চার দাবিতে শাহবাগে ম্যাটস শিক্ষার্থীদের অবস্থান
Published: 9th, February 2025 GMT
রাজধানীর শাহবাগে অবস্থা নিয়েছেন ম্যাটস (মেডিকেল অ্যাসিটেন্ট ট্রেইনিং স্কুল) শিক্ষার্থীরা। শূন্য পদে নিয়োগসহ চার দফা দাবিতে রোববার বেলা ১১টার দিকে কয়েকশ শিক্ষার্থী সড়কে অবস্থান নেন। এ সময় টিএসসি থেকে শাহবাগে আসার সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
শিক্ষার্থীরা জাদুঘরের সামনের সড়কে বেলা সোয়া ১১টার দিকে অবস্থান নেন। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতির সাত কর্মদিবস শেষ হওয়ার পরও দাবি পূরণে দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নেওয়ার প্রতিবাদে লংমার্চ করছেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
রোববার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ম্যাটস শিক্ষার্থী ঐক্য পরিষদ তাদের দাবিগুলো তুলে ধরে। তাদের দাবিগুলো হলো- ১২ বছরের বেশি সময় ধরে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ অধিদপ্তরের শূন্যপদে বন্ধ করা নিয়োগ দ্রুত সচল, কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দেওয়ার লক্ষ্যে উপসহকারী মেডিকেল অফিসার পদ সৃষ্টি, প্রতিষ্ঠানের নাম পরিবর্তন, কোর্সের নাম পরিবর্তনসহ ২০২১ সালের কোর্স কারিকুলামের ত্রুটি ও অসঙ্গতি সমাধান করে নতুন ইন্টার্ন লগবুক, বিএমঅ্যান্ডডিসি স্বীকৃত ক্লিনিক্যাল বিষয়ে উচ্চ শিক্ষা এবং প্রস্তাবিত এলাইড হেলথ প্রফেশনাল বোর্ড খসড়া আইনের নাম পরিবর্তনসহ প্রস্তাবিত সব ধারায় সংশোধনীসহ বাস্তবায়ন করতে হবে।
এর আগে গত ২২ জানুয়ারি একই দাবিতে শাহবাগ অবরোধ করে ম্যাটস শিক্ষার্থীরা।
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল
২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার
সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।
কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।