সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতনের দাবিতে রাজধানীর শহীদ মিনারে সমাবেশ করছেন শিক্ষকরা। আজ শুক্রবার সকাল ১০টায় দেশের বিভিন্ন জেলার প্রাথমিক সহকারী শিক্ষকরা এসে জড়ো হন কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে পবিত্র কোনআন তোলাওয়াত ও গীতা পাঠের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় সমাবেশ। 

সমাবেশে শিক্ষকদের ‘এক দফা, এক দাবি’, ‘শিক্ষকদের ১০ গ্রেড’, ‘জেগেছে রে জেগেছে’, ‘শিক্ষক সমাজ জেগেছে’, ‘তুমি কে আমি কে শিক্ষক শিক্ষক’, ‘ইউনূসের বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’, ‘আমার সোনার বাংলায় বৈষম্যের ঠাঁই নাই’- এমন নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়।

মুন্সিগঞ্জ থেকে আসা সুরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক শারমিন রহমান সমকালকে বলেন, শিক্ষকের মান যদি উন্নয়ন না হয়, তাহলে কিভাবে শিক্ষার গুণগত মান ঠিক হবে। তিনি বলেন, শিক্ষকের বেতন কম, সম্মান কম, মাস শেষে পরিবার নিয়ে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয়। শুধু দশম গ্রেড নয়, আমরা শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতিও চাই।

কুমিল্লা থেকে আসা টি সাহেববাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক আরমান হাসিব বলেন, আমরা বিভিন্ন সময়ে দশম গ্রেডের দাবি জানিয়ে আসছি। আমাদের একটাই দাবি, আমরা রাষ্ট্রের তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী হয়ে থাকতে চাই না। অন্তবর্তী সরকারের কাছে অনুরোধ, যেন আমাদের দাবি দ্রুত সময়ে মেনে নেওয়া হয়। শিক্ষকদের তৃতীয় শ্রেণিতে রেখে সুন্দর দেশ গড়া সম্ভব না বলেও জানান তিনি।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: দশম গ র ড শ ক ষকদ র সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

গভীর রাতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ইফতিখারুল আমল মাসঊদের বাড়িতে ককটেল বিস্ফোরণ করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল বুধবার গভীর রাতে বিনোদপুরের মণ্ডলের মোড় এলাকায় তাঁর বাড়ির দরজার সামনে এ ঘটনা ঘটে। তবে এতে কেউ আহত হয়নি।

মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সেখানে তিনটি ককটেল বিস্ফোরণ করা হয়েছে। তবে কে বা কারা এটি করেছে, সে বিষয়ে এখনো কিছু জানা যায়নি। এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগও কেউ করেনি। তাঁরা দুর্বৃত্তদের শনাক্তের চেষ্টা করছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ইফতিখারুল আমল মাসঊদের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে ঘটনার পর তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘ফ্যাসিবাদী অপশক্তির জুলুম-নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলাম। কোনো রক্তচক্ষুর ভয়ংকর হুমকি অন্যায়ের প্রতিবাদ করা থেকে বিরত রাখতে পারেনি। তবে তারা কখনো বাড়ি পর্যন্ত আসার ঔদ্ধত্য দেখাতে পারেনি। কিন্তু আজ আমার বাড়ির দরজায় গভীর রাতের অন্ধকারে হামলার সাহস দেখিয়েছে কাপুরুষের দল! এরা কারা? এদের শিকড়সহ উৎপাটনের দাবি জানাই।’

এ ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহউপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ভেবেছিলাম বাড়ির গেটে কিংবা গেটের বাইরে। কিন্তু গিয়ে দেখলাম একেবারে বাড়িতে হামলা হয়েছে। গতকালই ওনার অসুস্থ বাবা হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে বাসায় এসেছেন। জানি না শেষ কবে একজন শিক্ষকের বাড়িতে রাতের আঁধারে এভাবে সন্ত্রাসী হামলা হয়েছে। আমরা শঙ্কিত, স্তম্ভিত।’

এদিকে হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ শামসুজ্জোহা চত্বরে এ সমাবেশের আয়োজন চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ