‘দিল্লিতে কুম্বলের ১০ উইকেট নেওয়ার উইকেট মিরপুরের থেকেও খারাপ ছি
Published: 20th, October 2025 GMT
জিম লেকার, অনিল কুম্বলে, এজাজ পাটেল। ত্রয়ীর মধ্যে অদ্ভুত মিল রয়েছে। স্পিনে তিনজন হাত ঘুরান। ক্রিকেট বিশ্বে তারাই কেবল টেস্টে এক ইনিংসে ১০টি উইকেট পেয়েছেন। জিম লেকার ম্যানচেস্টারে। অনিল কুম্বলে দিল্লিতে। এজাজ মুম্বাইয়ে। প্রতিপক্ষ যথাক্রমে অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও ভারত।
বিংশ শতাব্দীর আগে এই অস্বাভাবিক সাফল্যের দেখা পেয়েছিলেন লেকার ও কুম্বরে। এজাজই কেবল বিংশ শতাব্দীর প্রতিনিধি। হঠাৎ এই আলোচনা কেন? কেনই বা ১০ উইকেট নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। আলোচনাটা উঠছে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদের এক মন্তব্যকে ঘিরে।
আরো পড়ুন:
টিভিতে আজকের খেলা
কোহলির ঘোষণা, ‘‘শারীরিকভাবে এখন আগের থেকেও বেশি ফিট”
মিরপুর শের-ই-বাংলার উইকেট নিয়ে আলোচনা থামছে না। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের পর মিরপুরে আবার ফিরেছে ওয়ানডে। এ সময়ে গামিনি ডি সিলভার পরিবর্তে মিরপুরের দায়িত্বে টনি হেমিং। কিন্তু চিরচেনা মিরপুর পাল্টাতে পারেনি স্পিন দূর্গ। ধীর গতির, লো বাউন্সের উইকেট। তাতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ রীতিমত হিমশিম খেল। বাংলাদেশও ভুুগেছে।
তাতেই উঠছে প্রশ্ন, এমন উইকেট খেলে লাভ কী? আর জয়েও কি প্রত্যাশিত লক্ষ্য পূরণ হলো? সময়ের কাছে সেই প্রশ্ন তোলা থাক। আগামীকাল মঙ্গলবার দুই দলের দ্বিতীয় ওয়ানডে। দলের প্রতিনিধি হয়ে মুশতাক আহমেদ এসেছিলেন সংবাদ সম্মেলনে।
কিংবদন্তি স্পিনার পাকিস্তানের হয়ে লম্বা সময় খেলেছেন। ৯৬ এর বিশ্বকাপ জিতেছেন। লেগ স্পিনার হিসেবে সাফল্য টইটুম্বর। তার কাছেই জানতে চাওয়া হয়েছিল, এর চেয় বাজে উইকেট এর আগে তিনি দেখেছেন কি না? উত্তরে বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ, অনেক (বাজে উইকেট)। আমার মনে আছে, দিল্লিতে ভারতের বিরুদ্ধে একটি ম্যাচে অনিল কুম্বলে এক ইনিংসে ১০ উইকেট পেয়েছিলেন। সেই উইকেটটি এর থেকেও খারাপ ছিল।’’
এমন উইকেটে মুশতাক নিজের সেরা সময়ে কত উইকেট পেতেন? সহজেই ৭, ৮, এমনকি ১০ উইকেট নিতে পারতেন? উত্তরে তিনি বলেছেন, ‘‘না, সত্যি বলতে এটা ততটা সহজ নয়। যেমনটা ওই ভাই জিজ্ঞাসা করলেন, কখনও কখনও বেশি চাপের মধ্যে থাকতে হয় কারণ আপনাকে সেরাটা দিতে হবে। একজন তরুণ লেগ-স্পিনার হিসেবে আপনি নার্ভাস হতে পারেন। কোচিং দৃষ্টিকোণ থেকে আমার কথা হলো প্রক্রিয়া ধরে রাখা। এই পিচগুলো কখনও কখনও আপনাকে আপনার কমফোর্ট জোন এবং প্রক্রিয়া থেকে বের করে নিয়ে যেতে পারে।’’
এজন্য সেন্ট্রাল উইকেটে লম্বা সময় স্পিনাররা বল করেছেন। কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে মুশতাক বলেছেন, ‘‘এই ধরণের পিচে, আপনাকে খুব স্মার্ট এবং ফিল্ড পজিশন নিয়ে ধূর্ত হতে হবে। সঠিক ফিল্ড সেট করে আপনাকে ব্যাটসম্যানকে আউট করতে হবে, সে ফ্রন্ট-ফুট না ব্যাক-ফুট প্লেয়ার, এবং আপনার গতি (৮৫ বা ৯০+ কিমি/ঘন্টা) কেমন হবে, তা বুঝে বল করতে হবে। কোচ হিসেবে আমরা তাদের তথ্য দিই, এবং প্লেয়ারদের তা মাঠে কার্যকর করতে হয়।’’
ঢাকা/ইয়াসিন
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ১০ উইক ট উইক ট ন ক ম বল ম শত ক আপন ক
এছাড়াও পড়ুন:
ডায়াবেটিক রোগীদের আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষার দিন শেষ হচ্ছে
রক্তের শর্করা মাপার জন্য ডায়াবেটিক রোগীদের অনেকেই নিয়মিত আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষা করেন। বিষয়টি কষ্টকর হলেও ডায়াবেটিসের প্রকোপ এবং এর জটিলতা মোকাবিলায় রক্তের শর্করা পরীক্ষা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজির (এমআইটি) বিজ্ঞানীরা আলোর তরঙ্গ কাজে লাগিয়ে রক্তের শর্করার মাত্রা পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম যন্ত্র উদ্ভাবন করেছেন। সেন্সরযুক্ত যন্ত্রটির ওপর হাত রাখলেই রক্তের শর্করার মাত্রা জানা যাবে। ফলে আঙুলে সুচ ঢুকিয়ে রক্ত পরীক্ষা করতে হবে না ডায়াবেটিক রোগীদের। নতুন এই যন্ত্রের তথ্য অ্যানালিটিক্যাল কেমিস্ট্রি সাময়িকীতে প্রকাশিত হয়েছে।
নতুন যন্ত্রটির বিষয়ে এমআইটির বিজ্ঞানী জেওন উওং ক্যাং জানান, কেউই চায় না প্রতিদিন একাধিকবার নিজের আঙুলে সুচ ফোটাতে। এটি বেশ অস্বস্তির বিষয়। অনেকেই চিকিৎসকের সুপারিশের চেয়ে কম ঘন ঘন পরীক্ষা করেন, এতে গুরুতর স্বাস্থ্য জটিলতার ঝুঁকি বাড়ে। নতুন আলোভিত্তিক বিকল্প সমাধান ১৫ বছরেরও বেশি সময়ের গবেষণার ফসল। ২০১০ সালে এমআইটির লেজার বায়োমেডিকেল রিসার্চ সেন্টারের প্রকৌশলীরা প্রথম দেখান, রামান স্পেকট্রোস্কোপি ব্যবহার করে গ্লুকোজের মাত্রা পরিমাপ করা যেতে পারে। এই কৌশলে বিভিন্ন অণু কীভাবে আলোকে বিচ্ছুরিত করে তার ভিত্তিতে শনাক্ত করা হয়। ত্বকের ওপর কাছাকাছি-ইনফ্রারেড ও দৃশ্যমান আলো ফেলে রামান সংকেত বিশ্লেষণ করা হয়। ফলে তরলে গ্লুকোজ শনাক্ত করা যায়।
২০২০ সালে এই ধারণার ওপর ভিত্তি করে অন্য একটি কোণ থেকে আসা কাছাকাছি-ইনফ্রারেড আলোর সঙ্গে রহমান আলোকে একত্র করার মাধ্যমে গ্লুকোজ সংকেতকে আলাদা করার পদ্ধতি আবিষ্কার করা হয়। এই পদ্ধতি অন্যান্য ত্বকের অণুর সংকেত ফিল্টার করতে সাহায্য করে। ফলে গ্লুকোজের তথ্য স্পষ্টভাবে পাওয়া যায়।
আগে সংকেত ধারণের যন্ত্রটি আকারে প্রায় প্রিন্টারের সমান ছিল। দীর্ঘ গবেষণার পর বিজ্ঞানীরা এখন যন্ত্রটির আকার কমিয়ে এনেছেন, যা প্রায় জুতার বাক্সের সমান। এ বিষয়ে বিজ্ঞানী আরিয়ানা ব্রেসি বলেন, আমরা এখন মাত্র তিনটি সংকেতের ব্যান্ডের ওপর মনোযোগ দিচ্ছি। যন্ত্রটির মাধ্যমে তথ্য জানতে মাত্র ৩০ সেকেন্ড সময় প্রয়োজন।
সূত্র: ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস