মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সম্প্রতি জানিয়েছেন টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাপ টিকটক কেনার বিষয়ে আলোচনা করছে। তিনি আরও জানান, আমি চাই এই সামাজিক জনপ্রিয় অ্যাপটি কেনার জন্য একটি "বিডিং যুদ্ধ" বা প্রতিযোগিতা হোক।

এই মুহূর্তে টিকটক কিনতে কেউ আগ্রহী আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের উত্তরে ট্রাম্প জানান, 'আমি বলব হ্যাঁ, টিকটক কেনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানির আগ্রহ রয়েছে।'

ট্রাম্প এর আগে বলেছিলেন তিনি টিকটক কেনার বিষয়ে বেশ কয়েকটি কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করছেন এবং অ্যাপটির ভবিষ্যৎ নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছেন।

এবার ফ্লোরিডায় রিপাবলিকানদের এক সমাবেশে ট্রাম্প বলেন, 'আমরা দেখব কী ঘটে। এটি কিনতে অনেকেই আগ্রহ দেখাচ্ছে।' তিনি আরও যোগ করেন, 'যদি আমরা ব্যবহারকারীদের এই প্ল্যাটফর্মটির কর্মসংস্থান রক্ষা করতে পারি এবং চীনের প্রভাবমুক্ত রাখতে পারি, তবে সেটি হবে সেরা ফলাফল।'

বাইডেন সরকারের সময় থেকেই জাতীয় নিরাপত্তার বিবেচনায় চীনা মালিকানাধীন কোম্পানি বাইটড্যান্সকে টিকটকের মার্কিন কার্যক্রম বিক্রির জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছে। যদিও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রথমবারের মতো ২০২০ সালে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করেন। তারই ধারাবাহিকতায়, বাইটড্যান্স মাইক্রোসফটের সঙ্গে বিক্রির বিষয়ে আলোচনা করে।

যদিও মাইক্রোসফটের একজন মুখপাত্র বিবিসিকে জানান, 'এই মুহূর্তে আমাদের জানানোর মতো কিছু নেই। অন্যদিকে বিবিসি টিকটকের সঙ্গেও যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও টিকটকের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আলোচিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই টিকটক কেনার জন্য আগ্রহী। ইচ্ছুক ক্রেতাদের মধ্যে রয়েছেন মার্কিন ব্যবসায়ী ফ্রাঙ্ক ম্যাককোর্ট এবং কানাডিয়ান বিনিয়োগকারী কেভিন ও'লিয়ারি। এছাড়া, ইউটিউবের অন্যতম শীর্ষ তারকা জিমি ডোনাল্ডসন (মিস্টার বিস্ট) জানিয়েছিলেন, ক্রেতার দৌড়ে তিনিও রয়েছেন।

সম্প্রতি মার্কিন আদালত টিকটকের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। কিন্তু ট্রাম্প একটি নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা সাময়িকভাবে স্থগিত করেছেন, যা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপটির ১৭ কোটি ব্যবহারকারীর জন্য অ্যাপটি চালু রাখার সুযোগ করে দেয়। এমন পরিস্থিতিতে টিকটকের ভবিষ্যৎ এবং এর মার্কিন কার্যক্রমের নিয়ন্ত্রণ কার হাতে যাবে, তা নিয়ে বিশ্বজুড়ে তৈরি হয়েছে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ট কটক ট কটক ক ন র ট কটক র র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের নতুন হামলায় ইরানের আইআরজিসির গোয়েন্দা প্রধান নিহত

ইরানের রাজধানী তেহরানে এবং আশপাশের এলাকায় অবস্থিত সামরিক স্থাপনাগুলোতে নতুন করে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল।

স্থানীয় সময় রবিবার (১৫ ‍জুন) বিকেলে চালানো এ হামলায় ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পসের (আইআরজিসি) গোয়েন্দা প্রধান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ কাজেমি এবং তার ডেপুটি হাসান মোহাকিক নিহত হয়েছেন।

রবিবার রাতে ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন ও সংবাদ সংস্থাগুলো আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের।

আরো পড়ুন:

ইসরায়েলে ৫০টি ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ল ইরান, তেল আবিব ও হাইফাতে সরাসরি আঘাত

ইরানে আবারো হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম আরো জানিয়েছে, তেহরানে ইসরায়েলের নতুন হামলায় আইআরজিসির তৃতীয় ঊর্ধ্বতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা মোহসেন বাঘেরিও নিহত হয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার (১৩ জুন) ভোরে ইরানের রাজধানী তেহরানে ইসরায়েলের প্রথম হামলায় সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাঘেরি, আইআরজিসির কমান্ডার হোসেইন সালামিসহ বেশ কয়েকজন শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং অন্তত ছয় জন পরমাণু বিজ্ঞানীর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল ইরান। 

রবিবার ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, শুক্রবার ও শনিবার ইরানজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় ১২৮ জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন প্রায় ৯০০ জন। হতাহতদের মধ্যে কমপক্ষে ৪০ জন নারী এবং বেশ কয়েকজন শিশু রয়েছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ