শরীয়তপুরে ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর ডিলার পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে কমপক্ষে কোটি টাকার লুট হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে। 

গতকাল শনিবার রাতে শহরের ফায়ার সার্ভিস স্টেশন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ জানায়, শহরের মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকোর জেলা পরিবেশক সেলফ প্রমোশন সার্ভিসের একটি ডিলার পয়েন্ট রয়েছে। গতকাল রাতে ভবনের পেছনের একটি গ্রিল কেটে ভেতরে ঢোকে ৪-৫ জনের একটি ডাকাত দল। পরে তারা ভেতরে থাকা তিন অফিস স্টাফদের হাত-পা বেঁধে ভল্টে থাকা টাকা পয়সা ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে। তাতে এক কোটি ৩৪ লাখ টাকা ছিল বলে দাবি করা হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন পুলিশ।

সেলফ প্রমোশন সার্ভিসের ব্যবস্থাপক সিহাব আহম্মেদ বলেন, ভবনের পেছনের গ্রিল কেটে ডাকাতরা প্রবেশ করেছে। পরে তারা আমাদের স্টাফদের হাত-পা বেঁধে টাকা পয়সা নিয়ে যায়। আমাদের ভল্টে কোটি টাকার বেশি ছিল। 

এ ব্যাপারে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আদিবুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে পুলিশ। বিষয়টি অধিকতর তদন্তের জন্য ক্রাইম সিনকে খবর দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

.

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

ঝগড়া থেকে দেয়ালে মাথা ঠোকা, সালমান-ঐশ্বরিয়ার সম্পর্কের বিষয়ে প্রকাশ্যে আনলেন প্রতিবেশী

বলিউডের ইতিহাসে সবচেয়ে আলোচিত প্রেম-বিচ্ছেদের একটি হলো ঐশ্বরিয়া রাই ও সালমান খানের সম্পর্ক। প্রেমের সূচনা হয়েছিল পর্দার আড়ালেই, কিন্তু আলোচনায় আসে ‘হাম দিল দে চুকে সনম’ ছবির মাধ্যমে। ছবির রোমান্স যেন বাস্তব জীবনের প্রতিচ্ছবি হয়ে উঠেছিল। অথচ সেই রূপকথার প্রেমই কিছুদিনের মধ্যে রূপ নেয় দুঃস্বপ্নে। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর শুধু ব্যক্তিজীবন নয়, কর্মজীবনেও কঠিন আঘাত সহ্য করতে হয়েছিল ঐশ্বরিয়াকে।

প্রতিবেশীর চোখে সেই সময়
বিজ্ঞাপন জগতের কিংবদন্তি প্রহ্লাদ কাক্কর ছিলেন ঐশ্বরিয়ার ঘনিষ্ঠজন। ঐশ্বরিয়ার মায়ের একই ভবনে থাকতেন তিনি। সম্পর্কের শুরুর দিক থেকে ক্যারিয়ারের উত্থান—সবকিছু কাছ থেকে দেখেছেন তিনি। তাঁর মতে, সালমান ছিলেন ভীষণ আক্রমণাত্মক। ঐশ্বরিয়ার ওপর প্রভাব বিস্তার করতে চাইতেন। প্রহ্লাদ এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘সালমান খুবই আক্রমণাত্মক ছিলেন। আমি একই ভবনে থাকতাম, সবকিছু শুনতাম-দেখতাম। ঝগড়া, চিৎকার, এমনকি দেয়ালে মাথা ঠোকা…এগুলো নিয়মিত ছিল। সম্পর্ক আসলে অনেক আগেই ভেঙে গিয়েছিল, শুধু ঘোষণাটা পরে এসেছে। বিচ্ছেদটা সবার মধ্যে স্বস্তি এনেছিল—ঐশ্বরিয়ার, তাঁর বাবা-মায়ের, এমনকি সালমানেরও।’

ঐশ্বরিয়া ও সালমান খান

সম্পর্কিত নিবন্ধ