বান্দরবানে বন্যহাতির আক্রমণে শ্রমিকের মৃত্যু
Published: 25th, January 2025 GMT
বান্দরবান জেলার লামা উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে মো. কালু (৫০) নামের এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছেন।
শনিবার (২৫ জানুয়ারি) ভোরে উপজেলার সরই ইউনিয়নের ইছহাক মেম্বার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত কালু কক্সবাজার জেলার মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের আক্কেল আলীর ছেলে। তিনি সরই ইউনিয়নে ইছহাক মেম্বার পাড়ায় একটি পানের বরজে শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেন।
স্থানীয়রা জানান, পাহাড়ে খাদ্য সংকট দেখা দেওয়ায় বন্যহাতির পাল লোকালয়ে খাবারের সন্ধানে প্রায়ই হানা দেয়। এ ধারাবাহিকতায় আজ ভোর ৪টার দিকে গহিন পাহাড় থেকে একদল বন্যহাতি ইছহাক মেম্বার পাড়ায় নেমে পড়ে। পরে হাতিগুলো ধান চালের খোঁজে একটি খামার ঘরে ঢুকে পড়ে। এ সময় ঘরে ঘুমিয়ে থাকা মো.
সরই ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. নাছির উদ্দিন বলেন, “হাতিগুলো প্রথমে বাড়ির চারিদিকে ঘেরাও করে ফেলে। বিশেষ করে ঘরের দরজা জানালার পাশে পাহারাদারের মত দাঁড়িয়ে থাকে। আর ঘর ভাঙা শুরু করে। পরে ঘরে থাকা ধান চাল খেয়ে ফেলে। রাত জেগে আগুনের কুন্ডুলি জ্বালিয়ে বাড়ি ঘর পাহারা দিয়েও হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে হাতিগুলো ওই এলাকায় অবস্থান করছেন।”
এ বিষয়ে লামা বন বিভাগের সদর রেঞ্জ কর্মকর্তা এ. কে. এম আতা এলাহী জানান, হাতির আক্রমণে মো. কালু নামের এক শ্রমিক নিহত হওয়ার খবর পেয়েছি। এ ঘটনায় তদন্ত করে ক্ষতিগ্রস্তকে বিধি মোতাবেক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।
পাহাড়ের খাদ্য সংকটের কারণে হাতির দল লোকালয়ে হানা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
লামা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “মরদেহ উদ্ধার করে লামা হাসপাতালে আনা হয়েছে। কোনো অভিযোগ না থাকায় আইনি প্রক্রিয়া শেষে নিহতের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”
ঢাকা/চাইমং/ইমন
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫