সাতক্ষীরায় বরইয়ের দামে খুশি কৃষক
Published: 15th, February 2025 GMT
সাতক্ষীরায় বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদিত বরইয়ের ব্যাপক চাহিদা ও সুনাম থাকায় কৃষকরা চলতি বছর বেশি লাভের আশা দেখছে। অল্প সময়ে অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছরই বাড়ছে বরইয়ের আবাদ। এবার বরইয়ের ভালো দাম পেয়ে খুশি কৃষকরা।
স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে জেলার উৎপাদিত বরই যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। মণ প্রতি পাইকারি বিক্রি করছেন তিন থেকে সাড়ে তিন হাজার টাকা দরে। দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বরই রপ্তানিরও আশা করছে জেলা কৃষি বিভাগ।
সাতক্ষীরার বরই দেশবিখ্যাত। চলতি মৌসুমে জেলায় ৮৪৬ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন প্রকার বরইয়ের আবাদ করা হয়েছে। এসব বরইয়ের মধ্যে রয়েছে নারিকেল বরই, থাই আপেল বরই, বল সুন্দরী ও কাশ্মীর বরই।
প্রতি বিঘায় উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ৭০ থেকে ৮০ মণ। ইতোমধ্যে বরইয়ের বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। প্রকার ভেদে ১৫০ টাকা থেকে ২২০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে বরই।
সাতক্ষীরা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মনিরুল ইসলাম মনি বলেন, “জেলার সাতটি উপজেলায় বরই চাষ ছড়িয়ে পড়েছে। যার মধ্যে কলারোয়া উপজেলায় ৪৭০ হেক্টর, তালা উপজেলায় ১৬৫ হেক্টর, সদর উপজেলায় ১১২ হেক্টর, কালীগঞ্জ উপজেলায় ৪৫ হেক্টর, শ্যামনগর উপজেলায় ২৫ হেক্টর, আশাশুনি উপজেলায় ২০ হেক্টর, এবং দেবহাটা উপজেলায় ৪ হেক্টর জমিতে বরই চাষ হচ্ছে।”
তালা উপজেলার মিঠাবাড়ি এলাকার বরই চাষি পাঞ্জাব আলী বিশ্বাস বলেন, “আমরা বহুদিন ধরে বরই চাষ করছি। এ বছর এখন পর্যন্ত ৩ থেকে ৪ লাখ টাকার বরই বিক্রি করেছি। বাগানে নারিকেল বরই, থাই আপেল বরই, বল সুন্দরী, টকসহ বিভিন্ন জাতের বরই রয়েছে।”
একই এলাকার মো.
সাতক্ষীরা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, “মাঠ পর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তারা বরই চাষিদের পরামর্শ ও সহায়তা প্রদান করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে জেলার বরই চাষিরা দেড়শ কোটি টাকার বেশি বাজার মূল্য পাবেন।”
তিনি আরো বলেন, “সাতক্ষীরার বরই দেশীয় বাজারে চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি রপ্তানিরও বিশাল সম্ভাবনা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে বরই রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন সম্ভব, যা দেশের অর্থনীতিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
ঢাকা/শাহীন/এস
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উপজ ল য় বরই চ ষ উৎপ দ র বরই ল বরই
এছাড়াও পড়ুন:
বিস্ফোরক মামলায় চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ
চট্টগ্রামে বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দিয়েছেন আদালত। পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আজ সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলাউদ্দিন এ আদেশ দেন।
নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (প্রসিকিউশন) মফিজ উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, কারাগারে থাকা চিন্ময় দাসকে কোতোয়ালি থানার বিস্ফোরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে আদালত তা মঞ্জুর করেছেন।
গত বছরের ২৬ নভেম্বর সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপত্র চিন্ময় দাসের জামিনকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের মধ্যে আইনজীবী সাইফুলকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এ হত্যার ঘটনায় তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা করেন। এ ছাড়া পুলিশের ওপর হামলা, কাজে বাধা এবং আইনজীবী ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। ৬টি মামলায় গ্রেপ্তার হন ৫১ জন। তাঁদের মধ্যে হত্যায় জড়িত অভিযোগে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
আদালত সূত্র জানায়, সাইফুল হত্যার আসামিদের মধ্যে চন্দন দাস, রিপন দাস ও রাজীব ভট্টাচার্য আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়, আইনজীবীর ঘাড়ে বঁটি দিয়ে দুটি কোপ দেন রিপন দাস। আর কিরিচ দিয়ে কোপান চন্দন দাস। পরে রাস্তায় পড়ে থাকা সাদা শার্ট ও কালো প্যান্ট পরা এই আইনজীবীকে লাঠি, বাটাম, ইট, কিরিচ ও বঁটি দিয়ে তাঁরা ১৫ থেকে ২০ জন পিটিয়ে হত্যা করেন।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননায় রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২৫ নভেম্বর ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।