গত ১৫ জানুয়ারি দিবাগত মধ্যরাতে সাইফ আলী খানের মুম্বাইয়ের বান্দ্রার বাড়িতে এক দুর্বৃত্ত ঢুকে পড়ে। সে সময় বাড়ির সবাই ঘুমাচ্ছিলেন। স্টাফ নার্স লিমার চিৎকারে ঘুম ভাঙে সাইফের। এরপর ওই দুর্বৃত্তের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয় তার।

একপর্যায়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে একাধিকবার সাইফকে আঘাত করে পালিয়ে যায়। রক্তাক্ত অবস্থায় অভিনেতাকে মুম্বাইয়ের লীলাবতী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেদিন সকালে অস্ত্রোপচার শেষে আইসিইউতে রাখা হয়। চিকিৎসা শেষে বাসায় ফিরেছেন সাইফ আলী খান।

সাইফের ওপর হামলার ঘটনা নিয়ে তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশ। সাইফের বাড়ির স্টাফ নার্স লিমা বয়ান দিয়েছেন। হাসপাতালের চিকিৎসকরাও বয়ান দিয়েছেন। বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্যকে কেন্দ্র করে কিছু প্রশ্ন উঠেছে, এসব প্রশ্ন নিয়ে নানা চর্চা চলছে। কিন্তু কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এমনকি সাইফ-কারিনাও নীরবতা ভাঙেননি। চর্চিত এমন পাঁচটি প্রশ্ন তুলে ধরা হলো—

আরো পড়ুন:

সাইফের ওপরে হামলার অভিযোগে আটক, বিয়ে ভাঙল সেই যুবকের

সাইফের ওপরে হামলা নাকি অভিনয়, প্রশ্ন মন্ত্রীর

এক.

লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসক ভার্গবী পাতিল মুম্বাইয়ের বান্দ্রা পুলিশকে দেওয়া তথ্যে পরিস্কার বলা হয়েছে, “১৬ জানুয়ারি রাত ২টা ৩০ মিনিটে সাইফের ওপর হামলা হয়। ভোররাত ৪টা ১১ মিনিটে লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছান তিনি।” সাইফের বাড়ি থেকে হাসপাতালের দূরত্ব ১০ মিনিটের। তাহলে দেড় ঘণ্টা বাড়িতে কী করছিলেন রক্তাক্ত সাইফ?

দুই. লীলাবতী হাসপাতালের চিকিৎসকদের দাবি— ছুরির ২.৫ ইঞ্চি ভাঙা অংশ সাইফের মেরুদণ্ডের কাছে আটকেছিল। এ অবস্থায় সাইফ কীভাবে এতক্ষণ ঘরে বসেছিলেন?

তিন. অটোচালক রানার বয়ান অনুযায়ী, সাইফ আলী খান তার শিশুপুত্র তৈমুর আলী খান ও এক নারীকে সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে যান। জানা যায়, এ সময় একজন পুরুষ ছিলেন। এ পরিস্থিতিতে কারিনা কাপুর খান কেন সাইফকে একা ছাড়লেন। আর হাসপাতালে যাওয়ার জন্য ওই পুরুষ বন্ধুকেই কেন ডাকা হয়েছিল। আর নিজের গাড়ি না নিয়ে অটোরিকশায় কনে হাসপাতালে গিয়েছিলেন সাইফ?

চার. হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ক্ষতবিক্ষত সাইফ। চিকিৎসকরা ছুরির ভাঙা অংশের ছবিও প্রকাশ করেন। এদিকে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ বলছেন— ভোঁতা অস্ত্রের আঘাত আহত হয়েছেন সাইফ। আসলে সত্যি কী?

পাঁচ. শোনা যায়, ঘটনার দিন কারিনা বাড়িতে ছিলেন না। আবার এ-ও শোনা যায়, কারিনা একই বাড়ির এগারো তলায় ছিলেন। বাড়িতে যদি থেকেই থাকেন তবে সাইফকে বাঁচাতে কারিনা কেন এগিয়ে যাননি? কারিনা কি সাইফকে রক্ষা করার জন্য আদৌ চেষ্টা করেছিলেন? উত্তর ‘হ্যাঁ’ হলে তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন নেই কেন? আক্রমণের সময় তাদের বাড়ির পরিচারিকাও আহত হয়েছিলেন! তা হলে কি কারিনা কাপুর সেই রাতে নেশাগ্রস্ত ছিলেন?

ঢাকা/শান্ত

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র স ইফক

এছাড়াও পড়ুন:

জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের হৃদযন্ত্রে তিনটি বড় ব্লক ধরা পড়েছে। চিকিৎসকদের পরামর্শে তার বাইপাস সার্জারি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এখন তিনি ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সকালে ব্যক্তিগত সহকারী (পিএস) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম জানান, চিকিৎসক দলের প্রধান কার্ডিওলজিস্ট ডা. মমিনুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে গতকাল বিকেলে ৪টায় তাঁর এনজিওগ্রাম করা হয়। পরীক্ষায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রে রয়েছে তিনটি বড় ব্লক। বাইপাস সার্জারিই সর্বোত্তম চিকিৎসা হিসেবে বিবেচনা করছেন চিকিৎসকরা।
এর আগে ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তৃতা দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন ডা. শফিকুর রহমান। প্রথমবার পড়ে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে আবার বক্তব্য শুরু করলেও দ্বিতীয়বার পড়ে গেলে আর দাঁড়াতে পারেননি। পরে তাকে দ্রুত ইবনে সিনা হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেদিন গুরুতর কিছু ধরা না পড়ায় তিনি বাসায় ফিরে যান।

নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে ৩০ জুলাই সকালে তাকে ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এরপরই ধরা পড়ে হার্টের তিনটি ব্লক।

জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এহসানুল মাহবুব জুবায়ের জানান, চিকিৎসকরা আরো কিছু পরীক্ষা করছেন। সেগুলোর ফলাফলের ওপর ভিত্তি করেই বাইপাস সার্জারির সময় নির্ধারণ করা হবে।

ডা. শফিকুর রহমানের পিএস মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আরো জানান, বর্তমানে তাঁর শারীরিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল। সার্জারির প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে, তবে এখনো নির্দিষ্ট তারিখ চূড়ান্ত হয়নি।

ঢাকা/কেএন/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • জামায়াত আমিরের হার্টে ৩ ব্লক, বাইপাস সার্জারির সিদ্ধান্ত