জামালপুর শহরে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং সাবেক বস্ত্র পাট প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজমের বাড়িতে ভেকু দিয়ে ভাঙচুরসহ অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। 

বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় শহরের বকুলতলা এলাকায় দুই তলা এই বাড়িতে ভেকু দিয়ে এই ভাঙচুর চালানো হয়। পরে অগ্নিসংযোগও করা হয়। 

অন্যদিকে বিকেলে জামালপুরের নরুন্দি এলাকায় অভিনেত্রী মেহের আফরোজা শাওনের বাবা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে আগুন দিয়েছে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা। 

অগ্নিসংযোগকারীরা জানান, মির্জা আজমের এ বাড়ি বিগত আওয়ামী সরকারের সময়ে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সরকারি অর্থ লুট ও চাকরি বাণিজ্যের আখড়া ছিল। এখান থেকে রাষ্ট্রের হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট হয়েছে।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন জামালপুর জেলা শাখার আহবায়ক মীর ইসহাক হাসান ইখলাস বলেন, “শেখ হাসিনা গতকাল ভারতের মদদে সন্ত্রাসীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন। এতে সাধারণ জনগণ বিক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের বাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। আমরা জামালপুরের পরিবেশ শান্ত রাখতে আগুন নেভাতে সহায়তা করি ও ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেই।”

এ বিষয়ে জানতে সদর থানার ওসি আবু ফয়সল মো.

আতিককে ফোনে পাওয়া যায়নি।

ঢাকা/শোভন/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ