পদ্মা ব্যাংক লিমিটেড এর সাবেক চেয়ারম্যান চৌধুরী নাফিজ সারাফত, স্ত্রী আঞ্জুমান আরা শহীদ, ছেলে চৌধুরী রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের (ফ্রিজ) আদেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন (গালিব) দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আবেদনে বলা হয়, চৌধুরী নাফিজ সারাফত ও অন্যান্যদের বিরুদ্ধে ঘুস, দুর্নীতি, জালিয়াতি, ও ক্ষমতার অপব্যবহার করে গ্রাহকের সাথে প্রতারণা ও নিজেদের মাধ্যমে একে অপরের যোগসাজশে প্রায় ৮৮৭ কোটি টাকা আত্মসাতসহ বিভিন্ন অভিযোগের ওপর অনুসন্ধানপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য অনুসন্ধান টিম কাজ করছে।

অভিযোগের অনুসন্ধানকালে সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, স্ত্রী আজুমান আরা শহীদ ও পুত্র রাহিব সাফওয়ান চৌধুরী এর নিজ নামে এবং তাদের স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামে বিভিন্ন ব্যাংকের হিসাবে তাদের পেশা, অর্থের উৎস ও হিসাব খোলার উদ্দেশ্যের সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অঙ্কের টাকা জমা ও উত্তোলনের তথ্য পাওয়া যায়। যা তাদের জ্ঞাত আয়ের সাথে অসঙ্গগতিপূর্ণ ও এই বিপুল পরিমাণ ব্যাংক লেনদেন মানিলন্ডারিং এর উদ্দেশ্যে করা হয়েছে বলে অনুসন্ধানকালে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়।

দুর্নীতি দমন কমিশন অনুসন্ধান শুরুর পর থেকে অভিযোগ সংশ্লিষ্টরা ব্যাংক হিসাবে থাকা অর্থসমূহ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর, বা বেহাত করার জন্য বিভিন্ন প্রচেষ্টা করছেন মর্মে বিশ্বস্থ সূত্রে জানা যায়। বর্তমানে অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে অভিযোগসংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, তার পরিবারের সদস্যদের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাবসমূহ অবিলম্বে অবরুদ্ধ করা আবশ্যক।

এমতাবস্থায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের নিজ নামীয়, পরিবারের সদস্য/পোষ্যদের ও স্বার্থসংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের নামীয় ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধকরণের লক্ষ্যে বিএফআইইউ এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাংকসমূহকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আদেশ প্রদানের প্রয়োজন।

একই আদালত গত ৭ জানুয়ারি নাফিজ সারাফত, আঞ্জুমান আরা শহীদ, রাহিব সাফওয়ান সারাফাতের রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় থাকা ১৮টি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেন।ফ্ল্যাট বাদে নাফিজ সারাফত ও আঞ্জুমান আরা শহীদের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি, প্লটও ক্রোকের আদেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর ২২ জানুয়ারি নাফিজ সারাফাতের দুবাইয়ে থাকা একটি ফ্ল্যাট ও একটি ভিলা জব্দের আদেশ একই আদালত।

ঢাকা/মামুন/এসবি

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ম ন আর অবর দ ধ

এছাড়াও পড়ুন:

রাজধানীতে তিন দিনের ফল মেলা শুরু বৃহস্পতিবার

কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে রাজধানীর খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন (কেআইবি) চত্বরে বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী জাতীয় ফল মেলা। ‘দেশি ফল বেশি খাই, আসুন ফলের গাছ লাগাই’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত এ মেলা শেষ হবে শনিবার।

কৃষি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের ফল মেলায় ২৬টি সরকারি ও ৪৯টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মোট ৭৫টি স্টলে বিভিন্ন ধরনের ফল ও ফল চাষের প্রযুক্তি প্রদর্শন করা হবে। মেলা প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত চলবে। দর্শনার্থীরা ফল চাষের বিভিন্ন প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে ও রাসায়নিকমুক্ত বিভিন্ন জাতের ফল কিনতে পারবেন।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় কেআইবি চত্বরে মেলা উদ্বোধন করবেন কৃষি উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। এরপর কেআইবি মিলনায়তনে ‘স্বাস্থ্য, পুষ্টি ও বাণিজ্যিকীকরণে দেশী ফল: বর্তমান প্রেক্ষিত, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনার হবে। কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ানের সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি থাকবেন কৃষি উপদেষ্টা। সমাপনী দিন শনিবার বিকেলে মেলা প্রাঙ্গণে সেরা স্টলকে পুরস্কার দেওয়া হবে। 

কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, দেশীয় ফলগুলোকে পরিচিত করতেই এমন উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়। মেলায় দেখা মিলবে বিলুপ্ত প্রায়, অপ্রচলিত, নতুন ও সম্ভাবনাময় অনেক ফলের। কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন দপ্তর সারা বছরই বিভিন্ন ফলের নতুন জাত উদ্ভাবন করে। মেলায় সাধারণ মানুষকে এসব ফলের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সুযোগ হবে। ঢাকা ছাড়া সারাদেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও জাতীয় ফল মেলার আয়োজন করা হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ