টাকা নিয়েও যাননি নায়িকা, অপু বিশ্বাসের নামে প্রতারণার অভিযোগ
Published: 2nd, February 2025 GMT
রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একটি রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে অংশ না নেওয়ায় অভিনেত্রী অপু বিশ্বাসের নামে প্রতারণার অভিযোগ করেছে আয়োজকরা। গত মঙ্গলবার ওই রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করার কথা ছিল ঢালিউড তারকা অপু বিশ্বাসের।
জানা গেছে, পারিশ্রমিকের অগ্রিম ৫০ হাজার টাকা নিয়েও উদ্বোধনে অংশ না নেওয়ায় বাংলাদেশ শিল্পী সমিতিতে প্রতারণার অভিযোগ পত্র জমা দিয়েছেন রেস্তোরাঁর মালিকের ভাই নৃত্যপরিচালক ও অভিনয়শিল্পী প্রিন্স রানা।
অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রিন্স রানা বলেন, গত মঙ্গলবার অপু বিশ্বাসকে আমাদের ‘সোনার থালা’ রেস্তোরাঁ উদ্বোধনের জন্য ১ লাখ টাকায় কনফার্ম করি।
কথা ছিল এদিন ৩টায় সশরীরে উপস্থিত হয়ে তিনি রেস্তোরাঁটি উদ্বোধন করবেন। কিন্তু অনুষ্ঠানের আগের দিন থেকেই তাকে আমরা ফোনে পাইনি। শেষ পর্যন্ত অপু বিশ্বাসের নাগাল না পেয়ে তাকে ছাড়াই রেস্তোরাঁ উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধন শেষ হওয়ার দেড় ঘণ্টা পর অপু বিশ্বাস ফোন দিয়ে জানতে চান কোথায় আসবেন।
তখন তাকে বলি আমাদের অনুষ্ঠান এরই মধ্যে শেষ। আপনি ৫০ হাজার টাকা ফেরত পাঠান। তবে উল্টো তিনি বাকি ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন।
তিনি বলেন, কামরাঙ্গীরচর ‘সোনার থালা’ উদ্বোধন করতে আসবেন এমন একটি ভিডিও বার্তা দিতে বললেও তিনি সহযোগিতা করেননি।
তার না আসায় আমাদের অনেক ক্ষতি হয়েছে। যে কারণে আমাদের টাকা ফেরত পেতে শিল্পী সমিতির সহযোগিতা চেয়েছি।’ অপু বিশ্বাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ পেয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি ও মুখপাত্র ডি এ তায়েব।
অভিযোগের বিষয়ে গণমাধ্যমকে অপু বিশ্বাস বলেন, ‘আসলে কামরাঙ্গীরচরের সেই অনুষ্ঠান নিয়ে ইতিমধ্যে অনেক কিছুই হয়ে গেছে, তা সবারই জানা। যারা আয়োজক ছিলেন তারা শিল্পী সমিতিতে কী অভিযোগ করেছেন তা আমি জানি না।
শুধু এতটুকু বলবো আমি শিল্পী, তাদেরকে আমি চিনিও না। তারা কাজটির জন্য আমার সঙ্গে যোগাযোগ করে ১ লাখ টাকায় কনফার্ম করে। আমি যেহেতু ঢাকায় থাকি যে ক্ষেত্রে জ্যামের কারণে টাইমিং একটু এদিক ওদিক হতেই পারে। কিন্তু তারা আমার জন্য অপেক্ষা না করে অনুষ্ঠানটি শেষ করে ফেলে আর আমার কাছে অগ্রিম দেওয়া ৫০ হাজার টাকা ফেরত চায়। আমি প্রফেশনাল মানুষ, আমি আমার পারিশ্রমিক চাই।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ৫০ হ জ র ট ক
এছাড়াও পড়ুন:
নির্বাচন যখনই হোক, প্রস্তুত থাকতে হবে: সিইসি
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন কবে হবে, তা নিয়ে সরকারের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এখনো আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দীন। তিনি বলেছেন, সরকারের সঙ্গে আলোচনা হলে ইসি সরকারের ‘ভাব’ বুঝতে পারবে। তখন নির্বাচনের তারিখের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে তিনি বলেছেন, জাতীয় নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে হোক বা এপ্রিলে—যখনই হোক নির্বাচন কমিশনকে প্রস্তুত থাকতে হবে।
আজ রোববার দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সিইসি। গত শুক্রবার যুক্তরাজ্যের লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন আয়োজন করা যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে সেই সময়ের মধ্যে সংস্কার ও বিচারের বিষয়ে পর্যাপ্ত অগ্রগতি অর্জন করা প্রয়োজন হবে।
এ বিষয়ে সিইসি সাংবাদিকদের বলেন, আগে বলা হয়েছিল ডিসেম্বর থেকে আগামী বছরের জুনের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। সেই সময়সীমা মাথায় রেখে ইসি প্রস্তুতি শুরু করেছিল। সেভাবে এগিয়েছিল। এখন আবার নতুন ‘ডাইমেনশন’ এসেছে। যৌথ বিবৃতির বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে সিইসি বলেন, ‘যে ঘোষণাটা লন্ডনে বসে হয়েছে, এটা আপনারা যেটুকু জানেন, আমি এর বাইরে বেশি কিছু জানি না। আপনারা যেটুকু দেখেছেন মিডিয়াতে, আমিও সেটুকু দেখেছি।’
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হতে পারে—এ সংক্রান্ত যৌথ বিবৃতির বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘আমি এটা টেলিভিশনে দেখেছি, এটাকে আমি ফরমাল, অফিশিয়াল ভাবতে পারতেছি না। সরকারের সঙ্গে আমাদের এখনো কথাবার্তা হয় নাই, কী ধরনের সিদ্ধান্ত আসে। আমরা এখন আমাদের প্রস্তুতি নিয়ে ভাবতেছি। যখনই হবে, যখনই হয় যাতে আমরা ইলেকশনটা “ডেলিভার” করতে পারি।’
সিইসি আরও বলেন, ‘এখন আমরা প্রস্তুতির বাইরে কিছু চিন্তা করছি না। যখন সরকারের সঙ্গে কথা হবে যে ওনারা কী আলোচনা করেছেন, আমরা তো নিশ্চয় ওনাদের ভাব বুঝতে পারব, বুঝে তখন একটা তারিখ, তখন সেটা করব। এখন আমাদের চিন্তা–ভাবনা, ধ্যান–ধারণা, শয়নে–স্বপনে নিজেদের প্রস্তুতি।’
এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন—এটা এখনো তাঁদের কাছে পরিষ্কার নয়। নির্বাচনী আইন অনুযায়ী, গেজেটের মাধ্যমে ভোটের তারিখ ঘোষণা করা হয়। ছয় মাস–আট মাস আগে ভোটের তারিখ বলার বিধান আইনে নেই।
সিইসি বলেন, যৌথ বিবৃতিতে তিনি যেটা দেখেছেন যে রমজানের আগেও নির্বাচন হতে পারে। সেখানে ‘যদি’ আছে।
নির্বাচনের প্রস্তুতির বিষয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচনের জন্য বড় প্রস্তুতিমূলক কাজগুলো অনেকটা শেষ হয়েছে। সবচেয়ে বড় কাজ ভোটার নিবন্ধন, এটি মোটামুটি শেষ।
চলতি বছরের হালনাগাদে যাঁদের তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে, সে তালিকা চূড়ান্ত হবে আগামী বছরের ২ মার্চ। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে তাঁরা ভোট দিতে পারবেন কি না—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, তফসিল ঘোষণার আগে ভোটার তালিকা চূড়ান্ত থাকতে হয়। সাধারণত ভোটের তারিখের মাস দুয়েক আগে তফসিল ঘোষণা করা হয়। যেদিন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে, তার আগে যাঁদের ১৮ বছর পূর্ণ হবে তাঁদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে ইসি চেষ্টা করবে। এ জন্য আইনে কিছুটা পরিবর্তন আনার চিন্তা করছে ইসি। সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা যাবে—এই ওয়াদা তিনি দিতে পারবেন না। তাঁরা যথাসম্ভব চেষ্টা করবেন, যাতে তরুণ প্রজন্মকে অন্তর্ভুক্ত করা যায়।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল নির্বাচন কমিশনের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। তাদের আস্থায় আনতে ইসি কী করবে—এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোও দেশের ভালো চায়। কিন্তু রাজনৈতিক কারণে তাদের অনেক ধরনের কথাবার্তা বলতে হয়। এগুলো তিনি রাজনৈতিকভাবে দেখেন।
সিইসি আরও বলেন, কেউ বিপক্ষে না থাকলে বুঝতে হবে কোনো ‘কোয়ালিটি’ নেই। বিপক্ষে কেউ বললে তখন শোধরানোর সুযোগ থাকে। এ জন্য কেউ বিরুদ্ধে বললে তিনি আহত হন না। তিনি এ ধরনের সমালোচনাকে স্বাগত জানান।