নেত্রকোনায় নদী খননের দাবিতে শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
Published: 20th, February 2025 GMT
নেত্রকোনার পূর্বধলা উপজেলায় সোয়াই নদীর ৪০০ মিটার অংশ খননের দাবিতে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন। আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার শ্যামগঞ্জ হাফেজ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজের সামনে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কে এ কর্মসূচি পালন করেন তাঁরা।
এতে সড়কে দীর্ঘ যানজট লেগে ভোগান্তির মধ্যে পড়েন বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী। খবর পেয়ে পূর্বধলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ঘটনাস্থলে এসে এক সপ্তাহের মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিলে বেলা পৌনে দুইটার দিকে অবরোধ তুলে নেন শিক্ষার্থীরা।
অবরোধ চলাকালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্লোগান দেন। সেখানে বক্তব্য দেন ছাত্র ইউনিয়ন ঢাকা মহানগর শাখার প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অর্ক দত্ত, শিক্ষার্থী মো.
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী ও নেত্রকোনা পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্রে জানা যায়, শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত সোয়াই নদীর দৈর্ঘ্য ৪৬ কিলোমিটার। ময়মনসিংহ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিপরীত দিকে ব্রহ্মপুত্র নদ থেকে উৎপন্ন সোয়াই নদীটি পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজারের পাশ দিয়ে প্রবাহিত হয়ে মগরা নদীতে মিশেছে। কালের বিবর্তনে নদীটি ধীরে ধীরে পলি পড়ে ভরাট হয়ে যায়। এলাকাবাসীর দাবির মুখে নদীর পরিবেশ পুনরুদ্ধারে পাউবো দুই বছর ধরে নদী পুনঃখনন করছে। ২টি প্যাকেজে ২৬ কোটি ৭১ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজ পায় মেসার্স ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্স ও আমিন অ্যান্ড কোম্পানি নামের দুটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। খননকাজ প্রায় শেষের দিকে। কিন্তু ইউনুস অ্যান্ড ব্রাদার্সের অধীনে শ্যামগঞ্জ বাজার-সংলগ্ন মইলাকান্দা এলাকা থেকে শ্যামগঞ্জ জিয়াউর রহমান ডিগ্রি কলেজ এলাকায় ৪০০ মিটার কাজ এখনো বাকি আছে। এই অংশে নেত্রকোনা-ময়মনসিংহ সড়কসহ দুই পাশে বিভিন্ন ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান, বাসাবাড়িসহ বিভিন্ন স্থাপনা আছে। যেভাবে নদী খননের ডিজাইন করা হয়েছে, ওই জায়গার বেশ কিছু অংশ এক ব্যক্তির মালিকানাধীন। সিএস, বিআরএসসহ সবকিছুর বৈধ কাগজপত্র আছে তাঁর। তাই পাউবো বাধার মুখে খননকাজ থেকে বিরত আছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাউবো নেত্রকোনা কার্যালয়ের নির্বাহী পরিচালক মো. সারোয়ার জাহান প্রথম আলোকে বলেন, ৪০০ মিটার অংশ খনন নিয়ে পক্ষ-বিপক্ষ অবস্থান রয়েছে। এক পক্ষের বাধার মুখে নদী খনন করা যায়নি। এ ছাড়া কিছুটা অংশে এক ব্যক্তির নামে সব কাগজপত্র রয়েছে। এরপরও দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ওই ব্যক্তি ২০ ফুট করে জায়গা দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু নানা প্রেক্ষাপটে তিনি এখন আর রাজি হচ্ছেন না। তাই এমন বিপত্তি ঘটছে। আশা করা যাচ্ছে, যৌক্তিক একটি সমাধান হবে।
পূর্বধলার ইউএনও রেজওয়ানা কবির বলেন, ‘খনন বাকি যে ৪০০ মিটার অংশ নিয়ে আন্দোলন হচ্ছে, জায়গাটি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার অংশে। তবুও আমি পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং জনদুর্ভোগ দূর করতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের ছুটে এসেছি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ৪০০ ম ট র শ য মগঞ জ উপজ ল অবর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
সিরাজ–কৃষ্ণাতে ম্যাচে ফিরল ভারত
অ্যান্ডারসন-টেন্ডুলকার ট্রফিতে মোহাম্মদ সিরাজের মতো আর কোনো পেসার নেই, এভাবে বলাই যায়। কারণ, সিরাজ ও ক্রিস ওকসই এই সিরিজের সব কটি ম্যাচ খেলেছেন। সেই ওকসও ওভাল টেস্টের প্রথম দিনে চোট পেয়ে টেস্ট থেকে ছিটকে গেছেন, টিকে আছেন সিরাজ।
টিকে থাকা সিরাজ কী করেছেন? গতকাল ওভাল টেস্টের দ্বিতীয় দিনের দ্বিতীয় সেশনে ৮ ওভারের এক স্পেলে ফিরিয়েছেন ওলি পোপ, জো রুট, জ্যাকব বেথেলকে। এরপর আরও এক উইকেট। সিরাজকে যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন প্রসিধ কৃষ্ণা। দ্বিতীয় সেশনের শেষ ওভারে দুই উইকেটসহ তিনিও নিয়েছেন ৪ উইকেট। ভারতের ২২৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ড অলআউট হয়েছে ২৪৭ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ভারত কাল দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে ২ উইকেটে ৭৫ রান নিয়ে। দুই ‘জীবন’ পাওয়া যশস্বী জয়সোয়াল ৫১ ও আকাশ দীপ ৪ রান নিয়ে উইকেটে আছেন।
অথচ কাল প্রথম সেশন শেষে ম্যাচের চিত্র ছিল আলাদা। ইংল্যান্ড প্রথম ১৬ ওভারেই তোলে ১ উইকেটে ১০৯ রান। দুই ওপেনার জ্যাক ক্রলি ও বেন ডাকেট ৭৭ বলে গড়েন ৯২ রানের জুটি। এমন বাজবলীয় শুরুর পর চিত্র পুরোপুরি বদলে যায় দ্বিতীয় সেশনে। শুরুটা করেন কৃষ্ণা। তাঁর শর্ট বলে পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন ক্রলি। পরের গল্পটা সিরাজের। প্রথম স্পেলে ৪ ওভারে ৩১ রান দেওয়া সিরাজকে অধিনায়ক গিল যখন বোলিংয়ে আনেন, তখন ইংল্যান্ডের রান ২৪ ওভারে ২ উইকেটে ১৪২। তিনি একে একে ফেরান দুই সেট ব্যাটসম্যান পোপ (২২), রুটকে (২৯) ও বেথেলকে (৬)। এরপর কৃষ্ণার দুই উইকেটে দ্বিতীয় সেশনটা পুরোপুরি ভারতের হয়ে যায়। ইংল্যান্ড দ্বিতীয় সেশনে ১০৬ রান তুলতে হারায় ৬ উইকেট। তৃতীয় সেশনে আর ৩২ রান যোগ করতে পারে তারা।
আরও পড়ুনকাঁধের চোটে ভারতের বিপক্ষে আর খেলতে পারবেন না ওকস১১ ঘণ্টা আগেলোকেশ রাহুলকে আউট করার পর অ্যাটকিনসনের আনন্দ