বন্দরে সেবার মাশুল বাড়ানোর প্রতিবাদে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ডাকা সপ্তাহব্যাপী কর্মবিরতি কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয়েছে। শ্রমিক-কর্মচারীদের মাশুল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে, বন্দরের এমন আশ্বাসে আজ সোমবার এই কর্মসূচি স্থগিত করার ঘোষণা দেয় সংগঠনটি।

শনিবার এক প্রতিবাদ সভা থেকে সপ্তাহব্যাপী চার ঘণ্টা করে প্রতীকী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন পোর্ট ইউজার্স ফোরামের আহ্বায়ক আমীর হ‌ুমায়ূন মাহমুদ চৌধুরী। রোববার এই কর্মসূচি পালন করা হয়।

জানতে চাইলে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম সাইফুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘শ্রমিক-কর্মচারীদের সেবা নেওয়ার খাতগুলোতে বর্ধিত মাশুল প্রত্যাহার করে নেওয়া হবে—বন্দর কর্তৃপক্ষ এমন আশ্বাস দিয়েছে আমাদের। এ কারণে এ কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।’

ব্যবসায়ীদের আপত্তি উপেক্ষা করে গত ১৪ সেপ্টেম্বর বন্দরের নতুন মাশুলের গেজেট প্রকাশ করা হয়। ১৫ অক্টোবর থেকে এই নতুন মাশুল কার্যকর হয়। আগের তুলনায় গড়ে প্রায় ৪১ শতাংশ মাশুল বাড়ানো হয়েছে। এ নিয়ে ব্যবসায়ীরা অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কক্সবাজারে পর্যটককে ছুরিকাঘাত, পাঁচ ছিনতাইকারী গ্রেপ্তার

কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ভ্রমণে আসা এক পর্যটককে জিম্মি করে ছুরিকাঘাতের ঘটনায় জড়িত পাঁচ ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে শহরের কলাতলী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

আজ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় সংবাদ সম্মেলন করে ছিনতাইকারীদের গ্রেপ্তারের তথ্য জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) আহমেদ পেয়ার। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।

পুলিশ জানায়, গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র এলাকায় কয়েকজন ছিনতাইকারী অটোরিকশাযোগে সৈকত থেকে হোটেলের দিকে যাওয়ার পথে টাঙ্গাইলের পর্যটক সাইফুল্লাহকে জিম্মি করে মুঠোফোন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চালান। বাধা দিলে ছিনতাইকারীরা সাইফুল্লাহকে ছুরিকাঘাত করে মুঠোফোন নিয়ে পালিয়ে যান। স্থানীয় লোকজন আহত পর্যটককে উদ্ধার করে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস খান প্রথম আলোকে বলেন, ঘটনার পরপর পুলিশ ছিনতাইকারীদের ধরতে অভিযানে নামে। রোববার রাত ১২টা পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত পাঁচজন তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে। এ সময় ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল ও ১০টি মুঠোফোন উদ্ধার করা হয়েছে। ছিনতাইয়ের ঘটনায় মামলা হয়েছে, মামলায় গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের আসামি করা হয়। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্য ছিনতাইকারীদেরও শনাক্তের কাজ চলছে।

গ্রেপ্তার পাঁচ ছিনতাইকারী হলেন কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ডিককুল গ্রামের দুদু মিয়ার ছেলে মো. বাবুল (২৮), কক্সবাজার পৌরসভার পিটি স্কুল এলাকার মো. সেলিমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২১), নতুন বাহারছড়া এলাকার ফজল করিমের ছেলে মো. সোহেল (২২), কলাতলীর কালা পুতুর ছেলে মো. সিদ্দিক (৪০) ও চট্টগ্রামের সাতকানিয়ার মো. সারোয়ারের ছেলে ইমরান সারোয়ার (২৫)।

ছুরিকাঘাতে আহত পর্যটক সাইফুল্লাহর বাড়ি টাঙ্গাইলের বাসাইলের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের নাহালি গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সিদ্দিক সিকদার। বর্তমানে তিনি কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ