চ্যাম্পিয়নস লিগের প্লে-অফের ড্র’তে ফেইনুর্ড যখন এসি মিলানের মুখোমুখি পড়ে তখনও ডাচ ক্লাব ফেইনুর্ডের খেলোয়াড় সান্তিয়াগো হেমিনেজ। দিন দুয়েক পরে এই মেক্সিকান ফরোয়ার্ড নাম লেখান ইউরোপিয়ান ক্লাব প্রোতিযোগিতার দ্বিতীয় সফল দল মিলানে। এই হেমিনেজই মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫) দিবাগত রাতে প্লে অফের দ্বিতীয় লেগে সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে বসেন। তবে এরপরও শেষ ষোলোর টিকেট পায়নি মিলান।

ফেইনুর্ডের মাঠ থেকে প্রথম লেগে ১-০ বুবধানে হেরে এসেছিল মিলান। দ্বিতীয় লেগে সান সিরোতে ম্যাচের ৩৬ সেকেন্ডেই গোল পায় ইতালিয়ান জায়ান্টরা। সাবেক ক্লাবের বিপক্ষে গোল করে বর্তমান ক্লাবের ত্রণকর্তার ভূমিকায় ছিলেন হেমিনেজ। প্রথম ৫০ মিনিট ম্যচের লাগাম সম্পূর্ণ ছিল সার্জিও কনসেইসাওয়ের মিলানের কাছেই।

ঝামেলার শুরু এরপরই। ম্যাচের ৫১ মিনিটে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখার ফলে মাঠ থেকে বের হয়ে যেতে হয় মিলানের ফরাসি লেফটব্যাক থিও হার্নান্দেজকে। ব্যস, ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। ৭৩ মিনিটে বদলি ফুটবলার হুলিয়ান কারানজার গোলে সমতায় ফেরে ফেইনুর্ড। ম্যাচ শেষ হয় সেই স্কোরলাইনে, অর্থাৎ ১-১ গোলের ড্রয়ে। তবে দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ গোলের জয়ে শেষ ষোলোয় উঠেছে ডাচ ক্লাবটি।

আরো পড়ুন:

ডার্ক হর্স ফেইনুর্ডের মুখোমুখি জায়ান্ট মিলান 

‘স্টপ ক্রায়িং ইউর হার্ট আউট’ তাঁতিয়ে দিয়েছিল ভিনিসিয়ুসকে

১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় উঠল ফেইনুর্ড। এদিকে হার্নান্দেজের দূরদর্শিতার অভাবেই মিলান শেষ ষোলোতে উঠতে ব্যর্থ হলেও দলটির পর্তুগিজ ম্যানেজার সেটি মানতে নারাজ।

কনসেইসাও তার শিষ্যকে বাঁচিয়ে নিজের কাঁধে ব্যর্থতার দায় তুলে নেন,  “এটি অবশ্যই একটি ব্যর্থতা। আমরা শেষ ষোলতে পৌঁছাতে চেয়েছিলাম। এই ম্যাচটি দেখিয়েছে যে আমরা প্রতিপক্ষের তুলনায় শক্তিশালী ছিলাম। তবে সবকিছুই নির্ধারণ করেছে লাল কার্ড। আপনি বলতে পারেন যে রেফারি (সিমন মারসিনিয়াক) একটু কঠোর ছিলেন, কিন্তু আমাদের মানসিকভাবে আরও শক্তিশালী হতে হতো। এই হারের জন্য আমি দায়ী,  থিও নয়।”

হার্নান্দেজকে সমর্থন করতে গিয়ে কনসেইসাও বলেন, ভুল যে কারও দ্বারাই হতে পারে, “থিও মিলানকে অনেক কিছু দিয়েছে। আমি আমার ক্যারিয়ারে অনেক ভুল করেছি। থিও লাল কার্ড দেখার আগ পর্যন্ত ফেইনুর্ড বুঝে উঠেই পারছিল না কিভাবে গোল করতে হবে।”

ঢাকা/নাভিদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চ য ম প য়নস ল গ ফ ইন র ড

এছাড়াও পড়ুন:

কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তান সেনাপ্রধান আসিম মুনিরের মন্তব্যে ভারতে ক্ষোভ, কী বলেছেন তিনি

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির সাধারণত আলোচনার কেন্দ্রে আসেন না। তবে সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে খবরের শিরোনাম হয়ে উঠেছেন তিনি—শুধু পাকিস্তানে নয়, সীমানা পেরিয়ে ভারত ও বিশ্বের বিভিন্ন কূটনৈতিক কেন্দ্রেও।

ভারতনিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিল বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জন নিহত হন। এর কয়েক দিন আগে কাশ্মীর নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আসিম মুনির। তাঁর এসব মন্তব্য পাকিস্তান সেনাবাহিনীর অবস্থান ও আঞ্চলিক উত্তেজনায় তাদের ভূমিকা নিয়ে নতুন করে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।

ভারত ও পাকিস্তান উভয়ই কাশ্মীরকে পুরোপুরি নিজেদের বলে দাবি করে। কিন্তু তারা এটির একেক অংশ শাসন করে। ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর থেকে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনার কেন্দ্রে রয়েছে এ ভূখণ্ড।

জেনারেল মুনিরের বক্তব্য যদিও প্রত্যক্ষভাবে পেহেলগামের হামলার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নয়, তবু তাঁর বক্তব্য বিশ্লেষণ করে এটিকে বেশি আগ্রাসী মনোভাবের হিসেবে দেখা হচ্ছে।

সেনাপ্রধান হিসেবে জেনারেল আসিম মুনিরকে বর্তমানে পাকিস্তানের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে ধরা হয়। দেশটির রাজনীতিতে হস্তক্ষেপ, সরকারকে ক্ষমতায় বসানো ও অপসারণে দীর্ঘদিন ধরে সেনাবাহিনী নানা ভূমিকা রাখছে বলে অভিযোগ করা হয়ে থাকে। এখন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যাওয়ায় পারমাণবিক অস্ত্রের অধিকারী প্রতিবেশী এ দুই দেশে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠছেন তিনি।

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

২০২২ সালের নভেম্বরে সেনাপ্রধানের দায়িত্ব নেন জেনারেল মুনির। দায়িত্ব গ্রহণের পর তাঁকে প্রকাশ্যে তেমন কথা বলতে শোনা যায়নি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য ব্যাপকভাবে মনোযোগ কেড়েছে।

আরও পড়ুনভারতে অনলাইনে ছড়ানো হচ্ছে মুসলিমবিদ্বেষী গান, কনটেন্ট২৯ এপ্রিল ২০২৫

ইসলামাবাদে গত ১৭ এপ্রিল প্রবাসীদের সঙ্গে একটি বৈঠকে আসিম মুনির বলেন, ‘আমরা প্রতিটি ক্ষেত্রে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ থেকে আলাদা।’ কাশ্মীরকে পাকিস্তানের ‘জীবন সঞ্চারণী শিরা’ উল্লেখ করে তিনি অঙ্গীকার করেন, ‘ভারতের দখলদারত্বের বিরুদ্ধে কাশ্মীরিদের বিরোচিত লড়াইকে পাকিস্তান কখনো পরিত্যাগ করবে না।’

জেনারেল মুনিরের এ বক্তব্যের সঙ্গে পেহেলগামে হামলার কোনো সংশ্লিষ্টতা না থাকতে পারে। কেননা পাকিস্তানের নেতারা অনেক বছর ধরেই এমন ধরনের আদর্শিক বক্তব্য–বিবৃতি দিয়ে আসছেন।

ভারতনিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পেহেলগামে হামলার স্থলে ছড়িয়ে আছে চেয়ার–টেবিল

সম্পর্কিত নিবন্ধ