ব্যক্তিগত ও পেশাগত যোগাযোগের জন্য বিশ্বজুড়ে কোটি কোটি মানুষ হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে সম্প্রতি জনপ্রিয় এই মেসেজিং প্ল্যাটফর্মের নিরাপত্তা নিয়ে নতুন শঙ্কা দেখা দিয়েছে। হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা জানিয়েছে, পারাগন সলিউশন নামের একটি স্পাইওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘জিরো ক্লিক’ নামের বিশেষ ধরনের সাইবার হামলা চালাচ্ছে। এরই মধ্যে নির্বাচিত ব্যক্তিদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট হ্যাকড করে তাদের ব্যবহৃত যন্ত্র থেকে তথ্য সংগ্রহ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

হোয়াটসঅ্যাপের নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, জিরো ক্লিক নামের সাইবার হামলার পদ্ধতি এতটাই উন্নত ও সূক্ষ্ম যে ব্যবহারকারীরা বুঝতেই পারেন না তাঁদের যন্ত্র আক্রান্ত হয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে সাংবাদিক, মানবাধিকারকর্মী ও নাগরিক সমাজের সদস্যরা রয়েছেন। জিরো ক্লিক অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক, কারণ, এটি শনাক্ত করা ও প্রতিরোধ করা কঠিন। সাধারণ অ্যান্টিভাইরাস বা নিরাপত্তা সফটওয়্যার দিয়ে এই হামলা ঠেকানো সম্ভব নয়।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত চ্যাটের তথ্য লুকিয়ে রাখবেন যেভাবে০৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫

সাধারণত সাইবার হামলার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীকে কোনো লিংকে ক্লিক করতে হয়, ফাইল ডাউনলোড বা অ্যাটাচমেন্ট খুলতে হয়। কিন্তু জিরো ক্লিক সাইবার হামলা একেবারেই আলাদা। এ ধরনের হামলার ক্ষেত্রে হ্যাকাররা সাধারণত বিশেষ ধরনের বার্তা, ছবি বা অডিও ফাইল পাঠায়, যা ব্যবহারকারীর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টে পৌঁছালেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে সক্রিয় হয়ে যায়। ফলে ব্যবহারকারী ক্লিক না করলেও যন্ত্রে থাকা তথ্য বা ছবি সংগ্রহের পাশাপাশি বার্তা বা ফোনকল রেকর্ড করতে পারে হ্যাকাররা।

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপে কল করার নতুন চার সুবিধা১৪ ডিসেম্বর ২০২৪

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের সাইবার হামলা থেকে বাঁচতে ব্যবহারকারীদের যন্ত্রের নিরাপত্তাব্যবস্থা ও হোয়াটসঅ্যাপের সর্বশেষ সংস্করণ ব্যবহার করতে হবে। পাশাপাশি অপরিচিত ব্যক্তির পাঠানো সন্দেহজনক বার্তা বা কল এড়িয়ে চলাসহ দুই স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা ব্যবহার করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

আরও পড়ুনহোয়াটসঅ্যাপের নতুন এই ৭ সুবিধা ব্যবহার করেছেন তো?২৩ নভেম্বর ২০২৪.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ য় টসঅ য প র ধরন র

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দফা দাবিতে জামায়াতের বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু

আগামী ফেব্রুয়ারিতে জুলাই সনদের ভিত্তিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর পূর্বঘোষিত বিক্ষোভ সমাবেশ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টায় রাজধানীর বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটকে এই সমাবেশ শুরু হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করছেন জামায়াতের ঢাকা মহানগর দক্ষিণের আমির নুরুল ইসলাম বুলবুল। দলের নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগর কমিটির নেতারা সমাবেশে বক্তব্য দেবেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ শাখার উদ্যোগে এ কর্মসূচি পালিত হচ্ছে।

জামায়াত সূত্র জানিয়েছে, সমাবেশ শেষে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হবে। মিছিলটি বায়তুল মোকাররম মসজিদের দক্ষিণ ফটক থেকে বের হয়ে পুরানা পল্টন মোড়, জাতীয় প্রেসক্লাব ও মৎস্য ভবনের পাশ দিয়ে শাহবাগ পর্যন্ত যেতে পারে।

এর আগে গত ১৫ সেপ্টেম্বর জামায়াতের কেন্দ্রীয় কার্যালয় সংলগ্ন আল ফালাহ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৫ দফা দাবিতে তিনদিনের কর্মসূচি ঘোষণা করে দলটি।

জামায়াতের দাবিগুলো হলো- জুলাই জাতীয় সনদের ভিত্তিতে আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন আয়োজন করা; আগামী জাতীয় নির্বাচনে সংসদের উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি চালু করা; অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের লক্ষ্যে সবার জন্য লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড (সবার জন্য সমান সুযোগ) নিশ্চিত করা; ফ্যাসিস্ট সরকারের সব জুলুম-নির্যাতন, গণহত্যা ও দুর্নীতির বিচার দৃশ্যমান করা এবং স্বৈরাচারের দোসর জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা।

একই দাবিতে আগামীকাল ১৯ সেপ্টেম্বর দেশের সব বিভাগীয় শহরে বিক্ষোভ মিছিল এবং ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের সব জেলা বা উপজেলায় বিক্ষোভ মিছিল করবে জামায়াতে ইসলামী।

সম্পর্কিত নিবন্ধ