টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব
Published: 1st, November 2025 GMT
ঢাকার টগি ফান ওয়ার্ল্ডে উদযাপিত হলো হ্যালোইন উৎসব।
শুক্রবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ভুতুড়ে এবং রোমাঞ্চকর অভিজ্ঞতা প্রদানই ছিল ‘স্পুকটাকুলার সোইরি ৪’ নামের এই ব্যতিক্রমী হ্যালোইন উৎসবের উদ্দেশ্য। এই বছরের উৎসবটির ভীতিকর পরিবেশ, সঙ্গীত, সাজসজ্জা এবং বিনোদনের মিশ্রণে ছিল পরিপূর্ণ।
অনুষ্ঠানে ডিজে সঙ্গীত, ট্যারোট এবং পাম রিডিং (ম্যাডাম ম্যাডাম শায়ারলি-রুমনাজ ফারহিন দ্বারা), হ্যালোইন-থিমযুক্ত মুখের শিল্প এবং গ্যালাক্সি বেকারি দ্বারা প্রস্তুত বিশেষ হ্যালোইন খাবার অন্তর্ভুক্ত ছিল।
৩০০ টাকা মূল্যের হ্যালোইন এক্সক্লুসিভ টিকিটের মাধ্যমে দর্শনার্থীরা টগি ফান ওয়ার্ল্ডে প্রবেশ করে আর্কেড গেম, ৩৬০° ফটো বুথের অভিজ্ঞতা, CCI দ্বারা পরিবেশিত স্বাগত পানীয়, হ্যারিবো দ্বারা প্রদত্ত হ্যালোইন ট্রিট, ক্যান্ডি ব্যাগ, গেম এবং রাইডের উপর ১০ শতাংশ ছাড় এবং একটি আকর্ষণীয় র্যাফেল ড্রতে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছিল।
র্যাফেল ড্রয়ের বিজয়ীরা পেয়েছেন এয়ার অ্যাস্ট্রার সৌজন্যে ঢাকা থেকে কক্সবাজার যাওয়ার দুটো বিমান টিকিট। একটি পাঁচ তারকা হোটেলে ডিনার ভাউচার এবং টগি ফান ওয়ার্ল্ডে একটি অ্যাডভেঞ্চার এবং বাচ্চাদের প্যাকেজ। হ্যালোইন উপলক্ষে এস্কেপ রুমে একটি বিশেষ 'একটি কিনুন একটি বিনামূল্যে পান' অফারও চালু ছিল।
ঢাকা/ইভা
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ভালো ফলনের আশায় গাছকে খাওয়ান তাঁরা
চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের পাহাড়ি প্রদেশ গুইঝৌতে প্রাচীনকাল থেকে ‘গেলাও’ জনগোষ্ঠীর বসবাস। ভিয়েতনামেও এই জনগোষ্ঠীর মানুষ বাস করেন। চীনে তাঁদের সংখ্যা প্রায় ৬ লাখ ৭৭ হাজার।
কৃষিনির্ভর গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা আজও প্রাচীনকালের পুরোনো এক ঐতিহ্য আগলে রেখেছেন। বছরের নির্দিষ্ট দিনে তাঁরা গাছকে খাওয়ান, যা চীনা ভাষায় ‘ওয়েই শু’ রীতি নামে পরিচিত।
এই প্রাচীন রীতি মূলত একধরনের প্রার্থনা। স্থানীয় অধিবাসীদের বিশ্বাস, এতে প্রকৃতি তুষ্ট হয়, ফসল ভালো হয়, পরিবারে শান্তি ও সমৃদ্ধি আসে। প্রতিবছর দুটি উৎসবের সময় এই অনুষ্ঠান পালন করা হয়—চীনা নববর্ষে, যা বসন্ত উৎসব নামে পরিচিত। আর গেলাও নববর্ষে, যা চান্দ্র পঞ্জিকার তৃতীয় মাসের তৃতীয় দিনে পালিত হয়।
অনুষ্ঠানের দিন সকালে আত্মীয়স্বজন ও গ্রামবাসী পাহাড়ের ঢালে জড়ো হন। তাঁরা সঙ্গে করে চাল থেকে তৈরি মদ, শূকরের মাংস, মাছ ও লাল আঠালো চাল নিয়ে আসেন। পাহাড়ে পৌঁছে প্রথমে আতশবাজি পোড়ানো হয়। এতে করে উৎসবমুখর পরিবেশের সৃষ্টি হয়।
এর মধ্যেই একটি পুরোনো ও শক্তিশালী গাছ বাছাই করা হয়। এরপর সবাই ধূপ জ্বালিয়ে নতজানু হয়ে প্রার্থনা করেন। সবশেষে মূল পর্ব ‘গাছকে খাওয়ানো’ শুরু হয়।
একজন কুঠার বা ছুরি দিয়ে গাছে তিনটি জায়গায় ছোট করে কেটে দেন। সেই ক্ষতস্থানে চাল, মাংস ও মদ ঢেলে দেওয়া হয়, যাতে গাছ তাঁদের দেওয়া ভোগ গ্রহণ করতে পারে। পরে ওই জায়গা লাল কাগজে মুড়ে দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গাছের গোড়া ঘিরে আগাছা পরিষ্কার করা হয়, মাটি আলগা করে দেওয়া হয়। এতে নতুন জীবনের বার্তা মেলে বলে মনে করেন গেলাও জনগোষ্ঠীর সদস্যরা।
যে গাছকে খাওয়ানো হয়, সেটি যদি ফলদ হয়, তাহলে ভোগ দানকারীরা একটি আশাব্যঞ্জক শ্লোক উচ্চারণ করেন। বলেন, ‘তোমায় চাল খাওয়াই, ফল দিয়ো গুচ্ছ গুচ্ছ; তোমায় মাংস খাওয়াই, ফল দিয়ো দলা দলা।’