Samakal:
2025-08-01@05:12:03 GMT

গতির ঝড় তোলার চ্যালেঞ্জ নাহিদের

Published: 20th, February 2025 GMT

গতির ঝড় তোলার চ্যালেঞ্জ নাহিদের

শোয়েব আকতার-ব্রেট লিদের সময় চলে গেছে অনেক দিন আগেই। ক্রিকেট মাঠে গতির ঝড় তোলাদের মধ্যে এখনও যে ক’জন রয়েছেন, তাদের নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটে উৎসাহ অনেক। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা কিংবা ইংল্যান্ডের জোরফা আরচারদের সঙ্গে এবার স্পিড এক্সপ্রেসের নয়া বগি বাংলাদেশের নাহিদ রানা। 

কয়েক মাস আগে পাকিস্তান সফরে গিয়েই নিজের জাত চিনিয়ে দিয়ে এসেছিলেন রানা। এবার তাঁকে ঘিরেও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে চলছে জোর আলোচনা। সেই রানার সাক্ষাৎকার নিয়েছে আইসিসি মিডিয়া। যেখানে চাঁপাইনবাগঞ্জের ছেলে রানা জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর ক্যারিয়ারে এই প্রথম বিশ্বমঞ্চে খেলার সুযোগ মিলেছে, যা তিনি স্মরণীয় করে রাখতে চান। ‘বিশ্বের সেরা ব্যাটারদের সামনে বোলিং করার সুযোগ পাচ্ছি– এটাই আমার জন্য বড় অনুপ্রেরণা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের প্রতিটি মুহূর্ত আমি উপভোগ করি। যেখানে প্রতি মুহূর্তে অনেক কিছু শেখা যায়। আমার জন্য এমন মঞ্চে মানিয়ে নেওয়া সহজ ছিল না। তবে আমি ভাগ্যবান, এখানে আসার আগে আমি ঘরোয়া প্রথম শ্রেণির অনেক ম্যাচ খেলেছি। সেখানে আমি ভিন্ন কন্ডিশনে, ভিন্ন ভিন্ন ম্যাচ পরিস্থিতিতে মানিয়ে নেওয়া শিখেছি। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সম্পূর্ণই ভিন্ন।’

গত বছরের মার্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক হয় বছর বাইশের এই পেসারের। প্রথম ইনিংসেই লঙ্কানদের তিন উইকেট তুলে রানা তাঁর দম জানিয়ে দেন। এর পর পাকিস্তান সফরে গিয়ে গতির ঝড় তুলতে থাকেন। ধারাবাহিকভাবে ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটারের ওপর বোলিং করতে থাকেন। পাকিস্তানের সেরা ব্যাটার বাবর আজম, শান মাসুদ, শান সৌদ শাকিল রীতিমতো নাস্তানাবুদ হয়ে যান রানার গতির সামনে। প্রথমবারের মতো টেস্ট সিরিজ জেতে বাংলাদেশ। এবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সেই রাওয়ালপিন্ডিতেই পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে বাংলাদেশের। ফরম্যাট ভিন্ন হলেও আশাবাদী রানা। 

‘আমি প্রতিদিনই মাঠ এবং মাঠের বাইরে কিছু না কিছু শিখছি। কীভাবে শরীরের যত্ন নিতে হয়, ফিটনেস ধরে রাখতে হয় এবং তার জন্য খাদ্যাভ্যাস কেমন হতে হয়– সবকিছুই মেনে চলার চেষ্টা করছি। কোচ এবং দলের অভিজ্ঞ ক্রিকেটারদের থেকে অনেক কিছু শিখছি। আমাদের পেস বোলার গ্রুপটা বেশ ভালো। আশা করি, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও ভালো উইকেট পাব।’

বাংলাদেশ বোলিংয়ের এই নতুনকে নিয়ে আইসিসির আগ্রহ অনেক। রানা কোন শহর থেকে উঠে এসেছেন, তাঁর বেড়ে ওঠার পেছনের গল্পগুলো শুনতে চাওয়া হয়েছিল। ‘আমি যে শহর থেকে এসেছি, সেখানে ক্রিকেটের চেয়ে বিখ্যাত সেখানকার আম। শুরুতে টেপ টেনিস দিয়েই খেলা শুরু করি। তখন মনে হচ্ছিল, আমি অন্যদের চেয়ে একটু বেশি জোরেই বোলিং করি। হয়তো আমি আমার উচ্চতার কারণেই বাড়তি বাউন্স পেয়ে থাকি। আমাদের রাজশাহীর কোচ আলমগীর কবির। তিনিই আমাকে টেনিস বল ছেড়ে ক্রিকেট বলে বোলিং করার জন্য উৎসাহ দেন। জাতীয় দলের সাবেক ওই বোলার আমাকে বোলিংয়ের রানআপ এবং কিছু টেকনিক্যাল ব্যাপার শুধরে দেন। সেজন্য আমি তাঁর কাছে কৃতজ্ঞ।’

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আইস স র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

দোয়ার ফজিলত ও আদব

দোয়া শব্দের আভিধানিক অর্থ আহ্বান করা বা প্রার্থনা করা। পরিভাষায় দোয়া হলো কল্যাণ ও উপকার লাভের উদ্দেশ্যে এবং ক্ষতি ও অপকার রোধে মহান আল্লাহকে ডাকা এবং তাঁর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করা।

প্রিয় নবীজি (সা.) বলেন, ‘দোয়াই ইবাদত।’ (বুখারি ও মুসলিম) ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর কাছে কিছু চায় না, আল্লাহ তাআলা তার প্রতি অসন্তুষ্ট হন।’ (তিরমিজি: ৩৩৭৩)

আল–কোরআনের বর্ণনা, ‘আর তোমাদের রব বলেন, “তোমরা আমাকে ডাকো, আমি তোমাদের জন্য সাড়া দেব। নিশ্চয় যারা অহংকারবশত আমার ইবাদত থেকে বিমুখ থাকে, তারা অচিরেই লাঞ্ছিত অবস্থায় জাহান্নামে প্রবেশ করবে।”’ (সুরা-৪০ মুমিন, আয়াত: ৬০)

মুমিনের পরিচয়ে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তাদের পার্শ্বদেশ শয্যা থেকে আলাদা থাকে। তারা তাদের পালনকর্তাকে ডাকে ভয়ে ও আশায় এবং আমি তাদের যে রিজিক দিয়েছি, তা থেকে ব্যয় করে। কেউ জানে না তার কৃতকর্মের জন্য তাদের কী কী চোখজুড়ানো প্রতিদান লুকায়িত আছে।’ (সুরা-৩২ সাজদা, আয়াত: ১৬-১৭)

‘আর আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে, (তখন বলে দিন যে) নিশ্চয় আমি অতি নিকটে। আহ্বানকারী যখন আমাকে আহ্বান করে, আমি তার আহ্বানে সাড়া দেই। কাজেই তারাও আমার ডাকে সাড়া দিক এবং আমার প্রতি ইমান আনুক, যাতে তারা সঠিক পথে চলতে পারে।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৮৬)

দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত হলো হালাল উপার্জন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো এবং সৎকাজ করো; তোমরা যা করো, সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৫১)

দোয়া ও আমল কবুল হওয়ার মূল শর্ত হলো ইখলাস। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তিনি চিরঞ্জীব, তিনি ব্যতীত কোনো ইলাহ নেই। অতএব, তাঁকে ডাকো খাঁটি ইবাদতের মাধ্যমে।’ (সুরা-৪০ মুমিন, আয়াত: ৬৬)

দোয়া কবুলের অন্যতম শর্ত হলো হালাল উপার্জন। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘হে রাসুলগণ! তোমরা পবিত্র বস্তু থেকে আহার করো এবং সৎ কাজ করো; তোমরা যা করো, সে সম্বন্ধে আমি সবিশেষ অবহিত।’ (সুরা-২৩ মুমিনুন, আয়াত: ৫১) ‘হে ইমানদারগণ! তোমরা পাক পবিত্র বস্তুসামগ্রী আহার করো, যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি।’ (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১৭৩)

নবীজি (সা.) বলেন, ‘উষ্কখুষ্ক ধুলায় ধূসরিত অবস্থায় দীর্ঘ সফরকারী একজন যে স্বীয় দুই হাত আকাশের দিকে প্রসারিত করে বলে, “হে প্রভু! হে প্রভু!” অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম, পোশাক হারাম এবং সে হারাম দ্বারা লালিত, তার দোয়া কীভাবে কবুল হবে?’ (মুসলিম: ১৬৮৬)

নির্জনে নীরবে বিনয়ের সঙ্গে দোয়া করা উত্তম। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা স্বীয় প্রতিপালককে ডাকো কাকুতি মিনতি করে এবং সংগোপনে। তিনি সীমা অতিক্রমকারীদের পছন্দ করেন না।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ৫৫)। পৃথিবীকে কুসংস্কারমুক্ত ও ঠিক করার পর তাতে ফ্যাসাদ সৃষ্টি করো না। তাকে আহ্বান করো ভয় ও আশাসহকারে। নিশ্চয় আল্লাহর করুণা সৎকর্মশীলদের নিকটবর্তী।’ (সুরা-৭ আরাফ, আয়াত: ৫৫-৫৬)

দোয়ার আদব হলো দৃঢ়সংকল্প ও আকুতির সঙ্গে দোয়া করা, দোয়া কবুলে প্রবল আশাবাদী হওয়া।

হজরত জাকারিয়া (আ.) তাঁর দোয়ায় বলেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আপনার কাছে দোয়া করে আমি কখনো ব্যর্থ হইনি।’ (সুরা-১৯ মারিয়াম, আয়াত: ৪) হজরত ইব্রাহিম (আ.) বলেন, ‘আশা করি, আমার প্রতিপালকের নিকট দোয়া করে আমি বিফল হব না।’ (সুরা-১৯ মারিয়াম, আয়াত: ৪৮)

মুফতি মাওলানা শাঈখ মুহাম্মাদ উছমান গনী

যুগ্ম মহাসচিব, বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি; সহকারী অধ্যাপক, আহ্ছানিয়া ইনস্টিটিউট অব সুফিজম

[email protected]

সম্পর্কিত নিবন্ধ