রংপুরে ‘অপারেশন ডেভিল হান্টে’ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক চেয়ারম্যানকে গ্রেপ্তার এবং আরেক সাবেক চেয়ারম্যানকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে তাঁদের গ্রেপ্তার ও আটক করা হয়।

ওই দুজন হলেন রংপুরের সদর উপজেলার খলেয়া ইউপির চেয়ারম্যান মোত্তালেবুল হক ও পীরগঞ্জের বড় আলমপুর ইউপির চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মো. হাফিজুর রহমান।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল রাত আটটার দিকে ভিন্নজগৎ এলাকা থেকে গঙ্গাচড়া মডেল থানার পুলিশ মোত্তালেবুল হককে গ্রেপ্তার করে। মোত্তালেবুল হক রংপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।

গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল ইমরান প্রথম আলোকে বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত হওয়ার ঘটনায় মোত্তালেবুল হকের নামে রংপুর মহানগর কোতোয়ালি থানায় একটি হত্যা মামলা আছে। গ্রেপ্তারের পর তাঁকে গতকাল রাতেই কোতোয়ালি থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এদিকে গতকাল রাত আটটার দিকে চেয়ারম্যান আবু সাঈদ মো.

হাফিজুর রহমানকে উপজেলার ফলির বিল এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ। তবে তাঁর বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। গত ৫ আগস্ট সরকার পরিবর্তনের পর ইউপি কার্যালয়ে অনুপস্থিতির কারণ দেখিয়ে তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।

পীরগঞ্জ থানার ওসি এম এ ফারুকের দাবি, ‘অপারেশন ডেভিল হান্ট’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে হাফিজুর রহমানকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি কিছুদিন থেকে নাশকতা ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতি সৃষ্টির পাঁয়তারা করছিলেন।

তবে হাফিজুর রহমানের ছোট ভাই হাফিজ আবদুন নূর প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই স্বতন্ত্র নির্বাচন করে চেয়ারম্যান হয়েছেন। তিনি আওয়ামী লীগের কোনো পদে নেই। তাঁর বিরুদ্ধে মামলা নেই। তবু কেন তাঁকে গ্রেপ্তার করা হলো, পুলিশ কোনো সদুত্তর দেয়নি।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: হ ফ জ র রহম ন গতক ল

এছাড়াও পড়ুন:

জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি খুন

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পারিবারিক কলহের জেরে জামাইয়ের ছুরিকাঘাতে শাশুড়ি নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন একজন। বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ফজিলা খাতুন (৪৫) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের বাসিন্দা মৃত জালাল উদ্দিনের স্ত্রী। 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মনির মিয়া (৩০) উপজেলার হরিরামপুর ব্যাপারী গ্রামের সেলিম মিয়ার ছেলে। ঘটনার রাতে স্ত্রী রুমা আক্তারের সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান মনির। পরে রাত আনুমানিক আড়াইটার দিকে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং চার বছরের ছেলে রোহানকে নিয়ে চলে যেতে চান। এতে স্ত্রীর সঙ্গে তার আবারও বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে মনির হাতে থাকা ছুরি দিয়ে স্ত্রীকে আঘাত করতে গেলে শাশুড়ি ফজিলা খাতুন বাধা দেন। তখন মনির শাশুড়িকে ছুরিকাঘাত করেন। পাশাপাশি স্ত্রীকেও আঘাত করেন তিনি। পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে ফজিলা খাতুনের মৃত্যু হয়।

মুক্তাগাছা থানার ওসি মো. কামাল হোসেন বলেন, খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো। তবে অভিযুক্ত পালিয়েছে। তাকে ধরার চেষ্টা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ