা দখলমুক্ত হওয়ায় সিএনজি, অটোরিকশা ও লেগুনা দাঁড় করিয়ে যাত্রী ওঠানামা চলছে। এটাও রোধ করতে হবে। তবেই ভোগান্তি পরিপূর্ণভাবে নিরসন হবে।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রেজাই রাফিন সরকার বলেন, অন্তত আড়াই হাজার হকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। কোনো হকারকে ফুটপাত কিংবা রাস্তায় ব্যবসা করতে দেখলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। আর অস্থায়ী স্ট্যান্ডগুলোতে কতটি সিএনজি, অটোরিকশা ও লেগুনা একসঙ্গে যাত্রী পরিবহন করতে পারবে, সেটা ট্রাফিক পুলিশ নির্ধারণ করে দিয়েছে। এর বেশি সড়কে থাকলেই সংশ্লিষ্ট চালকদের বিরুদ্ধে পুলিশ ব্যবস্থা নেবে।
সিলেটের জেলা প্রশাসক মো. সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শহরটা আমাদের সবার। এই শহর যদি সুশৃঙ্খল থাকে, তাহলে এর সুফল আমরা সবাই পাব। শহরের ফুটপাত দখল করা হকারদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা হয়েছে। তাই কোনো ধরনের অজুহাত আর মানা হবে না। নগরের ফুটপাত ও রাস্তাঘাট এখন থেকে হকারমুক্ত থাকবে। এ জন্য প্রশাসনের জিরো টলারেন্স থাকবে।’