নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা কমিশনের হাতে নেই: ইসি সানাউল্লাহ
Published: 28th, January 2025 GMT
নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, নির্বাচনের দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা নির্বাচন কমিশনের হাতে নেই। সংস্কার কার্যক্রম চলমান। প্রধান উপদেষ্টা যেমন বলেছেন- চলতি বছরের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় দিনক্ষণ চূড়ান্ত করে, রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে এই টাইম ঠিক করে নির্বাচন।
মঙ্গলবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় তথ্যসংগ্রহকারী, সুপারভাইজার ও নতুন ভোটারদের সঙ্গে মতবিনিময় অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশন যদি স্বচ্ছ পাত্র উপহার দিতে পারি তাহলে সেই পাত্রে যেই পানি দেন না কেন পানি স্বচ্ছ রং ধারণ করবে। আমরা পূর্বের বাস্তবতা থেকে সতর্ক আছি। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেভাবে কাজ করছি।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিদেশি কিছু নাগরিক প্রতারণার মাধ্যমে এ দেশের নাগরিক সাজতে চায়। বিশেষ করে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী। আরও পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের কিছু লোক এসে বাংলাদেশের নাগরিক সাজতে চায়। এদের প্রতিহত করতে হবে।
এ সময় তিনি বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে খচড়া হয়ে ২ মার্চে গিয়ে চ‚ড়ান্ত ভোটার তালিকা হয়ে যাবে। ভোটার তালিকা নিয়ে অভিযোগ কাটিয়ে ওঠার জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে হালনাগাদ করা হবে। ভুয়া ভোটার তালিকা, মৃত ভোটারদের উপস্থিতি, বিদেশি নাগরিকদের উপস্থিতি, দ্বৈত ভোটারদের উপস্থিতি, এগুলো কাটিয়ে ওঠার জন্যই ভোটার তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। কোনও অভিযোগ যাতে না আসে সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে আগামীতে একটা সুষ্ঠু, সুন্দর, গ্রহণযোগ্য ও প্রশ্নহীন নির্বাচন করার। এ ধরনের নির্বাচনের প্রথম শর্তই হচ্ছে স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু ভোটার তালিকা। আগামীতে আর বাড়ি বাড়ি ভোটার করার কাজ নাও হতে পারে। কারণ ডিজিটাল সেবা পৌঁছে যাচ্ছে। ঘরে বসেও ভোটার হওয়ার জন্য আবেদন করা যাবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে নির্বাচন কমিশনার বলেন, সংস্কার কার্যক্রম চলমান। জেলা উপজেলাসহ নির্বাচন পরিচালনায় সব ক্ষেত্রে সংস্কার করা হবে। এ সময় তিনি ভোটার হালনাগাদ কার্যক্রমে তথ্যসংগ্রহকারী, সুপারভাইজারদের বিভিন্ন দিক নিদের্শনামূলক পরামর্শ দেন।
এ সময় ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসক ইশরাত ফারজানা, পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মঞ্জুরুল হাসান, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খাইরুল ইসলামসহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ক্ষমা চাওয়ার পরই খেলতে রাজি হয়েছিল পাকিস্তান
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচে টসের আগ পর্যন্ত দারুণ নাটকীয়তায় ঘেরা ছিল পাকিস্তানের ড্রেসিং রুম। ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফ্টকে দায়িত্ব থেকে সরানোর দাবি তোলে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। তবে আইসিসি সে দাবি আমলে নেয়নি। শেষ পর্যন্ত নিজের ভুল স্বীকার করে পাকিস্তান অধিনায়ক সালমান আলী আগা ও দলের ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান পাইক্রফ্ট। এরপরই মাঠে নামতে রাজি হয় পাকিস্তান দল।
ঘটনার সূত্রপাত ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ থেকে। টসের সময় দুই অধিনায়কের করমর্দন হয়নি। আরও বড় বিতর্ক তৈরি হয় ম্যাচ শেষে। জয়ী ভারতের ক্রিকেটাররা করমর্দন এড়িয়ে দ্রুত ড্রেসিং রুমে ফিরে যান। সালমান আলী আগার নেতৃত্বে পাকিস্তানের খেলোয়াড়রা দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করলেও সূর্যকুমার যাদব, শিভাম দুবেসহ পুরো ভারতীয় দল সেই শিষ্টাচার মানেনি।
আরো পড়ুন:
আজ মুখোমুখি শ্রীলঙ্কা-আফগানিস্তান, যে ম্যাচে ঝুলছে বাংলাদেশের ভাগ্য
আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান
এমন ঘটনার প্রতিবাদে পাকিস্তান অধিনায়ক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান বর্জন করেন। পরে আইসিসির কাছে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ জানায় পিসিবি। তাদের দাবি ছিল, ম্যাচ রেফারি পাইক্রফ্ট ইচ্ছাকৃতভাবেই দুই অধিনায়কের হাত মেলানো আটকান, যা আইসিসির আচরণবিধি ও ক্রিকেটের স্পিরিটের পরিপন্থী।
যদিও আইসিসির ব্যাখ্যা ছিল ভিন্ন। তারা জানায়, এসিসির কর্মকর্তাদের নির্দেশেই কাজ করেছেন পাইক্রফ্ট। কিন্তু পাকিস্তান নড়েচড়ে বসে। এমনকি জানিয়ে দেয়, পাইক্রফ্ট দায়িত্বে থাকলে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামবে না তারা। এই হুমকির কারণে ম্যাচের শুরুর সময় এক ঘণ্টা পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয় আয়োজকরা।
লাহোরে রমিজ রাজা, নাজাম শেঠিসহ শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেন পিসিবি চেয়ারম্যান মহসিন নাকভি। পরে সমঝোতার পথ খোঁজা হয়। অবশেষে পাইক্রফ্ট স্বীকার করেন, ভুল বোঝাবুঝির কারণেই পরিস্থিতি এতদূর গড়ায়, এবং তিনি পাকিস্তান অধিনায়ক ও ম্যানেজারের কাছে ক্ষমা চান। তাতেই সন্তুষ্ট হয়ে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেয় পাকিস্তান দল।
বুধবার রাতে ‘এ’ গ্রুপে নিজেদের সেই শেষ ম্যাচে আরব আমিরাতকে ৪১ রানের ব্যবধানে হারিয়ে সুপার ফোরে ভারতের সঙ্গী হয় সালমান-শাহীনরা। দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান সংগ্রহ করে ৯ উইকেটে ১৪৯ রান। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১৭.৪ ওভারে ১০৫ রানেই গুটিয়ে যায় আরব আমিরাত।
ঢাকা/আমিনুল