রমজান মাসজুড়ে ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রম চালু থাকবে: বাণিজ্য উপদেষ্টা
Published: 11th, February 2025 GMT
বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, দেশের বিভাগীয় সদরসহ ১৩টি স্থানে রমজান মাসজুড়ে টিসিবির ট্রাকে পণ্য বিক্রির কার্যক্রম চলবে। ফলে বাজারে পণ্যমূল্য আরও সহনশীল হবে।
আজ মঙ্গলবার খুলনা নগরের শিববাড়ী মোড়ে ভ্রাম্যমাণ ট্রাকে টিসিবির পণ্য বিক্রয় কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বাণিজ্য উপদেষ্টা এ কথা বলেন। ওই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন তিনি।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘রমজান মাসে অতিরিক্ত ৯ হাজার মেট্রিক টন পণ্য ট্রাকে বিক্রি করা হবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে বাজার নিম্নগামী হবে, বাজার সহনশীল হবে। প্রান্তিক মানুষের জীবনে স্বস্তি আসবে। প্রধান উপদেষ্টা ড.
টিসিবির উপকারভোগী পরিবারগুলোর জন্য সব স্মার্ট কার্ড সক্রিয় করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘টিসিবি ৬৩ লাখ পরিবারকে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য সরবরাহ করছে। স্মার্ট কার্ড রূপান্তরের কাজে খুলনা অঞ্চলের সাফল্যের হার সবচেয়ে বেশি। এ মাসের ২৪ তারিখের মধ্যে বাকি কার্ডের অ্যকটিভেশন সম্পন্ন হবে, এর মাধ্যমে সুবিধাভোগীর সংখ্যা বাড়বে।’
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এমন দিনের স্বপ্ন দেখি, যেদিন টিসিবির কার্যক্রম আর চালাতে হবে না। সম্পদের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে চাই। সেটা হয়তো একটু দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা। তারপরও আমরা সেটা অর্জন করতে চাই।’
খুলনার জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ফয়সল আজাদ, খুলনার পুলিশ সুপার টি এম মোশাররফ হোসেন ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (মানব সম্পদ) নূরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কার্ডধারী যেকোনো ভোক্তা লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রাক থেকে পণ্য কিনতে পারবেন। একজন ক্রেতা সর্বোচ্চ দুই লিটার সয়াবিন তেল, দুই কেজি করে মসুর ডাল ও ছোলা, এক কেজি চিনি এবং ৫০০ গ্রাম খেজুর কিনতে পারবেন। এর মধ্যে প্রতি লিটার সয়াবিন তেলের দাম রাখা হবে ১০০ টাকা। প্রতি কেজি চিনি ৭০ টাকা, মসুর ডাল ও ছোলা ৬০ টাকা এবং খেজুর ১৫৬ টাকা দামে বিক্রি করবে টিসিবি।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ব ণ জ য উপদ ষ ট
এছাড়াও পড়ুন:
উপকূলে নিরাপদ পানির জন্য ‘রেইন ফর লাইফ’
উপকূলীয় এলাকায় নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা ও জলবায়ু সহনশীলতা বাড়াতে ‘রেইন ফর লাইফ’ প্রকল্প হাতে নিয়েছে ব্র্যাক।
প্রকল্পটি আগামী তিন বছর সাতক্ষীরার আশাশুনি, বাগেরহাটের মংলা এবং বরগুনার পাথরঘাটা উপকূলীয় উপজেলায় ৯০ হাজারেরও বেশি মানুষের জন্য নিরপাদ পানির জন্য কাজ করবে বলে ব্র্যাক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।
ঢাকায় ব্র্যাক সেন্টারে প্রকল্পের যাত্রা শুরু উপলক্ষে গত মঙ্গলবার একটি কর্মশালা হয়েছে।
ডেনমার্কের সহায়তায় পরিচালিত এ প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে ২০২৭ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। প্রকল্পের আওতায় পরিবার ও কমিউনিটি পর্যায়ে বৃষ্টির পানি সংগ্রহ, জলাশয়ের পানি পরিশোধন এবং জলবায়ু সহনশীল কৃষিকে উৎসাহিত করতে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এছাড়া কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্র্যাকের ‘অ্যাডাপটেশন ক্লিনিক’ মডেলের মাধ্যমে বিশেষ করে নারীদের নেতৃত্বে প্রান্তিক কৃষকদের জলবায়ু সহনশীল প্রযুক্তি ও পরামর্শ দেওয়া হবে এবং তাদের জন্য অর্থায়নের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।
কর্মশালায় ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত ক্রিশ্চিয়ান ব্রিকস মোলার বলেন, “প্রকল্পটি সকলকে অন্তর্ভুক্ত করে প্রকৃতি নির্ভর সামগ্রিক পরিবর্তনের লক্ষ্য নিয়ে পরিচালিত হচ্ছে। এটি কেবল মানুষের জন্যই নয়, ফসল, গবাদিপশু এবং সামগ্রিক পরিবেশের জন্য নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে কাজ করছে।”
ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ্ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। তিনি বলেন, “রেইন ফর লাইফ প্রকল্পটি নিরাপদ পানি এবং খাদ্য নিরাপত্তা- এই দুটি বিষয়কে একসঙ্গে মোকাবিলা করছে, কারণ জলবায়ু সংকটের প্রেক্ষাপটে এই দুইয়ের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে।”
“যদিও নিরাপদ পানির প্রাপ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়, তবে এটি সমস্যা সমাধানের একটি অংশমাত্র। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় প্রয়োজন সমন্বিত দৃষ্টিভঙ্গি।আমাদের সমাধানগুলো হতে হবে ব্যয় সাশ্রয়ী, টেকসই, স্থানীয় জনগোষ্ঠী পরিচালিত এবং বাস্তবসম্মত।এসব কর্মকাণ্ডে প্রকল্প-নির্ভর মানসিকতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে।”
সরকারের পরিকল্পনা বিভাগের সচিব ইকবাল আব্দুল্লাহ হারুন, জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ফারহিনা আহমেদও কর্মশালায় বক্তব্য দেন।
ঢাকা/এস/এসবি