ঝিনাইদহের সাবেক ও বর্তমান ৩ ইউপি চেয়ারম্যান কারাগারে
Published: 10th, February 2025 GMT
ঝিনাইদহে নাশকতার মামলায় সাবেক ও বর্তমান তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
ঝিনাইদহ আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আরো পড়ুন:
কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পিন্টুসহ ৩ জন
কারাফটকে বিক্ষোভের পর মুক্তি পেলেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ
আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম সিরাজ। অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন। ওই মামলার আসামি ছিলেন কারাগারে পাঠানো সাবেক ও বর্তমান তিন ইউপি চেয়ারম্যান।
ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
ফতুল্লায় প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন
ফতুল্লার লামাপাড়ায় মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রয়াসের ২২তম প্রতিষ্ঠাবাষির্কী উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা, কোর্স সমাপনী সনদ প্রদান, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থতার বর্ষপূর্তি ও খেলাধূলার আয়োজন করা হয়।
বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অনুষ্ঠানে প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন করা হয়।
মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন তার বক্তব্যে বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলায় মাদকাসক্তদের চিকিৎসা সেবা প্রদানে প্রয়াস বিগত ২২ বছর যাবত নিরবিচ্ছিন্নভাবে সেবা করে যাচ্ছে।
সব ধরনের আইন ও বিধি-বিধান মেনে সেবার মানোন্নয়ন প্রয়াসের বর্তমান লক্ষ্য। শুধু চিকিৎসা সেবা প্রদান নয়, বরং মানসম্পন্ন টেকসই সেবা নিশ্চিত করার জন্য চিকিৎসা পরবর্তী বিভিন্ন কার্যক্রম কেন্দ্রটি পরিচালনা করে থাকে।
জেনারেল ম্যানেজার দেলোয়ার হোসেন বলেন, প্রয়াসে চিকিৎসা কোর্স সম্পন্নকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান, প্রাক্তন সদস্যদের মনিটরিং, বিভিন্ন মেয়াদে সুস্থ থাকার স্বীকৃতি ও জনসচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারনায় অংশগ্রহণ প্রয়াসের টেকসই চিকিৎসা পরিকল্পনার অংশ।
তিনি আরো বলেন, আমরাই প্রথম নারায়ণগঞ্জে ৪০ বেডে লাইসেন্স প্রাপ্ত মাদকাসক্ত চিকিৎসা কেন্দ্র। প্রয়াসের প্রতিষ্ঠা ২০০৩ সালে হলেও আমরা লাইসেন্স পেয়েছি ২০০৬ সালে। গত ২০২১ সাল থেকে আমরা প্রতিবছর সরকারি অনুদানের জন্য নির্বাচিত হয়ে আসছি।
এসময় তিনি অভিভাবক প্রতিনিধি ও প্রাক্তন সদস্যদের প্রয়াসের সামগ্রিক কার্যক্রমে সংযুক্ত থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, মাদকাসক্ত পূনর্বাসন ও সহায়তা কেন্দ্র প্রয়াসের কাউন্সিলর মোঃ সাইফুল ইসলাম, অফিসার এডমিন সাজ্জাদ হোসেন, প্রোগ্রাম অফিসার শেখ ফরিদ উদ্দিন ও মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ। অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন, শওকত হোসেন, লিটন, আমজাদ, বাবুসহ রিকোভারীবৃন্দ।