যে কারণে রিশাদকে টেস্টেও চান মুশতাক
Published: 20th, October 2025 GMT
বাংলাদেশ ক্রিকেটে লেগ স্পিনার খুঁজে ফেরার গল্পটা অনেক দিনের। মাঝেমধ্যে দু–একজন এসেছেন, কিন্তু আলো ছড়ানোর আগেই হারিয়ে গেছেন। সেই শূন্যতায় নতুন আলো হয়ে এসেছেন রিশাদ হোসেন। ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি দিয়ে জাতীয় দলে অভিষেক হয়েছিল তাঁর।
এরপর সময়ের সঙ্গে নিজেকে গড়ে তুলেছেন। এখন তিনি সাদা বলের ক্রিকেটে দলের নিয়মিত মুখ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে ক্যারিয়ারের প্রথম ৫ উইকেট নিয়ে যেন আরও উঁচুতে তুললেন প্রত্যাশার পারদ।
১০০ ভাগ (নিশ্চিত) সে টেস্ট খেলতে পারে। কারণ, সব দলেই শেষ চার ব্যাটসম্যান এখন ব্যাট করতে পারে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া কিংবা ইংল্যান্ডেও, শেষের ব্যাটসম্যানরা লেগ স্পিনারদের বিপক্ষে সহজে ব্যাট করতে পারে না। তার ওপর রিশাদের যে উচ্চতা ও বাউন্স, তাতে সে আরও কার্যকরী হবে।মুশতাক আহমেদ, স্পিন বোলিং কোচ, বাংলাদেশপ্রশ্নটা এখন—সাদা বলের ক্রিকেটে থিতু হওয়া রিশাদ কি টেস্টেও জায়গা করে নিতে পারেন? তবে টেস্ট মানেই আরও বেশি ধৈর্যের পরীক্ষা, আরও বেশি বোলিং বৈচিত্র্য দেখানোর চ্যালেঞ্জ। রিশাদ কি সেই চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত?
আজ মিরপুরে সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ মুশতাক আহমেদ.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
ডোপামিন ডিটক্স কী? অতিরিক্ত চিন্তার জাল থেকে বেরোতে কি এটি কাজে দেয়
ডোপামিন ডিটক্স কী
ভালো লাগার অনুভূতির সঙ্গে যেসব হরমোন যুক্ত, তার মধ্যে অন্যতম ডোপামিন। অর্থাৎ দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়লে আমাদের ভালো লাগে।
তবে তাৎক্ষণিকভাবে ভালো লাগার একটা অনুভূতি পেতে অনেকেই এমন কাজে ডুবে থাকেন, যাতে অস্থিরতা বাড়তে পারে। এই বিষয়টা মনের জন্য ক্ষতিকর।
যেমন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ঘণ্টার পর ঘণ্টা স্ক্রল করা কিংবা তা করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়ার সঙ্গে জড়িয়ে থাকে ডোপামিনের ব্যাপারস্যাপার।
একই রকম ব্যাপার যুক্ত থাকে বারবার মুঠোফোনের নোটিফিকেশন দেখা, রিল দেখা, গেম খেলা, চা-কফি খাওয়া কিংবা জাঙ্ক ফুড খাওয়ার সঙ্গেও।
এ ধরনের যেকোনো অভ্যাসে কারও জড়িয়ে পড়ার কারণই হলো, ওই কাজটি থেকে তিনি অনেক বেশি মাত্রায় ডোপামিন পান। তাই ওই কাজটি করতে না পারলেই অস্থির হয়ে পড়েন।
এ ধরনের যেকোনো কাজের প্রতি অতিনির্ভরশীলতা থেকে বেরিয়ে আসার পদ্ধতিকেই বলা হয় ডোপামিন ডিটক্স।
আরও পড়ুনপ্রাকৃতিকভাবে ইউরিক অ্যাসিড নিয়ন্ত্রণে মেনে চলুন ৮টি উপায়১০ ঘণ্টা আগেযেভাবে করা যায় এই ডিটক্সডোপামিন ডিটক্স মানে কিন্তু এই নয় যে দেহ থেকে ডোপামিন বের করে দিতে হবে। সুস্থ থাকতে দেহে ডোপামিনের ভারসাম্য তো ঠিকঠাক থাকতেই হবে। ডোপামিন ডিটক্সের অর্থ হলো আপনি এমন কাজের চর্চা করবেন, যাতে দেহে ডোপামিনের মাত্রা বাড়বে ধীরে ধীরে।
প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে। তাই প্রশান্তিদায়ক আনন্দ পাওয়া যায়। কার ক্ষেত্রে এ ধরনের কোন কাজটা উপকারে আসবে, তা তিনি নিজেই ভেবে বের করতে পারবেন।
ধাপে ধাপে এগোনএ ধরনের কাজের অভ্যাস করার কথা বলা যতটা সহজ, করা ততটা সহজ নয়। তাই এগোতে হবে ধাপে ধাপে।
সপ্তাহের একটা দিন দিয়ে আপনি শুরু করতে পারেন। সেদিন আপনি ওসব কাজ করবেন না, যেসবের প্রতি আপনি অতিনির্ভরশীল; অর্থাৎ যেসব কাজে উচ্চমাত্রার ডোপামিন পাওয়া যায়। বরং কাটাবেন প্রশান্তির সময়।
ডিটক্সের জন্য যে ধরনের কাজ করা প্রয়োজন, তেমন কিছুতে সময় কাটান। ঘুরে আসতে পারেন ধারেকাছে কোথাও।
প্রকৃতির মধ্যে সময় কাটানো, বাগান করা, ধ্যান করা, নীরবতা উপভোগ করা, বই পড়া, মনের কথা লিখে রাখা কিংবা পছন্দের কাজ শেখার মাধ্যমে ধীরে ধীরে ডোপামিন বাড়ে