বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মুখে চীন-থাইল্যান্ড সম্পর্ক উন্নয়নের আহ্বান জানালেন সি
Published: 6th, February 2025 GMT
ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মোকাবিলায় চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আস্থা আরও গভীর করা এবং সহযোগিতার সম্পর্ক প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার কাছে এমন আহ্বান জানান তিনি।
চীন ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার বেইজিং সফরে যান পেতংতার্ন। আগামী শনিবার তাঁর এই সফর শেষ হওয়ার কথা। গত আগস্টে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর এটিই পেতংতার্নের প্রথম চীন সফর।
শীর্ষ দুই নেতার সাক্ষাতের সময় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ও চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কুনমিং শহরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য দ্রুতগতির রেলপথ স্থাপনসহ নানা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন সি চিন পিং। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতার জন্য ডিজিটাল অর্থনীতি ও ইলেকট্রিক গাড়ি অতিরিক্ত ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।
চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে সি চিন পিংয়ের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, বিশ্বে গত ১০০ বছরে যে নজিরবিহীন পরিবর্তন হয়েছে, তার মুখে চীন ও থাইল্যান্ডকে কৌশলগত স্বার্থের বিষয়ে পারস্পরিক আস্থা গভীর করতে হবে। একই সঙ্গে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিতে হবে। এ সময় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একে অপরকে সহায়তা করবে।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
অফিসে আপনি কি ১১ ঘণ্টার বেশি কাজ করেন
প্ল্যান ওয়ান জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণা নিয়ে চলছে আলোচনা। সেখানে দুই হাজার ফুলটাইম কর্মজীবীর ওপর একটা জরিপ পরিচালনা করা হয়। পেশাগত কাজ বা চাপের সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যের সম্পর্ক নিয়ে পরিচালিত গবেষণাটি থেকে পাওয়া গেছে চমকপ্রদ তথ্য।
বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, যাঁরা কর্মক্ষেত্রে ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ করেন, তাঁদের খাদ্যাভ্যাস তুলনামূলকভাবে অস্বাস্থ্যকর, তাঁরা অন্যদের তুলনায় মানসিক চাপে ভোগেন বেশি। ঠিকমতো পানি খাওয়ার প্রবণতা কম। পরিবার, প্রকৃতি ও পোষা প্রাণীর সঙ্গে সময় কাটানোর প্রবণতাও কম। কম ঘুমান। আর যেকোনো মানসিক আঘাত থেকে সেরে ওঠার পর্যাপ্ত সময় বা সুযোগ পান না। এই মানুষেরাই বেশি হতাশায় ভোগেন।
শুধু তা-ই নয়, দ্রুত বুড়িয়ে যাওয়া এবং হৃদ্রোগ ও স্ট্রোকের মতো কার্ডিওভাস্কুলার রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও বেশি। যাঁরা ১১ ঘণ্টা বা তার বেশি সময় অফিস করেন, তাঁদের মধ্যে কর্মক্ষেত্রে অসুস্থ হয়ে যাওয়ার সংখ্যাও অনেক।
আরও পড়ুন২৫ বছর ধরে অফিসে যাননি তিনি১৩ মার্চ ২০২৫যদি ১১ ঘণ্টা কর্মক্ষেত্রে থাকতেই হয়, তাহলে যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেনরাতে ৮ ঘণ্টা ঘুমাতেই হবে। তাতে শরীর ও মস্তিষ্ক দিনের শারীরিক ও মানসিক পরিশ্রমের ধকল কাটিয়ে ওঠার সুযোগ পাবে।
কাজের ফাঁকে ফাঁকে বিরতি নিন। সবুজের দিকে তাকান। ডেস্কে গাছ রাখতে পারেন। উঠে একটু হাঁটুন। ব্যায়াম করুন। সহকর্মীর সঙ্গে চা খেতে খেতে গল্প করুন। গবেষণা জানাচ্ছে, ছোট ছোট বিরতি কাজে মনোযোগ পুনঃস্থাপন করতে সাহায্য করে এবং কাজের গুণমান বাড়ায়।
দুপুরে খাওয়ার পর একটা ন্যাপ নিতে পারেন।
২ লিটারের একটা বোতলে পানি রাখবেন। প্রতিদিন ১ বোতল পানি অবশ্যই শেষ করবেন। তা ছাড়া পানি, শরবত, জুস, ডাবের পানি, তরমুজ, শসা, আনারস ইত্যাদি খাবেন। হাইড্রেটেড থাকলে এনার্জি ধরে রেখে কাজ করা সহজ হয়।
প্রক্রিয়াজাত খাবার, কার্বোনেটেড ড্রিংক, চিনিযুক্ত খাবার বাদ দিন। এসব কেবল আপনার ক্লান্তি বাড়াবে।
আর সম্ভব হলে কর্মক্ষেত্রে কথা বলে আপনার কর্মঘণ্টা ৮ ঘণ্টায় নিয়ে আসতে পারলে তো কথাই নেই।
সূত্র: এনবিসি নিউজ
আরও পড়ুনঅফিসের বাড়তি কাজকে যেভাবে ‘না’ বলবেন১৩ মার্চ ২০২৫