প্যারোলে মুক্তি পেয়ে মায়ের জানাজায় অংশ নিলেন যুবলীগ নেতা রাজা
Published: 18th, February 2025 GMT
মায়ের জানাজায় অংশ নিতে এক ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তি পেয়েছেন মানিকগঞ্জ জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র আব্দুর রাজ্জাক রাজা।
মঙ্গলবার দুপুর ১ টায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি পুলিশ পাহারায় মায়ের জানাজায় অংশ নেন। জানাজা শেষে বিকেল ২টার দিকে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়।
যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজার মা জোহরা বেগম (৭০) সোমবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। শেষবারের মতো মায়ের মুখ দেখা ও জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য পরিবারের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত আবেদন করা হয়।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাজমুল হাসান খান দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত এক ঘণ্টার জন্য প্যারোলে মুক্তির অনুমতি দেন। এরপর পুলিশ পাহারায় সদর উপজেলার দাশড়া গ্রামের ভাওইপাড়া কবরস্থানে জানাজার জন্য নিয়ে আসা হয় আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে।
এর আগে, গত ২২ জানুয়ারি রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে আব্দুর রাজ্জাক রাজাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্র জনতার ওপর সশস্ত্র হামলা, জেলা বিএনপি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ ও হামলার অভিযোগ রয়েছে।
মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি এস এম আমানুল্লাহ) জানান, আদালতের নির্দেশে যুবলীগ নেতা আব্দুর রাজ্জাক রাজা তার মায়ের জানাজায় অংশ নেওয়ার সুযোগ পান। জানাজা শেষে তাকে আবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ম য় র ম ত য র জন য য বল গ র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
১১ নাটক নিয়ে শিল্পকলায় চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’
জুলাই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে রচিত ১১ দলের ১১টি নতুন প্রযোজনা নিয়ে শিল্পকলা একাডেমিতে চলছে ‘জুলাই পুনর্জাগরণ নাট্যোৎসব’। জাতীয় নাট্যশালায় গত ৩১ জুলাই শুরু হওয়া এই নাট্যোৎসব চলবে ৮ আগস্ট পর্যন্ত। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে আয়োজিত এ উৎসবে নাট্যরূপে উঠে আসছে ইতিহাস, আন্দোলন ও সময়ের গল্প।
উৎসবের দ্বিতীয় দিন গতকাল শুক্রবার জাতীয় নাট্যশালার মূল মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় ‘শুভঙ্কর হাত ধরতে চেয়েছিল’। তীরন্দাজ রেপার্টরি প্রযোজিত নাটকটির রচনা ও নির্দেশনায় দীপক সুমন। গতকালই ছিল এ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। সাপ্তাহিক ছুটির দিনে মঞ্চস্থ নতুন এ নাটক নিয়ে আলোচনা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। বৃষ্টি উপেক্ষা করে উল্লেখযোগ্য দর্শকের উপস্থিতি ছিল। দর্শকদের অনেকেই বলছেন, এই নাটকে যেন এক নাগরিকের নির্জনতা, এক প্রেমিকের না-পাওয়া, এক বিপ্লবীর বিষণ্নতা আর এক সাধারণ মানুষের অসহায়তা একসূত্রে বাঁধা পড়েছে।