মাইকে ঘোষণা দিয়ে সংঘর্ষ বিএনপির দু’পক্ষের, আহত ৮
Published: 11th, February 2025 GMT
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক সংস্কারের কাজ নিয়ে বিরোধের জেরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে অন্তত আটজন আহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার করেরহাট ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডের পশ্চিম সোনাই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন– নুরন্নবী, আব্দুল হাই, মোমিন, আহসান উল্যাহ, সোহাগ, ইমাম, হোসেন হাসান। তাদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়।
জানা গেছে, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের শহীদ জাকির হোসেন সড়কের সংস্কারকাজ নিয়ে গত সোমবার স্থানীয় ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে ওয়ার্ড বিএনপির সদস্য আহসান উল্যাহর বাগ্বিতণ্ডা ঘটে। ওই দিন সন্ধ্যার পর আনোয়ার হোসেনের অনুসারীরা লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পশ্চিম সোনাই গ্রামে আহসান উল্যাহর বাড়িতে হামলার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। খবর পেয়ে পশ্চিম সোনাই গ্রামের মসজিদ থেকে মাইকে ঘোষণা দিয়ে গ্রামবাসীকে হামলা প্রতিহতের আহ্বান জানানো হয়। এতে গ্রামবাসী সংগঠিত হয়ে আনোয়ার সমর্থকদের পাল্টা ধাওয়া দেয়। এ সময় দুই গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে আটজন আহত হয়।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন চৌধুরীর ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান শহীদ জাকির হোসেন সড়কের এক কিলোমিটার সড়কের সংস্কারকাজ পায়। ক্ষমতার পট পরিবর্তনের পর জাহাঙ্গীর হোসেন পালিয়ে গেলে সড়কের কার্পেটিংয়ের কাজের জন্য এলজিইডি থেকে প্রকল্পটি নতুন করে সমন্বয় করে কাজের অনুমতি দেওয়া হয়। ওই কাজের জন্য পাথরকুচি সরবরাহ করছেন ওয়ার্ড বিএনপির সমন্বয়ক আনোয়ার হোসেন। কিন্তু সড়ক সংস্কারে নিম্নমানের পাথরকুচি ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপি নেতা আহসান উল্যাহ। এ নিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধের সৃষ্টি হয়।
মিরসরাই উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মো.
জোরারগঞ্জ থানার ওসি শিফাতুল মাজদার জানান, সংঘর্ষের বিষয়টি জেনেছেন। এ ঘটনায় এখনও কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ স ঘর ষ ব এনপ র স ঘর ষ সড়ক র উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
নওগাঁয় ১০ জনকে ঠেলে দিল বিএসএফ
নওগাঁর ধামইরহাট সীমান্ত দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিয়েছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভোরে ধামইরহাট উপজেলার আগ্রাদ্বিগুন সীমান্ত পিলার ২৫৬/৭ এস কাছ দিয়ে বাংলাদেশে ঠেলে দেওয়া হলে বিজিবির সদস্যরা তাদেরকে আটক করেন। তাদের মধ্যে দুজন পুরুষ এবং আটজন নারী।
বৃহস্পতিবার দুপুরে এসব তথ্য জানিয়েছেন পত্নীতলা ১৪ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন।
আরো পড়ুন:
গাংনী সীমান্ত দিয়ে ১৮ জনকে ঠেলে পাঠিয়েছে বিএসএফ
বড়লেখা সীমান্ত দিয়ে ১০ রোহিঙ্গাকে ঠেলে দিয়েছে বিএসএফ
আটকরা হলেন—আছমা বেগম (৪০), খাদিজা বেগম (৩৪), পাখি বেগম (২৪), রুমা বেগম (২৫), কাকলি আক্তার (২৭), রুজিনা আক্তার (৩৩), কোহিনুর বেগম (২৬), নাসরিন বেগম (৩৩), মঞ্জুরুল ইসলাম (৩৬), সুমন হোসেন (২৭)। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক।
বিজিবি জানিয়েছে, আগ্রাদ্বিগুন বিওপির টহল কমান্ডার জেসিও সুবেদার মো. জিহাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টহল দল সীমান্তের শূন্য লাইন থেকে আনুমানিক এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে মহেষপুরে ওই ১০ জনকে ঘোরাঘুরি করতে দেখে আটক করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, তারা বিভিন্ন সময়ে অবৈধভাবে ভারতে যান। মুম্বাই শহরে পুরুষ দুজন রাজমিস্ত্রি হিসেবে এবং নারী আটজন গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। সেখানে তাদেরকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ। গত ২৯ জুলাই ভারতের হরিবংশীপুর বিএসএফ ক্যাম্পে তাদেরকে হস্তান্তর করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে বিএসএফ ওই ১০ জনকে বাংলাদেশে ঠেলে দিলে বিজিবি টহল দল তাদের আটক করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/সাজু/রফিক