ইউটিউব ব্যবহারকারীদের তথ্য চুরি করতে প্রতারকদের অভিনব কৌশল
Published: 17th, February 2025 GMT
ইউটিউব ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করছে একদল প্রতারক। ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে প্রথমে ইউটিউবের অফিশিয়াল ই-মেইল ঠিকানার আদলে তৈরি ঠিকানা থেকে ইউটিউবের নামে একটি লিংকযুক্ত ভুয়া ই-মেইল পাঠায় তারা। ইউটিউবের অফিশিয়াল ই-মেইল ঠিকানার সঙ্গে মিল থাকায় অনেকেই প্রতারকদের পাঠানো ই-মেইলটি ইউটিউবের পাঠানো ভেবে লিংকটিতে ক্লিক করে বিভিন্ন তথ্য জমা দেন। তথ্যগুলো লিখলেই সেগুলো চলে যায় প্রতারকদের দখলে। বিষয়টি জানার পর ব্যবহারকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।
ইউটিউবের তথ্যমতে, প্রতারকদের পাঠানো ই-মেইলে থাকা লিংকে ক্লিক করলে ব্যবহারকারীরা ইউটিউবের একটি ভিডিও দেখতে পান। ভিডিওর বিবরণে আরেকটি লিংকে ক্লিক করতে বলা হয়। সেখানে ক্লিক করলে পাসওয়ার্ড সুরক্ষিত ডকসাইন পেজে প্রবেশ করেন ব্যবহারকারীরা। প্রতারকদের লক্ষ্য হলো ব্যবহারকারীদের ওই কোড ব্যবহার করে একটি ক্ষতিকর ফাইল ডাউনলোড করানো। একবার ফাইলটি চালু হলে আক্রান্ত যন্ত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চুরি করতে পারে প্রতারকেরা। গত বছরের ডিসেম্বরে একই ধরনের প্রতারণার ঘটনা ঘটেছিল। তখন কয়েকটি ক্লিকের মাধ্যমেই অনেক ইউটিউব নির্মাতা তাঁদের অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন।
আরও পড়ুনইউটিউবের প্রথম ভিডিও কোনটি, কে আপলোড করেছিলেন২৮ জানুয়ারি ২০২৩ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে ইউটিউব জানিয়েছে, অনলাইনে নিরাপদ থাকতে সব সময় সতর্ক থাকা জরুরি। তাই ইউটিউবের নামে পাঠানো সন্দেহজনক ই-মেইল বা লিংকে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকতে হবে। এ ধরনের প্রতারণামূলক ই-মেইল পেলে ইউটিউবের অফিশিয়াল সহায়তা কেন্দ্রে অভিযোগ করতে হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে ইউটিউবের অফিশিয়াল এক্স (সাবেক টুইটার) অ্যাকাউন্ট থেকে ইউটিউবের সর্বশেষ তথ্য জানতে পারবেন।
সূত্র: অ্যান্ড্রয়েড পুলিশ
আরও পড়ুনভিডিওতে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে এক বছরে ইউটিউবের আয় কত০৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫আরও পড়ুনশিশুর জন্য ইউটিউব নিরাপদ রাখবেন যেভাবে১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
বন্দরে চুরির মামলার ২ আসামিসহ গ্রেপ্তার ৩
বন্দরে বসতঘরে চুরির ঘটনার মামলার ২ চোরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর উপজেলার ফরাজীকান্দা ছোট মসজিদ এলাকার কাজীমুদ্দিনের ছেলে সাব্বির(২২) ও একই এলাকার ইয়াজল হোসেন মিয়ার ছেলে অলিদ(৪০)। এ ব্যাপারে গৃহিনী শান্তা বেগম বাদী হয়ে ধৃতদের বিরুদ্ধে বন্দর থানায় চুরির মামলা দায়ের করেন। যার নং ১(১১)২৫।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে পুলিশ। ধৃতদের সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উল্লেখিত মামলায় আদালত প্রেরণ করেছে পুলিশ।
গত রোববার (২ নভেম্বর) রাতে বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ৪ অক্টোবর বন্দর উপজেলা ফরাজীকান্দা এলাকায় এ চুরির ঘটনাটি ঘটে।
মামলার তথ্য সূত্রে জানা গেছে, মামলার বাদিনী বন্দর উপজেলার ফরাজিকান্দা গ্ ছোট মসজিদস্থ তার পিতার বাড়িতে বসবাস করে আসছে। বিবাদী একই এলাকার সম্পর্কে বাদিনী চাচাত ও ফুফাত ভাই ।
গত ৩ অক্টোবর বাদিনী নানা মৃত্যুবরন করলে বাদিনীসহ তার পরিবারের লোকজন মুন্সিগঞ্জস্থ নানা বাড়িতে যায়। পরের দিন গত ৪ অক্টোবর বাদিনী তার পিতার বাড়িতে এসে রুমে প্রবেশ করলে সবকিছু এলোমেলো দেখতে পায়।
সন্দেহ হলে ঘরের ভিতর তল্লাশী করিলে দেখতে পাড আমাদের দুটি এড্রয়েট মোবাইল সেট,মাটির ব্যাংকে রক্ষিত ১০ হাজার টাকা,দামী ব্রান্ডের ব্লুটোথসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস চুরি করে নিয়ে যায় ।
ঘরের বিভিন্ন স্থানে খোজ করিয়াও বর্নিত মালামালের কোন সন্ধান পাওয়া যায় নাই। বিবাদীরা ইতিপূর্বেও আমার বাড়িতে চুরি করেছিল এবং আমাদের প্রতিবেশিরা আমাদের অনুপস্থিতিতে বাড়ির চারপাশে ঘুরাঘুরি করতে দেখেছে বলে জানায়।
পুলিশ জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফতারকৃতরা ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃত দুই আসামীকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ছাড়া সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানার জয়নগর এলাকার সিরাজুল মিয়ার ছেলে রেজাউল করিম (৩২) নামে এক যুবককে সন্দেহ জনক ভাবে আটক করে। পরে আটককৃতকে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।