বুলডোজার শোভাযাত্রা, আইনের শাসন ও নির্বিকার সরকার
Published: 10th, February 2025 GMT
চব্বিশের জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দাম্ভিক কথাবার্তা, অনুশোচনাহীন মনোভাব ও ‘তালগাছটি আমার’ যুক্তিবোধ অক্ষুণ্ন রেখেছেন। বারকয়েক টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস, ভার্চুয়াল সভায় বক্তৃতায় তা স্পষ্ট হয়েছে। সর্বশেষ গত ৫ ফেব্রুয়ারি আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক বক্তব্যের ঘোষণার পর গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী ছাত্র-জনতা তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখায়। রাত ৯টায় বক্তব্য প্রদানের দুই ঘণ্টা আগেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক বাড়িটিতে ভাঙচুর শুরু হয়। ভাঙচুরে প্রচলিত সামগ্রীর পাশাপাশি এবারই প্রথম বুলডোজার প্রয়োগের দেখাও মেলে। ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি টানা ১৫ ঘণ্টার ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে এক্সক্যাভেটর, ক্রেন ও বুলডোজার ব্যবহার করে ইতিহাসের অন্যতম সূতিকাগার বাড়িটিকে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়।
ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সঙ্গে দেশের নানা প্রান্তেও হামলা, ভাঙচুর শুরু হয়। দুই দিনে গাজীপুর, বরিশালসহ অন্তত ৩৫ জেলায় আওয়ামী লীগ নেতা, সাবেক মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের অন্তত ৩৩টি বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানে হামলা চালানো হয় (প্রথম আলো, ৭ ফেব্রুয়ারি)। বাড়িঘরের পাশাপাশি ম্যুরাল, নামফলক, ভাস্কর্যও গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এবারই প্রথম বিভিন্ন স্থানে ভাঙচুরে বুলডোজার ব্যবহার করা হয়, যাকে ‘বুলডোজার শোভাযাত্রা’ অভিহিত করেছেন উৎসাহীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব গ্রহণের ৬ মাস পূর্তি হলো ৮ ফেব্রুয়ারি। সংবাদমাধ্যমে যখন এই সরকারের কর্মতৎপরতার অর্ধবার্ষিক খতিয়ান দেখবার ব্যাপারে আমরা উৎসুক ছিলাম, তার তিন দিন আগে বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে বুলডোজার শোভাযাত্রা শুরু এবং দেশব্যাপী তা ছড়িয়ে গেল!
অভ্যুত্থানের পরপরই বঙ্গবন্ধুর ৩২ নম্বরের বাড়িটিতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। বিষয়টি দুঃখজনক ও অনাকাঙ্ক্ষিত হলেও তৎকালীন বাস্তবতায় সেটি বিক্ষুব্ধ জনতার কার্যক্রম হিসেবেই ধরে নেওয়া হয়। ছয় মাস পর কেন বাড়িটি গুঁড়িয়ে দেওয়ার তাণ্ডব শুরু হলো, ভেবে দেখতে হবে। জনতা দুই ঘণ্টা আগেই জেনে গিয়েছিল, শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তৃতা দেবেন? তিনি যে এভাবে কথা বলেন, তা দেশের মানুষ জানেন। এমনকি শেখ হাসিনাসহ তাঁর অনুগতরা যে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানকে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেন ও প্রচার করেন, এটিও কারও অজানা নয়। তবে শেখ হাসিনা ও তাঁর অনুগতরা অন্যায় আচরণ করলেই তাদের স্থাপনাসহ যাবতীয় ভাস্কর্য-ম্যুরাল-নামফলক বুলডোজার দিয়ে ভেঙে গুঁড়িয়ে দিতে হবে– এটি কোনো সভ্য সমাজের আচরণ হতে পারে না।
স্তম্ভিত হয়ে দেখতে হয়, দেশের ইতিহাসের অন্যতম আঁতুড়ঘর– ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়িটি ক্রুদ্ধ জনতার হাতে বুলডোজার আর ক্রেন দিয়ে দু’দিন ধরে ভাঙা হয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নির্বিকার থাকে। এরপরও আমাদের দেশকে সভ্য দাবি করব? এরপরও এই রাষ্ট্রের কার্যকারিতা নিয়ে আমাদের উদ্বেগ তৈরি হবে না? বুলডোজার কি একটি কোদাল যে, একজন মানুষ ইচ্ছা করল আর হাতে নিয়ে রওনা দিল আরেকজনের বাড়ি ভাঙতে! সিটি করপোরেশনের বুলডোজার ভাঙচুরের জন্য উত্তেজিত জনতার হাতে পৌঁছল কীভাবে?
এভাবে ঘোষণা দিয়ে বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটবার পর সরকারের দায়িত্ববোধ নিয়েই প্রকৃতপক্ষে প্রশ্ন জাগে। একটি দেশে সরকার থাকে কেন? আইনের শাসন সমুন্নত রাখবার জন্য– এই সরল সত্যের প্রতি আর আস্থা থাকে না সাম্প্রতিক এই ঘটনায়।
২.
কেন এই ঘটনা ঘটল? শেখ হাসিনা উস্কানিমূলক বক্তৃতা দিয়েছেন। বেশ; তিনি যদি আবার বক্তৃতা দেন, এরপর কোন বাড়ি ভাঙবেন উত্তেজিত ছাত্র-জনতা? তারপর আবার যখন বক্তৃতা দেবেন? এভাবে একের পর এক ভাঙচুর চলতেই থাকবে, নাকি শেখ হাসিনা যে অন্যায় আচরণ ও অযৌক্তিক কথা বলছেন, যুক্তিসম্মত ভাষা ও উপায়ে তা সকলকে জানিয়ে দেওয়াই উপযুক্ত কর্তব্য হতে পারে বা পারত?
যারা বাড়ি গুঁড়িয়ে দিচ্ছেন, তারা যে এই কথা জানেন না, তা-ও সম্ভবত নয়। তাহলে ভাঙচুর হচ্ছে কেন? পানি ঘোলা করে আগামী সংসদ নির্বাচন পিছিয়ে দিয়ে নিজেদের পছন্দমতো মাছ শিকারের জন্য? দেশব্যাপী অরাজকতা তৈরি হলে নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়, এটা যারা জানেন; তারা নৈরাজ্য সৃষ্টি করতেই পারেন। সেটি যে শেখ হাসিনার রেখে যাওয়া অনুচরেরাও করছেন না, তা যেমন আমরা বলতে পারি না; আবার উগ্রবাদী কোনো গোষ্ঠী– দেশের অস্থিতিশীলতাই যাদের চূড়ান্ত মোক্ষ; তারা যে এটি তৈরি করবার চেষ্টা করছেন না, তা-ও আমরা বলতে পারি না।
স্বৈরাচারের দোসর হোক আর উগ্রবাদীরাই হোক– যারাই দেশের স্থিতিশীলতা ধ্বংস করে পরিস্থিতির সুযোগ নিতে চান, এটি তাদের কৌশল হতে পারে। দেশ অস্থিতিশীল হলে দেশীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সবাইকে জানানো ও বোঝানো যায়, গণঅভ্যুত্থান ব্যর্থ হয়ে গেছে। সরকারও পারছে না। তাদের স্বার্থ এতে সিদ্ধি হলেও হতে পারে; কিন্তু সরকার কেন এই পরিস্থিতি তৈরি হতে দিচ্ছে? সরকার কেন নির্বিকার থাকতে পারল? কোথায় তখন আইনের শাসন?
৩.
ধানমন্ডির ৩২ নম্বর মাটির সঙ্গে মিশে যাবার পর প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৭ ফেব্রুয়ারি বিবৃতিতে বলেছেন, ‘শেখ হাসিনার পরিবারের সঙ্গে সম্পৃক্ত সম্পত্তি এবং ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আর কোনো হামলা হবে না– তা নিশ্চিত করতে হবে। যেসব ব্যক্তি সম্পত্তির ওপর হামলা চালিয়েছে, তাদের ক্ষোভ বোঝা যায়, কারণ তারা এবং তাদের স্বজন শেখ হাসিনার শাসনামলে বছরের পর বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
না, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা। শেখ হাসিনার শাসনামলে যারা বছরের পর বছর নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তারা চাইলেই ঘোষণা দিয়ে, বুলডোজার দিয়ে বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিতে পারেন না। তাহলে রাষ্ট্র বা সরকারের অস্তিত্ব প্রশ্নের মুখে পড়ে। যে কোনো ব্যক্তির সংক্ষুব্ধ হবার অবশ্যই অধিকার আছে, সেটি জানানোর প্রতিষ্ঠানও রাষ্ট্র কর্তৃক নির্ধারিত আছে– আইন ও আদালত। আইনের শাসন সুষ্ঠুভাবে সম্পাদন যে কোনো দেশের সরকারের প্রধান কর্তব্য। সেই কর্তব্য সম্পূর্ণ অনুপস্থিত দেখা গেছে সাম্প্রতিক বুলডোজার শোভাযাত্রায়। সরকারের এই নির্বিকারত্ব জাতির জন্য লজ্জা ও অপমানের।
একটি দেশে তিল তিল করে ইতিহাস, ঐতিহ্য, পরম্পরা তৈরি হয়। শত বছরের সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় স্বাধীন বাংলাদেশের জন্ম। ষাট ও সত্তর দশকে এ দেশে প্রতিটি প্রধান রাজনৈতিক ঘটনার অন্যতম কেন্দ্র ধানমন্ডির ৩২ নম্বর। পাকিস্তানি শোষণের বিরুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান যেমন অস্বীকার করার প্রশ্নই ওঠে না, তেমনি এসব কিছুই আর শেখ হাসিনার পৈতৃক সম্পত্তি নয়। এসব জাতির চিরকালীন উত্তরাধিকার। ৩২ নম্বর গুঁড়িয়ে দেওয়া অবশ্যই লজ্জা ও ধিক্কারজনক। এর উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন করা তাই সংগত।
বিশ্বজুড়ে ঐতিহাসিক স্থান ও কীর্তিগুলো যথাযথ গুরুত্বের সঙ্গে সংরক্ষণ করা হয়। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্টের রক্তাক্ত সাক্ষী কিংবা ঊনসত্তর-একাত্তরের উত্তাল মার্চের প্রতিটি মুহূর্তের অনশ্বর ধারক বঙ্গবন্ধুর বাড়ি গুঁড়িয়ে দেওয়া শুধুই একটি স্থাপনা ধ্বংস নয়; জাতির ইতিহাস থেকে গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ অপসারণের চেষ্টা। এসব কোনোটিই কর্তৃত্ববাদী শেখ হাসিনার ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধে ক্রোধের বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ৩২ নম্বর ও পরে দেশজুড়ে ভাঙচুরের ঘটনায় সরকারের নির্বিকারত্ব অবশ্যই অযুত প্রশ্নের উদ্রেককারী। সরকারকেই তৎপরতা ও সততার সঙ্গে এসব প্রশ্নের যথাযথ উত্তর হাজির করতে হবে।
মাহবুব আজীজ: উপসম্পাদক, সমকাল ও সাহিত্যিক
mahbub aziz01@gmail.com
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গণঅভ য ত থ ন গণঅভ য ত থ ন সরক র র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দাবি ইনকিলাব মঞ্চের
ছাত্র আন্দোলনের ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণাসহ ১৩ দফা দাবি জানিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
সোমবার (১৬ জুন) বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবির কথা জানায় সংগঠনটি।
সংগঠনটির মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদী বলেন, “আমাদের স্বাধীনতা দিবস আছে, বিজয় দিবস আছে, কিন্তু আমাদের মুক্তি ঘটেনি। তাই ঐতিকহাসিক ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে। এ ছাড়াও জুলাই সনদ চূড়ান্ত করার আগে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।”
আরো পড়ুন:
বেগম রোকেয়া পদকের জন্য আবেদনপত্র আহ্বান
নিরাপদ খাদ্য দিবস শনিবার: ‘নিরাপদ খাদ্য উচ্চ রক্তচাপ ঝুঁকি কমায়’
তিনি বলেন, “গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা, মৌলিক সংস্কার এবং ২০২৪ সালের গণহত্যার বিচার নিশ্চিত না করে দেশে যদি নির্বাচন আয়োজন করা হয়, তবে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ‘গাদ্দার’ হিসেবে ঘোষণা করা হবে। এই সনদে ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের নিরিখে বৈষম্যবিরোধী ইনসাফভিত্তিক কল্যাণ রাষ্ট্র বিনির্মাণের সুস্পষ্ট রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা উপধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সাংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত এবং লিঙ্গের ন্যায্য শরিকানা নিশ্চিত করতে হবে। যেখানে বলা হবে- আমরা বাংলাদেশের জনগণ এই ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান সম্পল্প করেছি।”
সংবাদ সম্মেলনে ইনকিলাব মঞ্চ ১৩টি প্রস্তাবনা তুলে ধরে, যা জুলাই সনদের কার্যকর প্রয়োগ ও জাতীয় ঐক্যের ওপর গুরুত্বারোপ করে।
প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ১৯৪৭, ১৯৭১ ও ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক সংগ্রামে জীবন উৎসর্গ করা সব শহীদকে রাষ্ট্রের শ্রেষ্ঠ সন্তান ঘোষণা করতে হবে; যেসব জুলাই যোদ্ধার স্থায়ী অঙ্গহানি হয়েছে, তাদের জন্য পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে; ফ্যাসিবাদী আমলে সংঘটিত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের ভোটারবিহীন অবৈধ নির্বাচন বাতিল করে সংশ্লিষ্ট দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে।
এছাড়া ফ্যাসিবাদী আমলের সকল মন্ত্রী, এমপি ও দোষী আমলাসহ রাষ্ট্রীয় কর্মচারীদের বিচারের আওতায় এনে অবৈধভাবে উপার্জিত সম্পদ জব্দ করে তা শহীদ ও আহতদের কল্যাণে ব্যয় করতে হবে; দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, অখণ্ডতা রক্ষায় ভারতীয় আধিপত্যবিরোধী ঐক্যবদ্ধ অবস্থান নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই, পিলখানা ও শাপলা গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করে দেশি-বিদেশি অপশক্তি চিহ্নিত করতে হবে; রাষ্ট্র কাঠামোর মৌলিক সংস্কার করতে হবে যাতে ফ্যাসিবাদ আর স্বৈরতান্ত্রিকতা কখনও ফিরে না আসে; ৩৬ জুলাইকে জাতীয় মুক্তি দিবস ঘোষণা করতে হবে।
বাকি দাবিগুলো হলো- জুলাই গণঅভ্যুত্থানের স্পিরিটের ভিত্তিতে বৈষম্যবিরোধী কল্যাণ রাষ্ট্রের রূপরেখা প্রণয়ন করতে হবে; সংবিধান থেকে জনবিরোধী ও জুলাই সনদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক সব ধারা বাতিল করে জুলাই সনদকে সংবিধানের তফসিলে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ঐতিহাসিক জুলাই গণঅভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সব দল, মত ও লিঙ্গের ন্যায্য অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে; জুলাই সনদের ভাষাগত দুর্ব্যবহার পরিহার করে জনসাধারণের জন্য সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে হবে এবং সনদ চূড়ান্ত করার পূর্বে জনগণের মতামতের জন্য তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করতে হবে।
আগামী ২৫ জুনের মধ্যে জুলাই সনদ ঘোষণা করা না হলে রাজধানীর শাহবাগ মোড় থেকে মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ অভিমুখে ‘লাল মার্চ’ করার ঘোষণাও দিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী