ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক অনিশ্চয়তার মোকাবিলায় চীন ও থাইল্যান্ডের মধ্যে আস্থা আরও গভীর করা এবং সহযোগিতার সম্পর্ক প্রসারিত করার আহ্বান জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং। আজ বৃহস্পতিবার বেইজিংয়ে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার কাছে এমন আহ্বান জানান তিনি।

চীন ও থাইল্যান্ডের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে গতকাল বুধবার বেইজিং সফরে যান পেতংতার্ন। আগামী শনিবার তাঁর এই সফর শেষ হওয়ার কথা। গত আগস্টে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্ষমতায় বসার পর এটিই পেতংতার্নের প্রথম চীন সফর।

শীর্ষ দুই নেতার সাক্ষাতের সময় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক ও চীনের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কুনমিং শহরের মধ্যে যোগাযোগের জন্য দ্রুতগতির রেলপথ স্থাপনসহ নানা প্রকল্পের কথা উল্লেখ করেন সি চিন পিং। তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে বৃহৎ পরিসরে সহযোগিতার জন্য ডিজিটাল অর্থনীতি ও ইলেকট্রিক গাড়ি অতিরিক্ত ক্ষেত্র হিসেবে কাজ করবে।

চীনের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল সিসিটিভিতে সি চিন পিংয়ের ভাষণ সম্প্রচার করা হয়। তিনি বলেন, বিশ্বে গত ১০০ বছরে যে নজিরবিহীন পরিবর্তন হয়েছে, তার মুখে চীন ও থাইল্যান্ডকে কৌশলগত স্বার্থের বিষয়ে পারস্পরিক আস্থা গভীর করতে হবে। একই সঙ্গে একে অপরকে দৃঢ়ভাবে সমর্থন দিতে হবে। এ সময় পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা বলেন, অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দুই দেশই একে অপরকে সহায়তা করবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

এক শো, দুই তারকা

টক শো সঞ্চালক হয়ে আসছেন নব্বইয়ের দশকের দুই জনপ্রিয় তারকা কাজল ও টুইংকেল খান্না। অ্যামাজন প্রাইম ভিডিওতে শিগগিরই শুরু হচ্ছে তাঁদের অনুষ্ঠান ‘টু মাচ উইথ কাজল অ্যান্ড টুইংকেল’। মুম্বাইয়ের একটি পাঁচতারা হোটেলে জমজমাট অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে শোয়ের ট্রেলার উন্মোচন হয়ে গেল গত সোমবার। শোয়ের ট্রেলারে দেখা গেছে বলিউডের প্রথম সারির অনেক তারকাকে। এক ঝলকেই উপস্থিত ছিলেন আমির খান-সালমান খান, গোবিন্দা-চাংকি পান্ডে, বরুণ ধাওয়ান-আলিয়া ভাট, ভিকি কৌশল-কৃতি শ্যানন, করণ জোহর-জাহ্নবী কাপুর। তবে শোয়ের নির্মাতারা জানিয়েছেন, এটি কেবলই ঝলক। পুরো শোতে অতিথির তালিকা হবে আরও সমৃদ্ধ।

ট্রেলার উন্মোচনের দিন কাজল ও টুইংকেলকে প্রাণবন্ত মেজাজে দেখা গেছে। সবচেয়ে আলোচনায় ছিল তাঁদের পরস্পরের আন্তরিক সম্পর্ক। মঞ্চে দাঁড়িয়ে টুইংকেল কাজলকে বন্ধু বলতে একেবারেই নারাজ। মজার ছলে জানান, ‘শোতে কাজলকে আমি বোন বলেছি। আমরা বন্ধু নই, আমরা বোন। আমরা একে অপরকে নিয়ে ঠাট্টা-তামাশা করি, বিদ্রুপও করি, আবার একই সঙ্গে একে অপরকে ভরসা দিই। এটাই আমাদের আসল বন্ডিং।’ টুইংকেলের কথা শুনে কাজলও হাসিমুখে তা সমর্থন করেন। দুজনের প্রাণবন্ত আড্ডা সেদিনই উপস্থিত দর্শকদের আশ্বস্ত করেছে যে টু মাচ হবে প্রাণখোলা হাসি-ঠাট্টায় ভরপুর।

মুম্বাইয়ের অনুষ্ঠানের প্রচারে কাজল ও টুইঙ্কেল খান্না। ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এক শো, দুই তারকা