কুয়েটে হামলা দুঃখজনক, ব্লেইম গেইম রাজনীতি বন্ধ করুন
Published: 19th, February 2025 GMT
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) হামলার ঘটনাকে দুঃখজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের সেক্রেটারী ড. মুহাম্মদ রেজাউল করিম।
তিনি বলেন, “হামলায় ঘটনায় ছাত্রশিবিরকে নিয়ে মিথ্যাচার করা হয়েছে। মূলত একটি ছাত্রসংগঠন এ হামলায় জড়িত ছিল। যখনই বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা ক্যাম্পাসে চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, হল এবং সিট দখল চায়নি সেই অবস্থার প্রেক্ষাপটে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। আমাদের আহ্বান, ব্লেইম গেইম রাজনীতি বন্ধ করুন। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রকৃত অপরাধীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় নিয়ে আসুন।”
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার হাজিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে সুবিধা বঞ্চিতদের মধ্যে ফুড প্যাকেজ (খাদ্য সমগ্রী) বিতরণকালে তিনি এসব কথা বলেন।
আরো পড়ুন:
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবি জামায়াতের
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি-জামায়াতসহ বিভিন্ন দল
ড.
এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- লক্ষ্মীপুর শহর ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি আবু জাফর, চন্দ্রগঞ্জ থানা কর্মপরিষদ সদস্য মোহাম্মদ হাসনাইন, চন্দ্রগঞ্জ থানা শ্রমিক কল্যাণের সেক্রেটারি আমির হোসেন, হাজিরপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের নায়েবে আমির আব্দুর রহমান, সেক্রেটারি হাফিজুর রহমান সজিব।
এর আগে, ড. রেজাউল করিমের উদ্যোগে রমজান মাস উপলক্ষে এক হাজার পরিবারের মধ্যে ফুড প্যাকেজ বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় হাজিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে ২০০ জনকে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করা হয়। বিতরণ করা খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল- ২৫ কেজি চাল, তেল, লবন, খেজুর, ছোলা, চিনি ও পেঁয়াজ।
ঢাকা/জাহাঙ্গীর/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট সময়কালে ফ্যাসিবাদী শক্তি নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে, এসবির প্রতিবেদন
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে কর্মসূচি পালনকালে ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে সারা দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।
গতকাল সোমবার এসবির এক প্রতিবেদনে এমন আশঙ্কার কথা বলা হয়েছে। প্রতিবেদনটি পুলিশের সব বিভাগকে পাঠিয়ে বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দিয়েছে এসবি। এসবির একটি সূত্র প্রথম আলোকে এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সামাজিক সংগঠনগুলো ১ জুলাই থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছে। এই ধারাবাহিকতায় ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত কর্মসূচি পালনের সময়কাল বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। এই সময়ে কর্মসূচি পালনকে কেন্দ্র করে বিতাড়িত ফ্যাসিবাদী শক্তি অনলাইন-অফলাইনে প্রচারণা চালিয়ে দেশব্যাপী নৈরাজ্য সৃষ্টি, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির কর্মসূচিতে বাধা প্রদানসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর অপচেষ্টা চালাতে পারে।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখাসহ সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি ও জানমাল রক্ষায় পুলিশের বিভিন্ন বিভাগকে কয়েকটি নির্দেশনা দিয়েছে এসবি।
নির্দেশনাগুলো হলো ২৯ জুলাই থেকে ৮ আগস্ট পর্যন্ত বিশেষ অভিযান পরিচালনা করা। ৮ আগস্ট পর্যন্ত নিয়মিত সন্দেহজনক ব্যক্তিসহ মোটরসাইকেল, মাইক্রোবাস ও অন্যান্য যানবাহন তল্লাশি করা। বাস টার্মিনাল, লঞ্চঘাট, রেলস্টেশন ও বিমানবন্দরের পার্শ্ববর্তী এলাকায় বিশেষ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। গ্রেপ্তারি পরোয়ানা তামিল অভিযান পরিচালনা করা। মোবাইল প্যাট্রোল জোরদার করা। গুজব রোধে সাইবার পেট্রোলিং কার্যক্রম অব্যাহত রাখাসহ গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
এ ছাড়া কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটার আশঙ্কা থাকলে তা তাৎক্ষণিকভাবে এসবিকে অবহিত করার কথাও বলা হয়েছে।