যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউপি চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতা আটক
Published: 9th, February 2025 GMT
নোয়াখালী হাতিয়া উপজেলায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ চার আওয়ামী লীগ নেতাকে আটক করা হয়েছে। গতকাল শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের আটক করা হয়।
আটক ব্যক্তিরা হলেন উপজেলার চরঈশ্বরের আলাউদ্দিন আজাদ (৬৪) এবং তমরুদ্দির সিরাজুল ইসলাম ওরফে রাকছান (২৪), আবদুল মাজেদ ওরফে পলাশ (৪৩) ও আবদুল জাহের (৩৯)। তাঁদের মধ্যে আলাউদ্দিন আজাদ চরঈশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। অন্যরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্যপদে রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, ইউপি চেয়ারম্যান আজাদকে ওছখালী পুরোনো বাজারের ২ নম্বর ওয়ার্ড থেকে আটক করা হয়েছে। আর বাকি তিনজনকে তমরদ্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের খাসেরহাট এলাকা থেকে আটক করা হয়। চারজনকে আটকের বিষয়টি হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, হাতিয়ায় গত বৃহস্পতিবার রাতে সংঘটিত সহিংস ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে পরিচালিত অভিযানে চারজনকে আটক করা হয়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
দূর সম্পর্কের ভাতিজিকে নিয়ে লাপাত্তা যুবলীগ নেতা
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় ভাতিজিকে (১৯) নিয়ে রিপন চন্দ্র দাস নামে এক যুবলীগ নেতা লাপাত্তা রয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) একেএম আজমল হুদা।
তিনি বলেন, “এ ঘটনায় রোববার ভুক্তভোগীর বাবা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে, গত শনিবার উপজেলার চরঈশ্বর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে।”
অভিযুক্ত রিপন চন্দ্র দাস (৩৮) উপজেলার চরঈশ্বর ইউনের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের চরলটিয়া গ্রামের প্রিয়লাল চন্দ্র দাসের ছেলে। তিনি একই ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং তিন সন্তানের জনক। ওই কলেজছাত্রী তার দূর সম্পর্কের ভাতিজি হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবলীগ নেতা রিপন ও নিখোঁজ কলেজছাত্রী নিকট প্রতিবেশী হয়। মেয়ের বাবার সাথে রিপনের সুসম্পর্ক ছিল। ওই কলেজ ছাত্রীর বাবা প্রায় রিপনকে তার বাড়িতে নিয়ে যেত। সেখানে রিপন প্রায় মা-মেয়ের সাথে গল্প করত।
তবে ভুক্তভোগী পরিবার বলছে, কলেজে যাওয়ার পথে মেয়েকে উত্যাক্ত করত রিপন। এক পর্যায়ে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়। মেয়ে বিষয়টি তার বাবাকে বলার পর তিনি ছেলের পরিবারকে বিষয়টি জানায়। তখন অভিযুক্ত ছেলে ও তার পরিবারের লোকজন মেয়ের বাবাকে হুমকি ধামকি দেয়। রিপন সরকার পতনের পর কিছুদিন গা-ঢাকা দিয়ে ছিলেন। কয়েক মাস আগে আগে আবার প্রকাশ্যে আসেন। গত শনিবার সকালে প্রাইভেট পড়তে কলেজে যাওয়ার পথে রাস্তা থেকে রিপনসহ তার সহযোগিরা জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যায়। এখনো মেয়ের কোন খোঁজ পায়নি তার পরিবার।
যোগাযোগ করা হলে অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা রিপন চন্দ্র দাসের মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একেএম আজমল হুদা আরো বলেন, “মেয়ের বাবার সাথে অভিযুক্ত ছেলের খুব ভালো সম্পর্ক ছিল। প্রায়ই মেয়ের বাবা রিপনকে তাদের বাসায় নিয়ে যেত, খাওয়া দাওয়া করত, এক সাথে ঘুমাত। রিপন ওই মেয়েকে মাঝে মাঝে কলেজে নিয়ে যেত। এখন রিপনের সাথে সে মেয়ে ভাগছে। এখানে অপহরণের কোনো কাহিনী নেই। তারপরও লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।”
ঢাকা/সুজন/এস