রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি) উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীবের সঙ্গে ঢাকাস্থ পাকিস্তানী হাইকমিশনার সৈয়দ আহমেদ মারুফ সৌজন্য সাক্ষাৎ ও মতবিনিময় করেছেন।

বুধবার (২৯ জানুয়ারি) শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এ সৌজন্য সাক্ষাত অনুষ্ঠানে দুই দেশের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা ক্ষেত্রে পারস্পারিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

এ সময় পাক হাইকমিশনার জানান, পাকিস্তানের উচ্চশিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বাংলাদেশের শিক্ষক, গবেষক ও শিক্ষার্থীদের জন্য প্রায় ৩০০ বৃত্তির ব্যবস্থা আছে। রাবিও সেই সুবিধার অংশীদার হতে যাচ্ছে। রাবিসহ বাংলাদেশে উর্দু ভাষা ও সাহিত্য ক্ষেত্রে স্নাতক পর্যায়ে শিক্ষা ও গবেষণার সমৃদ্ধকরণের পদক্ষেপ প্রক্রিয়াধীন আছে।

এছাড়া তিনি রাবিতে উর্দু ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ে পাকিস্তানী ভিজিটিং অধ্যাপক পাঠানোর ব্যবস্থা এবং দুষ্প্রাপ্য গ্রন্থ ও সাময়িকী প্রদানে আগ্রহ প্রকাশ করেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের পক্ষ থেকে হাইকমিশনারকে স্মারক উপহার প্রদান করা হয়। হাইকমিশনারও রাবির জন্য কিছু বই উপহার দেন। পরে হাইকমিশনার রাবির পরিচালনাধীন বরেন্দ্র গবেষণা জাদুঘর পরিদর্শন করেন।

মতবিনিময়কালে উপস্থিত ছিলেন, হাইকমিশনের রাজনৈতিক কাউন্সিলর কামরান দঙ্গল, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক অ্যাটাসে জাইন আজিজ ও সোশ্যাল সেক্রেটারি সালহউদ্দিন।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন রাবির উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক মোহাম্মদ মাঈন উদ্দীন, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক মোহা.

ফরিদ উদ্দীন খান, কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহাম্মদ বেলাল হোসেন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ইফতিখারুল আলম মাসউদ।

অন্যদের মাঝে আরো উপস্থিত ছিলেন, অফিস অব দ্যা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম ও সহকারী পরিচালক অধ্যাপক মো. আতিকুর রহমান, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক অধ্যাপক মো. আখতার হোসেন মজুমদার, উর্দু বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মুহাম্মদ শহিদুল ইসলাম, একই বিভাগের অধ্যাপক মো. নাসির উদ্দিন, অধ্যাপক মো. শামিউল ইসলাম, ইংরেজি বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শেহনাজ ইয়াসমিন প্রমুখ।

ঢাকা/ফাহিম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘নয়া মানুষ’

নদীমাতৃক বাংলাদেশের প্রান্তিক চরের মানুষের জীবনযাপন, মানবিকতা ও ধর্মীয় সহাবস্থানের চিত্র নিয়ে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’। প্রশংসিত এই চলচ্চিত্র জায়গা করে নিয়েছে ‘কাশ্মীর ওয়ার্ল্ড ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল’-এর পঞ্চম আসরে। ভারতের জম্মু ও কাশ্মীরের শ্রীনগরে আজ থেকে শুরু হওয়া এই উৎসবে অংশ নিচ্ছে বাংলাদেশের এই আলোচিত চলচ্চিত্রটি। 

৭ দিনব্যাপী এ উৎসবে মিসর, জার্মানি, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইরান ও ভারতের নির্বাচিত চলচ্চিত্রের সঙ্গে প্রদর্শিত হবে ‘নয়া মানুষ’, যা বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে অংশ নিচ্ছে উৎসবে। 

আরো পড়ুন:

দুই গায়িকার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ, দ্বন্দ্ব চরমে

সমালোচনা নিয়ে মুখ খুললেন ভাবনা

২০২৪ সালের ৬ ডিসেম্বর মুক্তি পাওয়া ‘নয়া মানুষ’ দর্শক ও সমালোচকদের কাছ থেকে প্রশংসা কুড়ায়। আ. মা. ম. হাসানুজ্জমানের লেখা ‘বেদনার বালুচরে’ উপন্যাস অবলম্বনে চলচ্চিত্রটির সংলাপ ও চিত্রনাট্য লিখেন মাসুম রেজা। 

চলচ্চিত্রটিতে অভিনয় করেছেন রওনক হাসান, মৌসুমী হামিদ, আশীষ খন্দকার, ঝুনা চৌধুরী, শিখা কর্মকার, নিলুফার ওয়াহিদ, বদরুদ্দোজা, মাহিন রহমান, নাজমুল হোসেন, স্মরণ সাহা, সানজানা মেহরান ও শিশুশিল্পী ঊষশী। 

উৎসবে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে গল্পকার ও অভিনেতা আ. মা. ম. হাসানুজ্জমান বলেন, “আমি যখন গল্পটি লিখি, তখন এত কিছু ভাবিনি। কিন্তু চলচ্চিত্রটি দর্শক দেখার পর যে ভালোবাসা পাচ্ছি, তা সত্যিই অকল্পনীয়। ‘নয়া মানুষ’ ধর্মীয় উন্মাদনার বিরুদ্ধে সচেতনতা তৈরি করছে, শান্তির বার্তা দিচ্ছে, ধর্মের প্রকৃত দর্শন তুলে ধরছে—এটাই সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।” 

চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি বলেন, “আমার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘নয়া মানুষ’ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক উৎসবে অংশ নিচ্ছে—এটা আমার জন্য গর্বের বিষয়। কাশ্মীর ফেস্টিভ্যালে বাংলাদেশের একমাত্র প্রতিনিধি হিসেবে ‘নয়া মানুষ’ অংশ নিচ্ছে, যা দেশের চলচ্চিত্রের জন্যও একটি বড় সাফল্য।” 

চাঁদপুরের দুর্গম কানুদীর চরে চিত্রগ্রহণ করা হয়েছে চলচ্চিত্রটির। চিত্রগ্রহণ পরিচালনা করেছেন কমল চন্দ্র দাস। সিনেমাটির সংগীতে কণ্ঠ দিয়েছেন বাউল শফি মণ্ডল, চন্দনা মজুমদার, বেলাল খান, অনিমেষ রয়, মাসা ইসলাম ও খাইরুল ওয়াসী। সংগীত পরিচালনা করেছেন ইমন চৌধুরী, মুশফিক লিটু ও শোভন রয়। 

মানবতার বার্তা, ধর্মীয় সহনশীলতা ও জীবনবোধের অনন্য মেলবন্ধন নিয়ে ‘নয়া মানুষ’ এবার বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিচ্ছে শান্তি ও সহমর্মিতার বার্তা।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

সম্পর্কিত নিবন্ধ