দু’দিনেও মেলেনি সূর্যের দেখা, বিপদে দিনমজুর
Published: 23rd, January 2025 GMT
মৌলভীবাজারে দু’দিন ধরে সূর্যের দেখা মিলছে না। কুয়াশার চাদরে ঢাকা পড়েছে প্রকৃতি। একই সঙ্গে বাতাস ও কনকনে শীতের কারণে মাঠে যেতে পারছেন না চাষিরা। দিনমজুররা ঘর ছেড়ে বের হচ্ছেন না। এতে সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে।
শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুয়াশাচ্ছন্ন আবহাওয়ার কারণে দু’দিন ধরে রোদের দেখা মেলেনি। তাপমাত্রা খুব নিচে নামলেও রোদ না থাকায় শীত বেশি অনুভূত হচ্ছে। বৃহস্পতিবার ভোর ৬টা ও সকাল ৯টায় শ্রীমঙ্গলে ১৩ দশমিক ৫ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে বলে জানান শ্রীমঙ্গল আবহাওয়া অফিসের পর্যক্ষেক মুজিবুর রহমান।
মৌলভীবাজার সদর উপজেলার শেরপুর গ্রামের কৃষক মোস্তাকিম মিয়া জানান, নিচু জমিতে
বোরো রোপণের মৌসুম শেষ হয়ে যাচ্ছে। তীব্র কুয়াশার জন্য ৫০০ টাকার রোজের কামলা (শ্রমিক) ৬০০ টাকায়ও কাজে আসছে না। এতে কৃষি খাতে চরম ক্ষতি হচ্ছে।
কৃষি শ্রমিক আলী হোসেনের ভাষ্য, ‘জান বাঁচলে তো টাকা আর পয়সা। শীত কমুক টেকা রুজি হইবোনে।’
এদিকে ট্রাকচালক নাইওর মিয়া বলেন, দুর্ঘটনা এড়াতে দিনের বেলায় হেডলাইট জ্বালিয়ে যানবাহন চালাতে হচ্ছে। রাতে ফগলাইট জ্বালিয়েও স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চালানো কষ্টকর।
মৌলভীবাজার জেলা হাওর ও চা বাগান অধ্যুষিত হওয়ায় ভোর হলেই কাজে বের হতে হয় চাষি ও চা শ্রমিকদের। জেলার কুলাউড়া, জুড়ী, বড়লেখা উপজেলার বিরাট অংশজুড়ে হাকালুকি হাওর। এ ছাড়া রাজনগর ও সদর উপজেলায় কাউয়াদীঘি ও কড়াইয়া হাওর।
অন্যদিকে শ্রীমঙ্গল ও সদর উপজেলার একাংশব্যাপী হাইল হাওরসহ ছোট-বড় অনেক হাওর। এসব হাওরের বিস্তীর্ণ জমিতে বোরো ধান আবাদ করা হয়। এ ছাড়া জেলায় ৯২টি চা বাগান রয়েছে। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে দু’দিন ধরে শ্রমজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। এতে বিপাকে পড়েছেন কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষের পরিবার-পরিজন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বিএলআরআই নিয়োগবিধিতে বৈষম্যের অভিযোগে গবিতে মানববন্ধন
বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) নিয়োগবিধিতে সমন্বিত বিএসসি ডিগ্রি অন্তর্ভুক্ত না করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস অনুষদের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ মানববন্ধন করেন তারা।
আরো পড়ুন:
সুদানে গণহত্যার প্রতিবাদে জাবি ও জবিতে মানববন্ধন
ইবিতে ছাত্রীর পোশাক নিয়ে শিক্ষকের কটূক্তি, শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ‘অধিকারের নামে কেন এই বৈষম্য?’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রি অপরাধ নয়’, ‘ভেটেরিনারি একটাই পরিবার, কম্বাইন্ড ডিগ্রিতে সমান অধিকার’, ‘কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারী ছাত্র-ছাত্রী চাই ন্যায্য সম্মান’, ‘ভেটেরিনারি পরিবারে সমান অধিকার’, ‘সমন্বিত শিক্ষা দেশের সম্মান’, ‘আদিম পশু পালনে নয়, বরং সমন্বিত ভেটেরিনারি শিক্ষা দেশের সম্মান’ ইত্যাদি প্ল্যাকার্ড প্রদর্শন করেন।
শিক্ষার্থীরা জানান, দ্রুত সময়ের মধ্যে নিয়োগবিধি সংশোধন না হলে আরো কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
এ সময় গবি ছাত্র সংসদের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. হুমায়ুন কবির বলেন, “বাংলাদেশ লাইভস্টক রিসার্চ ইনস্টিটিউট কম্বাইন্ড ডিগ্রিধারীদের নিয়োগে বৈষম্য করছে। এটি আমাদের প্রতি স্পষ্ট অবিচার। আমরা ইতোমধ্যে প্রাণিসম্পদ ও মৎস্য উপদেষ্টা ফরিদা আখতার ম্যামসহ বিএলআরআই কর্তৃপক্ষের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। কিন্তু তারা বারবার বিষয়টি উপেক্ষা করছে। আমরা এর স্থায়ী সমাধান চাই।”
আরেক শিক্ষার্থী মো. মাহিদুজ্জামান সিয়াম বলেন, “দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের বৃহত্তর স্বার্থে ২০১৬ সালে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর উদ্যোগে কম্বাইন্ড ডিগ্রি চালু হয়। পরবর্তীতে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়েও এই কোর্স চালু করা হয়। আমরা পশু চিকিৎসা ও পশু পালন—উভয় বিষয়ে সমন্বিত জ্ঞান অর্জন করি। অথচ বিএলআরআই আমাদের কোনো গবেষণা বা চাকরির সুযোগ দিচ্ছে না। এটি বৈষম্যমূলক ও স্বৈরাচারী আচরণ।”
মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি দেন এবং সমস্যার দ্রুত সমাধানে প্রয়োজনীয় হস্তক্ষেপ দাবি করেন।
ঢাকা/সানজিদা/মেহেদী