গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিচ্ছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামীকাল শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) ই-ইউনিটের (চারুকলা অনুষদ) পরীক্ষার মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে। 

শুক্রবার দেড় ঘণ্টার এ পরীক্ষা শুরু হবে সকাল ১০টায়। ‘ই’ ইউনিটে মোট পরীক্ষার্থী ১ হাজার ৩৭৫ জন। জবির নিজস্ব পদ্ধতির এ পরীক্ষায় ১০০ নম্বরের মধ্যে ব্যবহারিক অংশে ৪৮ এবং বহুনির্বাচনি প্রশ্নে ২৪ নম্বর বরাদ্দ থাকবে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক মোহা.

আলপ্তগীন রাইজিংবিডিকে বলেন, “পরীক্ষা আয়োজনে আমাদের সম্পূর্ণ প্রস্তুতি রয়েছে। ১ হাজার ৩৭৫ জন শিক্ষার্থীর পরীক্ষা আমরা এক শিফটেই সম্পন্ন করব।”

এদিকে, আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিট (সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ), ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিট (কলা ও আইন অনুষদ), ২২ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান ও লাইফ অ্যান্ড আর্থ সায়েন্স অনুষদ) এবং ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিটের (বিজনেস স্টাডিজ অনুষদ) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।   

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষ থেকে গুচ্ছভুক্ত ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয়। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে ২৩টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ পদ্ধতিতে ভর্তি পরীক্ষা নেয়। তবে বিভিন্ন সমস্যার দেখিয়ে ৪ বছর পর এবার জবি গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বের হয়ে নিজস্ব ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে।

ঢাকা/লিমন/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ক ষ ইউন ট

এছাড়াও পড়ুন:

মায়ের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল কিশোরী, সাপের কামড়ে মৃত্যু

চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় সাপের কামড়ে এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে ঘুমন্ত অবস্থায় ওই কিশোরীকে একটি বিষধর সাপ ছোবল দেয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর মৃত্যু হয় তার।

নিহত কিশোরীর নাম নাঈমা আকতার (১৩)। সে আনোয়ারার রায়পুর ইউনিয়নের সরেঙ্গা গ্রামের বক্সি মিয়াজিবাড়ির মোহাম্মদ হাসানের মেয়ে। স্থানীয় একটি মাদ্রাসার সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে।

পরিবারের সদস্যরা জানান, রাতে খাওয়াদাওয়া সেরে মা ও ছোট বোনের সঙ্গে ঘুমিয়ে ছিল নাঈমা। রাত তিনটার দিকে সাপের ছোবলে তার ঘুম ভাঙে। বিষয়টি পরিবারের সদস্যদের জানালে তাকে উদ্ধার করে রাতেই আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তবে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক নাঈমাকে মৃত ঘোষণা করেন। জানতে চাইলে নাঈমার চাচা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন বলেন, ‘সাপে কামড় দিয়েছে জানার পর আমরা নাঈমাকে হাসপাতালে নিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে বাঁচানো যায়নি।’

আনোয়ারা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেন, সাপে কামড় দেওয়া এক কিশোরীকে হাসপাতালে আনা হয়ছিল। তবে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ