ঝিনাইদহে নাশকতার মামলায় সাবেক ও বর্তমান তিন ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। 

সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এমরান হোসেন চৌধুরী তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

ঝিনাইদহ আদালতের কোর্ট পরিদর্শক মো. মুক্তার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

আরো পড়ুন:

কারাগার থেকে মুক্তি পেলেন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত পিন্টুসহ ৩ জন

কারাফটকে বিক্ষোভের পর মুক্তি পেলেন মাওলানা মুহিবুল্লাহ

আসামিরা হলেন- ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সাধুহাটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কাজী নাজির উদ্দীন, কুমড়াবাড়িয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সিরাজুল করিম সিরাজ। অপর আসামি আব্দুল্লাহ আল মাসুম ঝিনাইদহ সদর উপজেলার হরিশংকরপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ।

আদালত সূত্রে জানা যায়, আসামিরা উচ্চ আদালত থেকে ৬ সপ্তাহের অন্তর্বর্তী জামিনে ছিলেন। জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় আজ তারা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। বিচারক তাদের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির কার্যালয় ও জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট এম এ মজিদের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক সাকিব আহমেদ বাপ্পি বাদী হয়ে সদর থানায় পৃথক দুইটি মামলা করেন। ওই মামলার আসামি ছিলেন কারাগারে পাঠানো সাবেক ও বর্তমান তিন ইউপি চেয়ারম্যান।

ঢাকা/শাহরিয়ার/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ঝ ন ইদহ

এছাড়াও পড়ুন:

সেই রাতে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে যা ঘটেছিল

২৩ আগস্ট রাতে আমাদের গ্রেপ্তার

সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ,  ক্যাপ্টেন মনসুর আলী, এ এইচ এম কামরুজ্জামন, এই লেখক শেখ আবদুল আজিজ ও আবদুস সামাদ আজাদ—এই ৬ জনকে ১৯৭৫ সালের ২৩ আগস্ট একসঙ্গে গ্রেপ্তার করে আমাদের পল্টনে কন্ট্রোল রুমে একটি ভাঙা বাড়িতে নেওয়া হয়। আমরা বসা অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ভগ্নিপতি সৈয়দ আহমদকে মুক্তি দেওয়ার জন্য জনৈক কর্নেল ফারুককে অনুরোধ করেছিলেন।

কর্নেল ফারুক উত্তরে বলেছিলেন, ‘আপনাদের সবার ট্রায়াল এখানে হবে।’ আমাদের উদ্দেশ করে বলা হয়েছিল, ‘ইউ উইল হ্যাভ টু জাস্টিফাই ইয়োর করাপশন।’ এ কথা শুনে আমরা স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। ভাবলাম, এটা কোর্ট নয়, আদালত নয়, কীভাবে এখানে বিচার হবে? এই পরিস্থিতিতে আমাদের পরস্পরের কথা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
ইতিমধ্যে মেজর ডালিম এসে এইচ এম কামারুজ্জামানের সঙ্গে আস্তে আস্তে কথা বলতে লাগল। কামরুজ্জামান ডালিমকে বলেছিল, ‘এ রকম তো কথা ছিল না!’ তারপর ডালিম চলে গেল। আমাদের সামনে আমাদের সহানুভূতিশীল পুলিশ কর্মচারীরা দৌড়াদৌড়ি করছিল। কিছু সময় পর তারা এসে বলল, ‘আপনারা এই গাড়ি ও মাইক্রোবাসে তাড়াতাড়ি ওঠেন; সেন্ট্রাল জেলে যেতে হবে।’ আমরা গাড়িতে উঠলাম এবং ভাবলাম, বেঁচে গেলাম। সেন্ট্রাল জেলে প্রবেশ করলাম। আমাদের নতুন জেলে থাকার জায়গা করে দেওয়া হলো।

শেখ আবদুল আজিজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ