শুরুতে ‘টাকা না পাওয়া’ নাফে, শেষে শামীম-খালেদ ঝড়
Published: 30th, January 2025 GMT
খবরে এসেছিলেন টাকা না পেয়ে। এবার মাঠে ঝড় তুললেন খাজা মোহাম্মদ নাফে। শুরুতে নাফের ঝড়, মাঝে মোহাম্মদ মিথুনের ক্যালকুলেটিভ ব্যাটিং আর শেষে শামীম হোসেন-খালেদ আহমেদের ঝড়ে দুইশর কাছে গিয়ে চিটাগং কিংস।
মিরপুর শের-ই-বাংলায় বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) চিটাগং কিংস সিলেট স্ট্রাইকার্সের মুখোমুখি হয়। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে ৬ উইকেটে ১৯৬ রান করে বন্দরনগরীর ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
সপ্তম জুটিতে শামীম-খালেদ মাত্র ৩০ বলে ৬১ রান যোগ করেন। ২ ছক্কা ৪ চারে শামীম ২৩ বলে ৩৮ ও খালেদ ২ ছক্কা ২ চারে ১৩ বলে ২৫ রান করে বড় পুঁজিতে অবদান রাখেন।
এর আগে শুরুটা হয় বাজে। প্রথম ওভারের শেষ বলে ফেরেন ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন (১)। ক্রিজে এসে ১ রানের বেশি করতে পারেননি গ্রাহাম ক্লার্ক। এরপর মিথুনকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়েন নাফে। দুজনে ৫১ বলে ৯৪ রান যোগ করেন।
মাত্র ৩০ বলে ৫২ রান করেন নাফে। মিথুনের ব্যাট থেকে আসে ৩৮ বলে ৫২ রান। সুবিধা করতে পারেননি আগের ম্যাচের নায়ক হায়দার আলী। রাহাতুল ফেরদাউসের ব্যাটও হাসেনি। তবে তাদের অভাব পূরণ করেছেন শামীম-খালেদ।
৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে সিলেটের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন তানজীম হাসান সাকিব। দুটি করে উইকেট নেন রুয়েল মিয়া ও সামিউল্লাহ শিনওয়ারি।
ঢাকা/রিয়াদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিকের লাশ উদ্ধার, হত্যার অভিযোগ পরিবারের
নড়াইলের লোহাগড়ায় প্রেমিকার বিয়ের দিনে প্রেমিক সৈয়দ মাসুম বিল্লাহর (২০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। মাসুমের বাম হাতের একটি আঙুলের নখ উপড়ে ফেলার আলামত থাকায় তার পরিবার অভিযোগ করছে, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।
শুক্রবার (১ আগস্ট) দুপুরে কালনা মধুমতি সেতুর পশ্চিম পাশে রাস্তার ওপর মাসুমকে অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে ইজিবাইকের চালক সুজন শেখ তাকে উদ্ধার করে লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। বিকেলে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
মাসুম বিল্লাহ লোহাগড়া উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মাকড়াইল গ্রামের মৃত সৈয়দ রকিবুল ইসলামের ছেলে।
আরো পড়ুন:
জুলাই হত্যাকাণ্ডের মামলায় চট্টগ্রামে প্রথম অভিযোগপত্র দাখিল
সিলেটে স্কুলছাত্র সুমেল হত্যা: ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৭ জনের যাবজ্জীবন
মাসুমের স্বজনরা জানিয়েছেন, শালনগর ইউনিয়নের এক কিশোরীর সঙ্গে মাসুমের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মেয়েটির বিয়ের খবর পেয়ে শুক্রবার (১ আগস্ট) সকালে তিনি ঢাকা থেকে লোহাগড়ায় আসেন। সকালে পরিবারের সঙ্গে তার শেষবার কথা হয়, এরপর থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ছিল।
মাসুম বিল্লাহর চাচা শরিফুল ইসলাম বলেছেন, “আমরা শুনেছি, সকালে লোহাগড়া বাজারের একটি পার্লারে মেয়েটির সঙ্গে মাসুমের কথা হয়। এর পর মেয়েটির বাবার কাছ থেকে হুমকি পায় সে। পরে হাসপাতাল থেকে ফোন পেয়ে মাসুমের মৃত্যুর খবর জানি। তার বাম হাতের নখ উপড়ানো ছিল। সব মিলিয়ে মনে হচ্ছে, তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।”
মাসুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া ইজিবাইক চালক সুজন বলেছেন, “ঘটনাস্থলে কোনো দুর্ঘটনার চিহ্ন ছিল না। তবে মনে হয়েছে, কেউ মাসুমকে গাড়ি থেকে ফেলে দিয়েছে।”
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শরিফুল ইসলাম শনিবার (২ আগস্ট) সকালে সাংবাদিকদের বলেছেন, “আমরা মাসুম বিল্লাহকে মৃত অবস্থায় লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে থানায় নিয়ে আসি। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।”
ঢাকা/শরিফুল/রফিক