ছাগল চুরির অভিযোগ ইউপি চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে
Published: 15th, February 2025 GMT
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় ছাগল চুরির অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী। শুক্রবার রাতে নড়িয়া উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের রাজাপুর জমদ্দার কান্দি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদার নড়িয়া থানায় ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীসহ পাঁচজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- নওপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য জাকির মুন্সী (৫৫), তার ভাই ফজলুল হাসান বাদল মুন্সী (৬০), রাকেশ মুন্সী (২০), শাকিল মুন্সীর ছেলে ছাব্বির মুন্সী (২৫) ও দাদন সরদারের ছেলে সারোয়ার সরদার (২৬)
স্থানীয় ও থানার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ভুক্তভোগী ফাহিম জমাদারের বাবা সোহরাব জমাদারের সঙ্গে ইউপি চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীর দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে। এর জেরে মঙ্গলবার বিকেলে চেয়ারম্যানের ভাতিজা রাকেশ মুন্সী, ছাব্বির মুন্সীসহ কয়েকজন যুবক ফাহিম জমাদারকে ডেকে নিয়ে গিয়ে একটি ক্লাবে চার ঘণ্টা আটকে রাখে এবং লোহার রড দিয়ে নির্যাতন চালায়। পরে পরিবারের লোকজন ফাহিমকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। এ ঘটনায় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) নড়িয়া থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ফাহিম। এরই জেরে শুক্রবার রাত দেড়টার দিকে অভিযুক্তরা প্রতিশোধ নিতে ফাহিমের বাড়ি থেকে দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে।
ফাহিম জমাদার বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সী ও তার লোকজন মারধর করেছে। আমি থানায় অভিযোগ করার পর শুক্রবার গভীর রাতে আমাদের দুটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যায় এবং আমাদের বাড়িতে আগুন দেওয়ার হুমকি দেয়। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায়বিচার চাই।’
এ বিষয়ে চেয়ারম্যান জাকির মুন্সীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি অভিযোগটি ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘এটি সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমাকে ছোট করার জন্য একটি মহল অপপ্রচার চালাচ্ছে।
তবে মারধর ও হুমকির বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি ব্যক্তিগত কাজে ব্যস্ত আছেন বলে কল কেটে দেন।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম উদ্দিন মোল্লা অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ
এছাড়াও পড়ুন:
ডিহাইড্রেশন দূর করতে ‘লেবুর কাজী’
লেবুর কাজী ভাতের সাথে ডালের মতো খেতে পারেন। এ ছাড়া আলু ভর্তা, ডিম ভাজি, মাংসের ঝুরা, কালা ভুনা, এবং কোয়াবের সঙ্গে খেতেও অনেক ভালো লাগে। ভুনা বা ডিপ ফ্রাই মাছের সাথেও বেশ জমে যায় লেবুর কাজী।
উপকরণ
ঠান্ডা পানি: ৫০০ মিলি
ভাজা শুকনা মরিচ: ২টি
লেবু: ১টি (রস করে নেওয়া)
সরিষার তেল: ১ টেবিল চামচ
রসুন কুচি: ১ চা চামচ
লবণ: স্বাদমতো
প্রথম ধাপ: একটি বড় বাটিতে লেবুর রস, শুকনা মরিচ, রসুন কুচি, সরিষার তেল ও লবণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর হাত দিয়ে উপকরণগুলো ভালোভাবে মেখে নিন।
দ্বিতীয় ধাপ: এবার পরিমাণমতো পানি যোগ করুন। এরপর সবকিছু একসাথে মিশিয়ে নিলেই তৈরি লেবুর কাজী।
সূত্র: শিউলি কিচেন
ঢাকা/লিপি