চলতি সপ্তাহেই যাত্রা শুরু করবে জুলাই অধিদপ্তর: ফারুক-ই-আজম
Published: 17th, February 2025 GMT
সানবিডি২৪ এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন
চলতি সপ্তাহেই জুলাই অধিদপ্তর নামে নতুন একটি অধিদপ্তরের যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।
সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে তিন দিনব্যাপী জেলা প্রশাসক (ডিসি) সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনের তৃতীয় অধিবেশন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।
ফারুক-ই-আজম বলেন, জুলাই অধিদপ্তরের কাজ শেষ পর্যায়ে। অধিদপ্তর হওয়ার একটা নীতিমালা হয়েছে। সেটাও চূড়ান্ত পর্যায়ে। এ সপ্তাহেই অধিদপ্তরটি আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করবে।
তিনি বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানে যারা শহীদ হয়েছেন তারা জুলাই শহীদ ও যারা আহত হয়েছেন তারা জুলাই যোদ্ধা হিসেবে স্বীকৃতি পাবেন। এ নিরিখে তারা সনদ ও পরিচয়পত্র পাবেন। অন্য সরকারি সুযোগ-সুবিধা, চিকিৎসা ও ভাতাও পাবেন।
মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, যারা জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন তাদের পরিবার এককালীন ৩০ লাখ টাকা করে পাবেন। এর মধ্যে এ অর্থবছরেই সঞ্চয়পত্রের অধীনে ১০ লাখ টাকা দেওয়া হবে। বাকি ২০ লাখ আগামী অর্থবছরে দেওয়া হবে।
তিনি বলেন, আহতদের মধ্যে এ-ক্যাটাগরির (গুরুতর) যারা তারা এককালীন ৫ লাখ টাকা পাবেন, এর বাইরে ২০ হাজার করে মাসিক ভাতা পাবেন। বি-ক্যাটাগরির যাদের অঙ্গহানি হয়েছে, তারা এককালীন ৩ লাখ টাকা পাবেন, সঙ্গে ১৫ হাজার করে টাকা মাসিক ভাতা পাবেন। সরকারের বিভিন্ন মাত্রায় তারা প্রশিক্ষণ পাবেন। তারা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি পাবেন। কোটার ভিত্তিতে নয়, অবশ্যই মেধার ভিত্তিতে। যারা আহত হয়েছিলেন তবে চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে গেছেন, তারা সি-ক্যাটাগরির আহত (কম গুরুতর)। তারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে চাকরি বা অন্য কিছুতে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ায় অগ্রাধিকার পাবেন। তবে তারা কোনো টাকা বা ভাতা পাবেন না।
এম জি
.উৎস: SunBD 24
কীওয়ার্ড: সরক র
এছাড়াও পড়ুন:
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি বাস্তবায়নে কমিটি
সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (গভর্নেন্স পারফরমেন্স মনিটরিং সিস্টেম- জিপিএমএস)’ বাস্তবায়নে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে সভাপতি করে তিন সদস্যের উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করেছে সরকার।
সম্প্রতি এই কমিটি গঠন করে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
কমিটিতে বাকি দুই সদস্য হলেন, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ ও খাদ্য উপদেষ্টা আলী ইমাম মজুমদার।
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে সরকারি কাজের জবাবদিহিতা, দক্ষতা ও জনকল্যাণ নিশ্চিতে প্রশাসনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কাজের মূল্যায়নের নতুন পদ্ধতি চালু হয়েছে। বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তির (এপিএ) পরিবর্তে নতুন সরকারি কর্মসম্পাদন পরিবীক্ষণ পদ্ধতি (জিপিএমএস) চালু করা হয়েছে। এই জিপিএমএস বাস্তবায়নে উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি’ গঠন করা হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব বা প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব, অর্থ সচিব, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার), বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগের সচিব কমিটিকে সহায়তা করবেন। তাছাড়া, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।
এ কমিটি জিপিএমএস বাস্তবায়নের বিষয়ে সার্বিক দিক-নির্দেশনা দেবে। মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসে সেকশন ১-এর আওতায় প্রস্তুত করা পরিকল্পনা অনুমোদন দেবে এবং অর্থবছর শুরুর আগে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএস পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চূড়ান্ত করবে এ কমিটি।
এছাড়া, প্রতি অর্থবছর শেষে মন্ত্রণালয় বা বিভাগের জিপিএমএসের সার্বিক মূল্যায়ন পর্যালোচনা করে সুপারিশ দেবে। জিপিএমএস বিষয়ে সরকারের দেওয়া অন্য যেকোনো দায়িত্ব পালন করবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/ইভা