সুফি চিন্তাধারা সামাজিক সংহতি মজবুত করে
Published: 1st, February 2025 GMT
ফটিকছড়ি মাইজভাণ্ডার দরবার শরিফে সম্প্রতি জাঁকজমকপূর্ণ প্রকাশনা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে। গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের নায়েব সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারীর সভাপতিত্বে উৎসবে প্রধান অতিথি ছিলেন গাউছিয়া আহমদিয়া মঞ্জিলের সাজ্জাদানশীন হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী।
প্রকাশনা উৎসবে বিশেষ অতিথি ছিলেন– সৈয়দ এরহাম হোসাইন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ড.
প্রধান অতিথি হযরত মওলানা শাহসুফি সৈয়দ এমদাদুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘সুফি চিন্তাধারা শুধু আধ্যাত্মিক উন্নয়নের পথপ্রদর্শক নয়, এটি মানবিকতা, সহনশীলতা এবং সামাজিক সংহতির মজবুত ভিত্তি গড়ে তোলে।’
প্রকাশনা উৎসবে সুফি সাহিত্য ও আধ্যাত্মিক চেতনার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা হয়। সৈয়দ ইরফানুল হক মাইজভাণ্ডারী বলেন, ‘সুফি দর্শন মানুষের নৈতিক ও আত্মিক উন্নয়নকে উৎসাহিত করে। এই প্রকাশনা উৎসব জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে এবং সমাজে নৈতিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।’
কর্মসূচির মধ্যে ছিল ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও টেলিমেডিসিন সেবা প্রদান, জাতীয় হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা, শিক্ষা পরিবার সমাবেশ, থ্যালাসেমিয়া সচেতনতা সেমিনার, এথিকস অলিম্পিয়াড ও তাকদিস সংলাপ, মেধাবিকাশ শিক্ষা উৎসব, বিজ্ঞান বক্তৃতা ও বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড। আরও ছিল আন্তর্জাতিক ছবি প্রদর্শনী, মাইক্রো, সিএনজি ও সেলাই মেশিন বিতরণ, প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত ড্রাইভারদের মধ্যে সনদ বিতরণ এবং প্রেমের তরী পুনর্মিলনী ও সম্মাননা প্রদান, সুফি নাটক ‘পাখিদের বিধান সভা’ প্রদর্শনী।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
এবারও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে নেই বাংলাদেশ
দ্বিতীয় বছরের মত কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোনো সিনেমাা বা তথ্যচিত্র দেখানো হচ্ছে না। সম্প্রতি কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব কমিটির তরফে সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানানো হয়ছে। পরবর্তীতে কমিটির তরফে তাদের নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে যে ছবি তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে তাতে কোন ক্যাটাগরিতেই বাংলাদেশি সিনেমার নাম উল্লেখ নেই।
মূলত ভিসা জটিলতা এবং রাজনৈতিক কারণেই এই চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের উপস্থিতি থাকছে না।
বিষয়টি নিয়ে গত বছরই উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের চেয়ারপার্সন পরিচালক গৌতম ঘোষ। সেসময় তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল, “এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। সেদেশে ভিসা সমস্যা রয়েছে। আর বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরে আসতে অনেকটা সময় লাগবে। স্বাভাবিকভাবেই এই অবস্থায় চলচ্চিত্র উৎসবের তালিকায় বাংলাদেশের কোনো ছবি নেই। আমরা আশা করব চলচ্চিত্র উৎসবের পরবর্তী এডিশনের (৩১ তম) আগে প্রতিবেশী দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে।”
কিন্তু এক বছরের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও অবস্থার যে কোনো পরিবর্তন হয়নি তা চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের অনুপস্থিতির ঘটনাটাই পরিষ্কার।
যদিও কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের জুরি কমিটির এক সদস্য বলেছেন, “আন্তর্জাতিক বিভাগে বাংলাদেশ থেকে শুধুমাত্র একটি ছবি জমা দেওয়া হয়েছিল। তানভীর চৌধুরীর ‘কাফ্ফারাহ’। কিন্তু দুঃখের বিষয় এটি আমাদের কাঙ্ক্ষিত মানদণ্ড পূরণ করতে পারেনি। ফলে চলচ্চিত্র উৎসবে এই ছবিটি জায়গা পায়নি।”
চলতি বছরের ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হতে চলেছে ৩১ তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। এক সপ্তাহব্যাপী এই উৎসব চলবে আগামী ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত। এই উৎসবে ৩৯ টি দেশের ২১৫ টি ছবি দেখানো হবে। ভারত ছাড়াও অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স, জার্মানি, পোল্যান্ড, বেলজিয়াম, ইতালি, ব্রাজিল, মরক্কো, অস্ট্রিয়া, তুরস্ক, বলিভিয়া, গুয়েতেমালা, শ্রীলংকা, চীন, জাপান, ইরান, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, ফিলিস্তিন, ইরাক, সৌদি আরব, মিশর, সুদান, লেবানন।
সুচরিতা/শাহেদ