৭ বারের শিরোপাধারী মিলানকে বিদায় করে দিল ফেইনুর্ড
Published: 19th, February 2025 GMT
চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফের ড্র’তে ফেইনুর্ড যখন এসি মিলানের মুখোমুখি পড়ে তখনও ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডের খেলোয়াড় সান্তিয়াগো হেমিনেজ। দিন দুয়েক পরে এই মেক্সিকান ফরোয়ার্ড নাম লেখান ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রোতিযোগিতার দ্বিতীয় সফল দল মিলানে। এই হেমিনেজই মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে বসেন। তবে এরপরও শেষ ষোলোর টিকেট পায়নি মিলান।
ফেইনুর্ডের মাঠ থেকে প্রথম লেগে ১-০ বুবধানে হেরে এসেছিল মিলান। দ্বিতীয় লেগে সান সিরোতে ম্যাচের ৩৬ সেকেন্ডেই গোল পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে বর্তমান ক্লাবের ত্রণকর্তার ভূমিকায় ছিলেন হেমিনেজ। প্রথম ৫০ মিনিট ম্যচের লাগাম সম্পূর্ণ ছিল সার্জিও কনসেইসাওয়ের মিলানের কাছেই।
ঝামেলার শুরু এরপরই। ম্যাচের ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার ফলে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয় মিলানের ফরাসি লেফটব্যাক থিও হার্নান্দেজকে। ব্যস, ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৭৩ মিনিটে বদলি ফুটবলার হুলিয়ান কারানজার গোলে সমতায় ফেরে ফেইনুর্ড। ম্যাচ শেষ হয় সেই স্কোরলাইনে, অর্থাৎ ১-১ গোলের ড্রয়ে। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ডাচ ক্লাবটি।
আরো পড়ুন:
ডার্ক হর্স ফেইনুর্ডের মুখোমুখি জায়ান্ট মিলান
‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’ তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভিনিসিয়ুসকে
১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় উঠল ফেইনুর্ড। এদিকে হার্নান্দেজের দূরদর্শিতার অভাবেই মিলান শেষ ষোলোতে উঠতে ব্যর্থ হলেও দলটির পর্তুগিজ ম্যানেজার সেটি মানতে নারাজ।
কনসেইসাও তার শিষ্যকে বাঁচিয়ে নিজের কাঁধে ব্যর্থতার দায় তুলে নেন, “এটি অবশ্যই একটি ব্যর্থতা। আমরা শেষ ষোলতে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটি দেখিয়েছে যে আমরা প্রতিপক্ষের তুলনায় শক্তিশালী ছিলাম। তবে সবকিছুই নির্ধারণ করেছে লাল কার্ড। আপনি বলতে পারেন যে রেফারি (সিমন মারসিনিয়াক) একটু কঠোর ছিলেন, কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হতো। এই হারের জন্য আমি দায়ী, থিও নয়।”
হার্নান্দেজকে সমর্থন করতে গিয়ে কনসেইসাও বলেন, ভুল যে কারও দ্বারাই হতে পারে, “থিও মিলানকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি আমার ক্যারিয়ারে অনেক ভুল করেছি। থিও লাল কার্ড দেখার আগ পর্যন্ত ফেইনুর্ড বুঝে উঠেই পারছিল না কিভাবে গোল করতে হবে।”
ঢাকা/নাভিদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন র ড
এছাড়াও পড়ুন:
পাল্টাপাল্টি হামলার তীব্রতা বাড়ল
ইরান ও ইসরায়েলের পাল্টাপাল্টি হামলা ঘিরে আরও অশান্ত হয়ে উঠেছে মধ্যপ্রাচ্য। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে হামলার তীব্রতা বাড়াচ্ছে দুই দেশ। ইসরায়েলে গত শনিবার রাতভর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। একই রাতে ইরানের গ্যাসক্ষেত্র ও তেল শোধনাগারে বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ হামলায় ইরানের কতজন নিহত হয়েছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি।
গতকাল রোববার ছিল দুই দেশের পাল্টাপাল্টি হামলার তৃতীয় দিন। শনিবার রাতের পর রোববার দিনের বেলায়ও পাল্টাপাল্টি হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল ও ইরান। এদিন ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলার কথা জানিয়েছে ইয়েমেনের সশস্ত্র
গোষ্ঠী হুতি। চলমান সংঘাতে এই প্রথম ইরানপন্থী কোনো গোষ্ঠী যোগ দিল। এমন পরিস্থিতিতে দুই দেশকে শান্ত করার জন্য প্রচেষ্টা শুরু করেছে বিভিন্ন দেশ।
গতকাল রাত একটায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে পাল্টাপাল্টি হামলা চলছিল। এ রাতেও তেহরানের নিয়াভারান, ভালিয়াসর ও হাফতে তির স্কয়ার এলাকায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। ইরানের পূর্বাঞ্চলে মাশহাদ বিমানবন্দরে একটি ‘রিফুয়েলিং’ উড়োজাহাজে আঘাত হানার কথা জানায় ইসরায়েলি বাহিনী। এই উড়োজাহাজগুলো আকাশে থাকা অবস্থায় অন্য উড়োজাহাজে জ্বালানি সরবরাহ করতে সক্ষম। ইরান থেকেও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার খবর পাওয়া গেছে।
ইসরায়েলে ব্যাপক হামলা ইরানেরইরানের পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি ঠেকানোর কথা বলে গত বৃহস্পতিবার রাতে দেশটিতে প্রথমে হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই রাতে ইসরায়েলের দুই শতাধিক যুদ্ধবিমান ইরানের ‘পরমাণু ও ক্ষেপণাস্ত্র’ স্থাপনায় আঘাত হানে। শুক্র ও শনিবারও ইরানে হামলা চলে। পাল্টা জবাব দিচ্ছে তেহরানও। তবে ইসরায়েলে শনিবার রাতভর ইরান যে হামলা চালিয়েছে, তা ছিল সবচেয়ে ব্যাপক।
ইসরায়েলে শনিবার প্রথম দফায় ইরানের হামলা শুরু হয় রাত ১১টার পরপর। এ সময় ইসরায়েলের জেরুজালেম ও হাইফা শহরে বেজে ওঠে সাইরেন। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় হাইফায় অবস্থিত তেল শোধনাগার। পরে রাত আড়াইটার দিকে দ্বিতীয় দফায় হামলা শুরু করে ইরান। তখন তেল আবিব ও জেরুজালেমে বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।
ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, শনিবার রাতে দুই দফায় ৭৫টি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ে ইরান। প্রথম দফায় ছোড়া হয় ৪০টি। এতে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের তামরা শহরে চারজন নিহত হন। দ্বিতীয় দফায় ছোড়া হয় ৩৫টি ক্ষেপণাস্ত্র। এর একটি আঘাত হানে তেল আবিবের কাছে বাত ইয়াম এলাকায়। এতে অন্তত ছয়জন নিহত ও প্রায় ২০০ জন আহত হন। এ ছাড়া রেহভোত শহরে আহত হয়েছেন ৪০ জন।
ইসরায়েলি হামলায় জ্বলছে ইরানের শাহরান তেলের ডিপো। গতকাল দেশটির রাজধানী তেহরানের কাছে।