পে-স্কেল অনুযায়ী চাকরি দশম গ্রেডে উন্নীতি করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের রমনার কার্যালয় যমুনায় যাওয়ার পথে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের শাহবাগে আটকে দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে শিক্ষকরা যমুনা অভিমুখে রওনা হলে শাহবাগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। তারা সেখানেই অবস্থান নিয়েছেন। শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত তাদের সেখানে অবস্থান করছিলেন।

শাহবাগে অবস্থান নেওয়া শিক্ষকদের হাতে রয়েছে দাবি আদায়ের স্লোগান লেখা ব্যানার ও ফেস্টুন। সেখানে তারা স্লোগানও দিচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

৪৭তম বিসিএসের আবেদনের সময় বাড়ল

ঢাকা ও সিটি কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

শুক্রবার সকাল থেকে রাজপথে রয়েছেন সরকারি প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা। তাদের দাবি একটাই- ‘পে-স্কেলের দশম গ্রেডে অন্তর্ভুক্তি’।

‘লং মার্চ টু ঢাকা’ কর্মসূচি দিয়ে শুক্রবার (২৪ জানুয়ারি) ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হন প্রাথমিকের শিক্ষকরা। বিশেষ করে ঢাকা ও আশপাশের জেলার শিক্ষকরাই সমাবেশ ভরে তোলেন। 

সমাবেশে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তাদের বক্তব্যে সরকারের কাছে একটিই দাবি রাখেন। তারা চান পে-স্কেলের দশম গ্রেডে উন্নীতি করা হোক তাদের চাকরি।

সমাবেশে সংহতি জানিয়ে শিক্ষকদের সঙ্গে যোগ দেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনিও তার বক্তব্যে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ন্যায্য দাবি মেনে নেওয়ার কথা বলেন।

এ সময় স্লোগানে স্লোগানে শহীদ মিনার এলাকা মুখর করে তোলেন শিক্ষকরা।

তৃতীয় শ্রেণির সরকারি কর্মচারী হিসেবে জাতি গঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রাথমিকের শিক্ষকদের ওপর। এই পরিহাস থেকে তারা পরিত্রাণ চান। মিছিলের স্লোগানে উঠে আসে সেই দাবি।

শহীদ মিনার থেকে মিছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির সামনে দিয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় যমুনার দিকে রওনা হন শিক্ষকরা।তবে শাহবাগে তাদের আটকে দেয় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হওয়ার পর তারা সেখানেই বসে পড়েন। 

ঢাকা/রায়হান/সাইফ/রাসেল

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর শ ক ষকদ র শ ক ষকর সরক র

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ