একই রশিতে ঝুলছিল স্বামী-স্ত্রীর লাশ
Published: 11th, February 2025 GMT
শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় একই রশিতে স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার রাতে সাভারের আশুলিয়ার জামগড়া কাঁঠালতলা এলাকা থেকে পোশাক শ্রমিক স্বামী-স্ত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়। মারা যাওয়া দম্পতি হলেন বরগুনা জেলার পাথরঘাটা উপজেলার বড়ইতলা গ্রামের মোস্তফার ছেলে শাওন আহম্মেদ ও একই উপজেলার জমাদ্দার বাড়ি গ্রামের শাহ-আলম মাতব্বরের মেয়ে হাফিজা আক্তার। তারা দু’জনেই আশুলিয়ার দ্য রোজ ড্রেসেস নামের পোশাক কারখানায় অপারেটর পদে চাকরি করতেন বলে জানা গেছে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, প্রায় ৫ মাস আগে আশুলিয়ার কাঁঠালতলা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেন শাওন-হাফিজা দম্পতি। সোমবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে এক প্রতিবেশী জানালা দিয়ে তাদের কক্ষে একই রশিতে দু’জনকে ঝুলতে দেখেন। তাঁর চিৎকারে ওই ফ্ল্যাটের অন্য প্রতিবেশীরা সেখানে যান এবং বাড়িওয়ালাকে খবর দেন। বাড়িওয়ালা এসে আশুলিয়া থানায় খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে কক্ষের দরজা ভেঙে ওই দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
বাড়ির মালিক আফাজ উদ্দিন জানান, তাদের মধ্যে পারিবারিক কলহ ছিল কিনা জানেন না। কী কারণে তারা এই পথ বেছে নিয়েছেন, বুঝতে পারছেন না।
আশুলিয়া থানার এসআই জসিম উদ্দিন জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তারা আত্মহত্যা করেছেন, তবে কী কারণে করেছেন, তা জানা যায়নি। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: মরদ হ
এছাড়াও পড়ুন:
ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে: নুরু
জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে কিংবা কোনো কোনো দলের প্রতি বিশেষ একটা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে। এটা হলে এ সংস্কার কিংবা এই সময়ের সর্বজনীন বিষয়টা আমার মনে হয়, হারিয়ে যাবে।’
আজ মঙ্গলবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা হয়। সেই আলোচনার বিরতির সময় সাংবাদিকদের এ কথা বলেন নুরুল হক নুর। তিনি বলেন, ‘এখনো তো নির্বাচন হয় নাই, কাজেই ভোট ছাড়া কোন দল বড়, কোন দল ছোট, মেজরিটি পার্টি তো আপনি নির্ধারণ করতে পারেন না। সরকার যদি আগেই কোনো কোনো পার্টির প্রতি একটা দৃষ্টিভঙ্গি রাখে যে এই পার্টি বড়, এই পার্টি মেজরিটি, তাহলে তো অনেক ক্ষেত্রেই অনেকের কথার গুরুত্ব থাকে না। সে ক্ষেত্রে আমাদের কাছে মনে হয়েছে যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন কিংবা সরকারের ভূমিকা কিছু কিছু ক্ষেত্রে একটু পক্ষপাতদুষ্ট হচ্ছে কিংবা কোনো কোনো দলের প্রতি বিশেষ একটা প্রাধান্য দেওয়া হচ্ছে।’
আজকের আলোচনা সভায় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর অংশ না নেওয়া নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে গণ অধিকারের পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ‘একটি রাজনৈতিক দলকে প্রাধান্য দেওয়া বা তাদের কেন্দ্রিক সংস্কার বা জাতীয় ঐকমত্যের আলোচনাটাকে নিয়ে যাওয়া প্রতিয়মান হওয়ার অভিযোগ জামায়াতসহ কিছু কিছু রাজনৈক দল করছে।’ তিনি বলেন, এই রাজনৈতিক দলগুলোর বাইরেও গণ-আন্দোলনে অনেকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। রাজনৈতিক দলগুলো সবার মতামতকে প্রতিয়মান করে না। রাজনৈতিক দলগুলোর পাশাপাশি পেশাজীবী সংগঠনগুলো তথা সাংবাদিক, শিক্ষক, চিকিৎসকদের মতামত নেওয়া দরকার।
গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক বলেন, ‘আমরা বারবার জোর দিচ্ছি, নব্বইয়ে তিন জোটের রূপরেখা হয়েছিল। সবাই ভালো ভালো কথা বলেছিল, লিখে দিয়েছিল। কিন্তু ক্ষমতায় গিয়ে কেউ কথা রাখেনি। সে জায়গা থেকে আমরা বারবার গণভোটের মাধ্যমে এ সংস্কারকে বাস্তবায়ন এবং এর একটা লিগ্যাল বেসিস তৈরির জন্য আহ্বান জানিয়েছি।’
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের আলোচনায় জামায়াতে ইসলামী ছাড়া বিএনপি, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, নাগরিক ঐক্য, গণ অধিকার পরিষদ, গণসংহতি আন্দোলনসহ রাজনৈতিক দলগুলো অংশ নিয়েছে।
আজ জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে উপস্থিত রয়েছেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সফর রাজ হোসেন, বদিউল আলম মজুমদার, ইফতেখারুজ্জামান প্রমুখ।