কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে নবীন বরণে সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ২৪
Published: 20th, October 2025 GMT
কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে রবিবার (১৯ অক্টোবর) নবীন বরণ অনুষ্ঠানে সংঘর্ষের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ২৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ ও র্যাব নগরীর বিভিন্ন স্থানে যৌথ অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।
সোমবার (২০ অক্টোবর) সকালে র্যাব-১১-এর কুমিল্লা কোম্পানি কমান্ডার মেজর সাদমান ইবনে আলম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.
আরো পড়ুন:
খুলনা কারাগারে সংঘর্ষের ঘটনায় ৩ বন্দীকে কাশিমপুরে প্রেরণ
খুলনা কারাগারে বন্দিদের মধ্যে সংঘর্ষ, আহত ৮
পুলিশ জানায়, রবিবার দুপুরে কলেজ ক্যাম্পাসে আধিপত্য নিয়ে তর্কাতর্কি সংঘর্ষে রূপ নিলে আগ্নেয়াস্ত্র ও দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ঘটনাস্থলে চারজন শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান, অনয় দেবনাথ, মাহিন ও রিজভী গুরুতর আহত হন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের জিসান ও তাহফিদের সঙ্গে বিজ্ঞান বিভাগের তানভীন সিফাতের কথা কাটাকাটি হয়। এরপর সিফাত বাইরের বন্ধুদের সঙ্গে ধারালো অস্ত্র নিয়ে কলেজে ফিরে হামলা চালায়। সংঘর্ষের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে কলেজজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভিডিওতে দেখা যায়, এক তরুণ রামদা হাতে দৌঁড়াচ্ছে এবং আরেকজনের হাতে পিস্তল রয়েছে। এলাকাবাসী জানান, অস্ত্রধারী তরুণ হলেন সিফাত।
কোতোয়ালী মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম জানান, “ঘটনার পর পুলিশ কোতোয়ালী মডেল থানায় মামলা করেছে, যাতে ৬৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।”
জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “রাতভর অভিযান চালিয়ে মূলহোতাসহ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাকি আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।”
র্যাব-১১ এর মেজর সাদমান ইবনে আলম বলেন, “ঘটনার ভিডিও প্রকাশের পর দেশজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। র্যাব তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে ৮ জনকে গ্রেপ্তার করে, তাদের আদালতে পাঠানো হবে।”
ঢাকা/রুবেল/মাসুদ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ঘর ষ গ র প ত র কর স ঘর ষ র
এছাড়াও পড়ুন:
‘জুলাই সনদে’র প্রশংসা কানাডার, গণতান্ত্রিক উত্তরণে বাংলাদেশের পাশে থাকার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত
শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথে এগিয়ে যাওয়ায় বাংলাদেশের প্রতি দৃঢ় সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছে কানাডা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজে আজ সোমবার প্রকাশিত এক বিবৃতিতে হাইকমিশনার অজিত সিং বলেন, ‘অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ রূপান্তরের দিকে এগিয়ে যাওয়ায় কানাডা বাংলাদেশের পাশে রয়েছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরের বেশি সময়ের ঐকমত্যের পর রাজনৈতিক দলগুলো ‘জুলাই জাতীয় সনদ’-এ স্বাক্ষর করে। এই ঐতিহাসিক মুহূর্তটির সাক্ষী থাকা কানাডিয়ান হাইকমিশনারসহ অন্য কূটনীতিকগণ একে বাংলাদেশের রাজনৈতিক যাত্রার একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
‘জুলাই জাতীয় সনদ’ স্বাক্ষরের প্রশংসা করে অজিত সিং বলেন, মূল গণতান্ত্রিক সংস্কারগুলো বাস্তবায়নের রূপরেখা ‘জুলাই সনদ’-এ দেওয়া হয়েছে, যা জাতীয় ঐক্য, জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছ শাসনকে এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্মিলিত প্রতিশ্রুতিকে তুলে ধরে।
শুক্রবার স্বাক্ষরের পরপরই প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’–এ স্বাক্ষর ঐক্যের ধ্বনিকে প্রতীকায়িত করেছে, যা জাতিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনের পথে দিকনির্দেশনা দেবে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে একটি সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং রাজনৈতিক অংশীদারদের মধ্যে বিদ্যমান সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
কূটনৈতিক পর্যবেক্ষকেরা এই উদ্যোগকে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পালাবদলের ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে প্রশংসা করেছেন। তাঁরা জোর দিয়ে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণ ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতি অঙ্গীকার জনগণের আস্থা জোরদার এবং দীর্ঘস্থায়ী স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করবে।
বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের উন্নয়ন সহযোগী কানাডা শাসনব্যবস্থা, শিক্ষা, লিঙ্গ সমতা ও মানবাধিকারসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে। হাইকমিশনের এই অঙ্গীকার বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও সুশাসন গড়ে তুলতে কানাডার অব্যাহত সহায়তারই প্রতিফলন।