আবারো সেই ঘুরে দাঁড়ানো রিয়ালে ধরা ম্যানসিটি
Published: 12th, February 2025 GMT
সময় ভালো যাচ্ছে ম্যানচেস্টার সিটির। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কিছুটা ব্যাকফুটে আছে রিয়াল মাদ্রিদও। দলটির আবার রক্ষণ ইনজুরি জর্জরিত। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্লে অফের প্রথম লেগে ঘরের মাঠে লস ব্লাঙ্কোসদের তাই হারিয়ে দেওয়ার ভালো সুযোগ ছিল সিটিজেনদের। দু’বার এগিয়ে গিয়ে সুযোগও তৈরি করেছিল ম্যানসিটি। কিন্তু কামব্যাক জায়ান্ট রিয়ালের কাছে শেষ মিনিটের গোলে ৩-২ গোলে হেরেছে পেপ গার্দিওলার দল।
মঙ্গলবার রাতে ইতিহাদ স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরুতে একটার পর একটা সুযোগ তৈরি করতে থাকে রিয়াল মাদ্রিদ। কিন্তু প্রথম সুযোগই কাজে লাগিয়ে থিবো কর্তুয়ার জালে বল পাঠিয়ে দেয় ম্যানসিটি। জ্যাক গ্রেলিসের বাড়ানো দারুণ বল বুক দিয়ে ধরে আর্লিং হালান্ডকে শট নেওয়ার সুযোগ করে দেন জোসকো গার্দিওল। গোল করতে ভুল করেননি সিটিজেন স্ট্রাইকার।
ম্যাচের ৬০ মিনিটে ওই গোল শোধ করেন কিলিয়ান এমবাপ্পে। ভালভার্দের জোরের ওপর নেওয়া ফ্রি কিক ফিরে আসে রিয়াল মিডফিল্ডার দানি সেবায়োসের কাছে। বক্সে বল বাড়ান তিনি। এমবাপ্পে ভলি নিলেও তা ঠিকমতো লাগেনি। তবে গোল আটকায়নি তাতে। এরপর আবার লিড নেয় ম্যানসিটি। ৮০ মিনিটে পেনাল্টি থেকে এগিয়ে যায় পেপ গার্দিওলার দল।
মনে হচ্ছিল শেষ সময়ের ওই গোলে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়বে ম্যানসিটি। তবে শেষ বাঁশির আগে ছেড়ে না দেওয়া রিয়াল ৬ মিনিট পরই পুনরায় সমতায় ফেরে। গোলটি ভিনিসিয়াস জুনিয়রের হতে পারত। তবে ভিনির নেওয়া শট ফিরিয়ে দেন ম্যানসিটি গোলরক্ষক এদেরসন। পরের শটে জালে বল পাঠিয়ে দেন বদলি নামা ব্রাহিম দিয়াজ।
এরপর ৯২ মিনিটে জয়সূচক গোলটি করেন ইংলিশ মিডফিল্ডার জুড বেলিংহাম। তাকেও গোল করার ভিনি। বক্সের মাথায় ভিনিকে আটকাতে এগিয়ে আসেন ম্যানসিটির ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক এদেরসন। ভিনি তার মাথার ওপর দিয়ে ভলি করে ফাঁকায় থাকা বেলিংহামকে বল পাঠান। গোল করতে বেলিংহামের কোন বাধার মুখেই পড়তে হয়নি। রদ্রির ব্যালন ডি’অর পাওয়া নিয়ে ইতিহাদে ভিনিকে স্লেজিং করা হয়েছে ম্যাচজুড়ে। ম্যাচের সেরা হয়েই ভিনি এর জবাব দিয়েছেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ক ল য় ন এমব প প
এছাড়াও পড়ুন:
প্রেমের টানে চীনা যুবকের বাংলাদেশে এসে বিয়ে
মাদারীপুরে মেয়ে সুমাইয়া আক্তারের প্রেমের টানে চীনের নাগরিক শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসেছেন। বিয়ে করে বর্তমানে মাদারীপুরে শশুরবাড়িতে আছেন। ভিনদেশি যুবককে দেখার জন্য ওই বাড়িতে মানুষ ভিড় করছেন।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, মাদারীপুরের সদর উপজেলার পাঁচখোলা ইউনিয়নের উত্তর মহিষেরচর এলাকার বাসিন্দা সাইদুল হোসেনের মেয়ে সুমাইয়া আক্তার (১৯)। সুমাইয়া মাদারীপুর শহরের সরকারি সুফিয়া মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী। তারা তিন বোন। সুমাইয়া বড়। মেঝ সাদিয়া আক্তার (১২) মাদ্রাসায় পড়ে। ছোট বোন আরিফা (৬)।
চীনের সাংহাই শহরের সি জিং নিং এর ছেলে শি তিয়ান জিং (২৬)। তারা দুই ভাই। বড় শি তিয়ান জিং। তার চীনের সাংহাই শহরে রেস্টুরেন্টের ব্যবসা আছে।
আরো পড়ুন:
‘একজন ছেলে মানুষ আমাদের পরিবারের বৌ হয়েছিল’
এক বিয়ের বরযাত্রী খেয়ে ফেলল অন্য বিয়ের খাবার
শি তিয়ান জিংকে টিকটকে দেখেন সুমাইয়া। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা আদান-প্রদান হয়। উভয়ই গুগলের মাধ্যমে লেখা অনুবাদ করে মনের ভাব আদান- প্রদান করেন। এক পর্যায় তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক হয়। মাত্র চার মাসের প্রেমের সম্পর্কের সূত্র ধরে গত ২৪ জুলাই চীন থেকে বাংলাদেশ আসেন শি তিয়ান জিং। এরপর এক দিন ঢাকার একটি হোটেলে থাকেন। ২৬ জুলাই মাদারীপুর সদর উপজেলার মহিষেচরের সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন।
সুমাইয়া, সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম ও তার দুইজন আত্মীয় মিলে ঢাকা থেকে শি তিয়ান জিংকে মাদারীপুরে নিয়ে আসেন। বাংলা ভাষায় কথা বলতে না পারায় মোবাইলে অনুবাদ করে কথা আদান-প্রদান করেন শি তিয়ান জিং। এরপর ২৭ জুলাই তারা বিয়ে করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সুমাইয়ার বাড়িতে মানুষ ভিড় করতে থাকে।
সুমাইয়া আক্তার বলেন, ‘‘টিকটক দেখে আমি ওর ভক্ত হই। এরপর ইউচ্যাটের মাধ্যমে কথা হয়। পরে দুজনেই প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। মাত্র চার মাসের প্রেমের সূত্র ধরে চীন থেকে বাংলাদেশ আমার কাছে চলে আসবে, তা কখনো ভাবিনি। ও প্লেনে উঠার সময় বলেছে, আমি বাংলাদেশে আসছি। আমি বিশ্বাস করিনি। যখন ইন্ডিয়া এসে আমাকে জানায়, তখন বিশ্বাস করেছি।’’
সুমাইয়া আক্তার আরো বলেন, ‘‘ও ওর মা-বাবাকে আমার কথা বলেছে। তারাও মুসলিম। ওর মা বলেছেন, আমাকে বিয়ে করে চীনে নিয়ে যেতে। তাই শি তিয়ান জিং বাংলাদেশে এসে আমাকে বিয়ে করেছেন।’’
সুমাইয়া বলেন, ‘‘এরই মধ্যে পাসপোর্ট করতে দিয়েছি। শি তিয়ান জিং এক মাস বাংলাদেশে থাকবে। এর মধ্যে আমার কাগজপত্র রেডি করা হবে। তারপর ও আমাকে চীনে নিয়ে যাবে। আমিও চীনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’
শি তিয়ান জিং বলেন, ‘‘বাংলাদেশ আমার ভালো লেগেছে। তবে অনেক গরম। আর অনেক মানুষ আমাকে দেখতে আসে। তাই আমার ভয় লাগে। আমি ভালোবেসে চীন থেকে এখানে এসেছি। সুমাইয়াকে বিয়ে করেছি। এখন ওর কাগজপত্র রেডি করে চীনে নিয়ে যাবো। আমার পরিবার সব জানে। তারাই সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যেতে বলেছেন।’’
সুমাইয়ার বাবা সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘‘শি তিয়ান জিং আমাদের এখানে আছে। ও খুব ভালো ছেলে। খুবই অমায়িক। কোনো অহংকার নেই। এক মাস থাকবে এবং আমার মেয়েকে নিয়ে যাবে। আমরা খুব খুশি।’’
পাঁচখোলা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য রুবেল হাওলাদার জানান, প্রথমে আদালতের মাধ্যমে তাদের বিয়ে হয়। পরে সামাজিকভাবে গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বিয়ে হয়। চীনে ওই ছেলের ব্যবসা আছে। কিছু দিনের মধ্যে সুমাইয়াকে চীনে নিয়ে যাবে।
ঢাকা/বকুল