পাচারের হাত থেকে উদ্ধার ১১ মুখপোড়া হনুমান এখন সাফারি পার্কে
Published: 7th, February 2025 GMT
পাচার করার জন্য ব্যক্তিগত গাড়িতে করে নেওয়া হচ্ছিল ১১টি বিপন্ন প্রজাতির মুখপোড়া হনুমান। গোপন খবরে ধরা পড়েন তিন পাচারকারী। তাঁদের শাস্তি দেওয়া হয়। আর উদ্ধার করা হনুমানগুলো পাঠানো হয় গাজীপুরের শ্রীপুরের সাফারি পার্কে।
আজ শুক্রবার সকালে প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকার বন্য প্রাণী পরিদর্শক নিগার সুলতানা।
ঢাকা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সিনিয়র সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট অনিক সাহা ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তিনজনকে ৩ মাস করে কারাদণ্ড দেন। একই সঙ্গে তাঁদের ২০ হাজার টাকা করে মোট ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
নিগার সুলতানা প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকার স্বামীবাগের রাস্তায় একটি ব্যক্তিগত গাড়িতে করে ১১টি মুখপোড়া হনুমান পাচার করা হচ্ছে বলে তাঁরা খবর পান। পরে বন্য প্রাণী ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ ঢাকার বিভাগীয় বন কর্মকর্তা শারমীন আক্তারের নির্দেশে সেখানে অভিযান চালানো হয়। প্রাণীগুলো উদ্ধার করা হয়। পাচারের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করা হয়। পাচারকারীরা এগুলোকে চট্টগ্রাম থেকে বিক্রির জন্য কুষ্টিয়ায় নিয়ে যাচ্ছিলেন। পরে প্রাণীগুলোকে লালন–পালনের জন্য গাজীপুরের সাফারি পার্কে পাঠানো হয়।
সাফারি পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক রফিকুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, বন্য প্রাণী ব্যবস্থাপনা ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিভাগ থেকে ১১টি মুখপোড়া হনুমান সাফারি পার্কে আনা হয়েছে। নিয়ম অনুযায়ী এগুলোকে আপাতত কোয়ারেন্টিনে রাখা হবে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে গত ৮ জানুয়রি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা হয়ে কুষ্টিয়ায় পাচারকালে ৮টি মুখপোড়া হনুমান উদ্ধার করা হয়। সেগুলোও এই সাফারি পার্কে পাঠানো হয়।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চোখে আলো ফেলা নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে কৃষককে হত্যা
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলায় চোখে টর্চলাইটের আলো পড়া নিয়ে বাগ্বিতণ্ডার জেরে ছুরিকাঘাতে এরশাদ আলী (৩৫) নামের এক কৃষক নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার সকালে উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত এরশাদ আলী উপজেলার দক্ষিণ মাইজপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। খবর পেয়ে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিনজনকে আটক করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় পশ্চিম সোহাগীপাড়া গ্রামে মানিক মিয়ার মুদিদোকানে যান এরশাদ আলী। এ সময় এরশাদ আলীর চোখে টর্চলাইটের আলো ফেলে বিরক্ত করেন একই গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে সাকিব মিয়া। এ নিয়ে দুজন বাগ্বিতণ্ডায় জড়ালে স্থানীয় লোকজন মিটমাট করে দেন। পরে এরশাদ আলীসহ সবাই যে যার মতো বাড়িতে চলে যান।
স্থানীয় সূত্র জানায়, আজ শুক্রবার সকাল ছয়টার দিকে এরশাদ আলীকে ডেকে নিয়ে আবার কথা-কাটাকাটি ও মারামারিতে জড়ান সাকিব ও তাঁর সঙ্গে আসা কয়েকজন। একপর্যায়ে এরশাদ আলীকে ছুরিকাঘাত করা হয়। স্থানীয় লোকজন আহত এরশাদ আলীকে উদ্ধার করে ধোবাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে অভিযুক্ত সাকিব মিয়াসহ তিনজনকে আটক করে পুলিশ।
ধোবাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল মামুন সরকার বলেন, পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে। নিহত এরশাদ আলীর শরীরে ছুরিকাঘাতের চিহ্ন আছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।