স্টাফদের হাত-পা বেঁধে ভল্ট থেকে টাকা লুট
Published: 26th, January 2025 GMT
শরীয়তপুরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ডিলার পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে কোটি টাকার লুট হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে।
গতকাল শনিবার রাতে শহরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানায়, শহরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর জেলা পরিবেশক সেলফ প্রমোশন সার্ভিসের একটি ডিলার পয়েন্ট রয়েছে। গতকাল রাতে ভবনের পেছনের একটি গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে ৪-৫ জনের একটি ডাকাত দল। পরে তারা ভেতরে থাকা তিন অফিস স্টাফদের হাত-পা বেঁধে ভল্টে থাকা টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। তাতে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।
সেলফ প্রমোশন সার্ভিসের ব্যবস্থাপক সিহাব আহম্মেদ বলেন, ভবনের পেছনের গ্রিল কেটে ডাকাতরা প্রবেশ করেছে। পরে তারা আমাদের স্টাফদের হাত-পা বেঁধে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। আমাদের ভল্টে কোটি টাকার বেশি ছিল।
এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।